শিরোনাম
বাণিজ্য সম্ভাবনায় ‘সেভেন সিস্টার্স’ দুবাইয়ে বিপু-কাজলের ২০০ কোটির দুই ভিলা পাচারের ১৭ লাখ কোটি ফেরাবে কে,প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের দিকে তাকিয়ে সবাই শিক্ষার্থীদের পরিকল্পিতভাবে বিতর্কিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে ঢাকা-দিল্লি পররাষ্ট্রসচিব বৈঠক ডিসেম্বরে, শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ নিয়ে আলোচনা হবে কি এবার মারা গেলেন পরীমণির প্রথম সিনেমার পরিচালক জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন আয়োজনের পরামর্শ সরাসরি ভোটে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সুপারিশ, বদিউল বললেন, ‘বিবেচনায় রয়েছে’ বান্দরবানে নৌকা বাইচ দিয়ে ক্রীড়া মেলা শুরু রাঙ্গামাটিতে সাফজয়ী পাহাড়ের তিন কন্যাকে উষ্ণ সংবর্ধনা

গ্রেপ্তার রিমান্ডে মানা হচ্ছে না উচ্চ আদালতের নির্দেশনা

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় সোমবার, ২৯ জুলাই, ২০২৪
  • ৮৫ দেখা হয়েছে

ডেস্ক রির্পোট:- কোটা সংস্কার আন্দোলনে সহিংসতার পর সমানে চলছে ধরপাকড়। এ পরিস্থিতিতে অভিযোগ উঠেছে, গ্রেপ্তার ও রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদের ক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা মানছেন না উচ্চ আদালতের নির্দেশনা। ভুক্তভোগীর আইনজীবী ও স্বজনরা বলছেন, গ্রেপ্তারের পর এবং রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের নামে অমানবিক নির্যাতন চলছে। মানবাধিকার লঙ্ঘনের এ বিষয়টি নিম্ন আদালতের নজরে আনার পরও কোনো প্রতিকার মিলছে না। এমনকি গ্রেপ্তারের তিন-চার দিন পরও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে আদালতে তোলা হচ্ছে না বলে অভিযোগ করছেন অনেকে। এ পটভূমিতে বিরোধী নেতাকর্মী, আন্দোলনরত শিক্ষার্থী ও তাদের পরিবারের কাছে ‘গ্রেপ্তার’ আর ‘রিমান্ড’ যেন এখন এক আতঙ্কের নাম।

অবশ্য আইন ও সংবিধান বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এমন অভিযোগ থাকলে সেটি মানবাধিকার ও সংবিধান লঙ্ঘন এবং মৌলিক অধিকারের পরিপন্থি। তবে নির্যাতনের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আদালতের প্রধান কৌঁসুলি ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা। তারা বলছেন, উচ্চ আদালতের নির্দেশনা ও গাইডলাইন অনুযায়ী গ্রেপ্তার, আদালতে সোপর্দ ও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট আইনজীবী ও স্বজনরা জানিয়েছেন, আগে গ্রেপ্তার ও রিমান্ড নিয়ে এতটা ভয় ছিল না। এবার কোটা সংস্কার আন্দোলনে বিভিন্ন থানার নাশকতার মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি না হওয়ার পর নির্যাতনের ঘটনায় উদ্বেগ বাড়ছে। গ্রেপ্তারের সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিচয় দিচ্ছে না, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আদালতে তোলার নির্দেশনা থাকলেও তা হচ্ছে না, আইনজীবী কিংবা পরিবারকে জানানোরও বালাই নেই। রিমান্ডে অমানবিক নির্যাতনের অভিযোগ নিম্ন আদালতকে জানালেও প্রতিকার মিলছে না।

আইন ও সালিশ কেন্দ্রের চেয়ারপারসন ও সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জহিরুল ইসলাম (জেড আই) খান পান্না বলেন, যে কোনো ব্যক্তিকে আটক বা গ্রেপ্তার করতে হলে তাঁর বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকতে হবে। তিন ঘণ্টার মধ্যে তাঁর বিরুদ্ধে কী অভিযোগ, তা জানাতে হবে। ওই ব্যক্তির আত্মীয়স্বজন এবং তাঁর আইনজীবীকেও বিষয়টি জানাতে হবে। তারপর পর্যায়ক্রমে নিতে হবে আইনি পদক্ষেপ। কাউকে সন্দেহভাজন অপরাধী হিসেবে শারীরিক বা মানসিক নির্যাতন করা যাবে না।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মানবাধিকারকর্মী নূর খান লিটন বলেন, গ্রেপ্তার ও রিমান্ডে নেওয়ার বিষয়ে উচ্চ আদালতের সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে। কীভাবে গ্রেপ্তার করতে হবে, কীভাবে রিমান্ডে নিতে হবে– এর কোনোটাই এখন মানা হচ্ছে না, যা মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। এটি নির্মম অসভ্যতা ও বর্বরতার শামিল। তিনি বলেন, এ ধরনের পরিবেশ যারা সৃষ্টি করছে, তাদের বিচারের আওতায় আনা দরকার। রিমান্ডের নামে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যা করছে, তা চূড়ান্ত মানবাধিকারের লঙ্ঘন। এ নির্মমতার সঙ্গে কোনো কিছুর উদাহরণ দেওয়ার সুযোগ নেই।
অবশ্য ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের প্রধান কৌঁসুলি মো. আব্দুল্লাহ আবু বলেন, তাদের এ অভিযোগ ঠিক নয়। এটি হতে পারে না। উচ্চ আদালতের নির্দেশনা ও গাইডলাইন মেনেই রিমান্ডে পাঠানো হচ্ছে। এখানে আইনের কোনো ব্যত্যয় ঘটছে না।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম) ড. খ. মহিদউদ্দিন বলেন, আমরা আইন মেনেই সবকিছু করছি। গ্রেপ্তার ও জিজ্ঞাসাবাদে যে গাইডলাইন দেওয়া আছে, আমরা সেটি মেনেই কাজ করছি। সেখানে ব্যত্যয়ের সুযোগ নেই।

ভুক্তভোগী ও স্বজনের যত অভিযোগ
গত ২০ জুলাই মধ্যরাতে খিলগাঁওয়ের নন্দীপাড়ার এক বাসা থেকে কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলামকে ডিবি পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। নাহিদ গণমাধ্যমের কাছে অভিযোগ করেন, তাঁকে চোখ বেঁধে তুলে নিয়ে নির্যাতন করা হয়েছে। আঘাতের কারণে তাঁর দুই কাঁধ ও বাঁ পায়ের রক্ত জমাট বেঁধে আছে। শুধু শারীরিক নয়, মানসিকভাবেও নির্যাতন করা হয়েছে তাঁকে।

গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরের স্ত্রী মারিয়া নুর দাবি করেন, গত ১৯ জুলাই রাত সাড়ে ৩টার দিকে ঘরের দরজা ভেঙে নুরকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। যারা নিয়েছে, তাদের কোনো পরিচয় নিশ্চিত করেনি। আটকের ৩৯ ঘণ্টা পর তাঁকে আদালতে তোলা হয়। সেদিনই আদালতে নুর জানিয়েছিলেন, গ্রেপ্তারের পর তাঁকে অকথ্য নির্যাতন করা হয়েছে। আদালতে তোলার আগে তাঁকে ব্যথানাশক ইনজেকশন দেওয়া হয়েছে। এরপরও তাঁকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে দেওয়া হয়। মারিয়া নুর আরও জানান, গত শুক্রবার পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে তোলার সময়ে নুর ঠিকমতো হাঁটতে পারছিলেন না। পুলিশের কাঁধে ভর দিয়ে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়েই এজলাসে আসেন। এ সময় নুর তাঁর স্ত্রী ও আইনজীবীদের জানান, পাঁচ দিন রিমান্ডের নামে অমানবিক শারীরিক নির্যাতন করা হয়েছে। তাঁকে ঝুলিয়ে পেটানো হয়েছে, ইলেকট্রিক শক ও ইনজেকশন পুশ করা হয়েছে। রিমান্ড শেষে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়।

ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হককেও পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে গত শুক্রবার আদালতে তোলা হয়। সেখানে তিনিও পরিবারের সদস্য ও আইনজীবীদের জানান, রিমান্ডে নিয়ে তাঁর ওপর সীমাহীন নির্যাতন করা হয়েছে। হাত ও মুখ বেঁধে এবং কালো জমটুপি পরিয়ে খুব পেটানো হয়েছে। যে আচরণ করা হয়েছে, সেটার জন্য তিনি প্রস্তুত ছিলেন না। তাঁর পরিবারের সদস্যরা জানান, আমিনুল জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক ছিলেন। পুরো জীবনটাই কেটেছে দেশের সুনাম অর্জনের পেছনে। কখনও আইন লঙ্ঘনের ঘটনায় সম্পৃক্ত ছিলেন না।

একইভাবে বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর পরিবারও অভিযোগ করেছেন রিমান্ডের নামে অমানবিক নির্যাতনের। তাঁকেও হাত ও মুখ বেঁধে নির্যাতন করা হয়েছে বলে অভিযোগ তাদের।

গতকাল রোববার আরেকটি মামলায় সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, আমিনুল হক ও নুরুল হক নুরকে শ্যোন অ্যারেস্ট দেখিয়ে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন জানায় কাফরুল থানা পুলিশ। সেখানেও পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এ সময় তাদের কাছে প্রাত্যহিক ওষুধ ও কাপড়চোপড়ও দিতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ স্বজনের।

গ্রেপ্তার ব্যক্তির পরিবারের সদস্যরা জানান, গ্রেপ্তারের সময় এক দফা নির্যাতন করা হচ্ছে। সাদা পোশাকে তুলে নিয়ে যাওয়ার পর কোথায় নেওয়া হচ্ছে, তাদের সঙ্গে কী আচরণ করা হচ্ছে– তা তারা কিছু জানতে পারছেন না। উচ্চ আদালতের কোনো নির্দেশনাই মানা হচ্ছে না। দু-তিন দিন নির্যাতনের পর আদালতে নিয়ে আবারও পুলিশি হেফাজতে রিমান্ডে নেওয়া হচ্ছে। সেখানে আবার অমানবিক নির্যাতন করা হচ্ছে। আদালতকে সে বিষয়ে জানানো হলেও তারা কোনো প্রতিকার পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ রয়েছে।

ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক সাইফুল আলম নিরবের সহধর্মিণী মাহাবুবা খানম জানান, গত ২২ জুলাই একটি বাসা থেকে নিরবকে সাদা পোশাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। কারা নিয়ে গেছে, কোন মামলায় নিয়েছে– তা তিনি জানতে পারেননি। গ্রেপ্তারের সময় তাঁকে বেশ নির্যাতন করা হয়। দুপুরে তিনি মিন্টো রোডের গোয়েন্দা কার্যালয়ের সামনে তিন ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকলেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কোনো সহায়তা পাননি বলে অভিযোগ করেন। আটকের দু’দিন পর তাঁকে আদালতে তোলা হয় এবং একটি মামলায় পাঁচ দিনের রিমান্ডে পাঠান আদালত।
শুধু বিরোধী দলের নেতাকর্মীই নন; শিক্ষার্থী, সাধারণ মানুষ এমনকি শিশুও গ্রেপ্তার থেকে বাদ যাচ্ছে না। সাংবাদিকরাও এর শিকার হচ্ছেন। এর মধ্যে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক ও দ্য মিরর এশিয়ার ঢাকা প্রতিনিধি সাঈদ খানকে গত ২৫ জুলাই গভীর রাতে মগবাজারের বাসা থেকে গোয়েন্দা পুলিশ গ্রেপ্তার করে। তাঁর স্ত্রী জানান, সাদা পোশাকের একটি দল রাতে তাঁর বাসায় জোর করে ঢুকে সাঈদ খানকে তুলে নিয়ে যায় এবং রাতভর নির্যাতন চালায়। পরে তাঁকে মেট্রোরেল স্টেশন পোড়ানোর মামলায় জড়িয়ে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়।

পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, শুক্রবার বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবীর খোকনের বাসায় তল্লাশি চালিয়ে তাঁকে না পেয়ে তাঁর ভায়রা, শ্যালক ও শ্যালকের ছেলেকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে গেছে। গত শুক্রবার গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য আবু হানিফকে তাঁর বাসা থেকে তুলে নিয়ে যান আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। গত বৃহস্পতিবার মেডিকেল টেকনোলজি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের দবিরউদ্দিন তুষারকে মিরপুর-১৩ থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে এখনও তাদের আদালতে তোলা হয়নি বলে পরিবারের অভিযোগ।
গত ২১ জুলাই আদাবর ৮ নম্বর সড়কের একটি অফিস থেকে গোয়েন্দা পুলিশ স্থানীয় বিএনপি নেতা মনোয়ার হোসেন জীবনকে চোখ বেঁধে, হেলমেট পরিয়ে তুলে নিয়ে যায়। মনোয়ারের স্ত্রী আয়শা জানান, স্বামীকে তুলে নিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত তাঁর হদিস মিলছে না।

একইভাবে গত শুক্রবার ছাত্রদল নেতা এইচ এম আবু জাফর, তবিবুর রহমান সাগর, মিশুক, হান্নান, রুবেলসহ অনেককে তুলে নেওয়া হয়। এখনও তাদের খোঁজ পাননি স্বজন।

যা বলছেন আইনজীবীরা
ভুক্তভোগীর আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ বলেন, বিএনপি নেতা টুকু ও আমিনুল গ্রেপ্তারের পর নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, সেটা তারাই আদালতকে জানিয়েছেন। এর পরও তাদের পাঁচ দিনের রিমান্ড দেওয়া হয়। রিমান্ড শেষে তারা আইনজীবী ও স্বজনের কাছে ভয়াবহ নির্যাতনের কথা তুলে ধরেন।

গ্রেপ্তার ও রিমান্ডে নির্যাতন বিষয়ে আইনজীবীরা জানান, ২০০৩ সালে রিমান্ড বিষয়ে উচ্চ আদালত কিছু নির্দেশনা দিয়েছিলেন। ওই নির্দেশনায় কোনো মামলায় আসামি গ্রেপ্তার এবং ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ও রিমান্ডে নেওয়ার বিষয়ে ১৬৭ ধারা সংশোধনের নির্দেশ দেওয়া হয়। সংবিধান অনুসারে সর্বোচ্চ আদালতের রায় বা নির্দেশনা প্রতিপালন করা সরকার কিংবা প্রতিষ্ঠান বা কোনো ব্যক্তিবিশেষের জন্য বাধ্যতামূলক।

তারা আরও জানান, রিমান্ডে নিয়ে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন, স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি আদায়সহ নানা অভিযোগ রয়েছে। উচ্চ আদালতে এটির বৈধতা চ্যালেঞ্জ হয়েছে বহুবার। আদালত থেকেও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এর পরও রিমান্ডের অপব্যবহার বাড়ছে, যা সত্যিকার অর্থেই দুঃখজনক। ২০১৬ সালের ২৫ মে ওই রায় বহাল রাখেন আপিল বিভাগ। রিমান্ড বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের ১৫ নির্দেশনা রয়েছে।

উচ্চ আদালতের উল্লেখযোগ্য নির্দেশনা
আইনজীবীরা জানান, গ্রেপ্তার ও রিমান্ড বিষয়ে উচ্চ আদালতের নির্দেশনার মধ্যে উল্লেখযোগ্য বিষয়ের মধ্যে রয়েছে– কাউকে গ্রেপ্তার দেখানোর সময় পুলিশ তাঁর পরিচয়পত্র দেখাতে বাধ্য থাকবে; গ্রেপ্তারের তিন ঘণ্টার মধ্যে কারণ জানাতে হবে; বাসা বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ছাড়া অন্য কোনো স্থান থেকে যদি কাউকে আটক করা হয়, তাহলে আটক ব্যক্তির নিকটাত্মীয়কে এক ঘণ্টার মধ্যে টেলিফোন বা বিশেষ বার্তাবাহকের মাধ্যমে বিষয়টি জানাতে হবে; আটক ব্যক্তিকে তাঁর পছন্দসই আইনজীবী ও নিকটাত্মীয়ের সঙ্গে পরামর্শ করতে দিতে হবে; জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন হলে ম্যাজিস্ট্রেটের আদেশক্রমে কারাগারের কাচ নির্মিত বিশেষ কক্ষে জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে।

আদালতের নির্দেশনা বিষয়ে তারা জানান, জিজ্ঞাসাবাদে কক্ষের বাইরে তাঁর আইনজীবী ও নিকটাত্মীয় থাকতে পারবেন; কারাগারে জিজ্ঞাসাবাদে প্রয়োজনীয় তথ্য পাওয়া না গেলে তদন্ত কর্মকর্তা ম্যাজিস্ট্রেটের আদেশক্রমে সর্বোচ্চ তিন দিন পুলিশ হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবেন। তবে এ ক্ষেত্রে উপযুক্ত কারণ থাকতে হবে; জিজ্ঞাসাবাদের আগে ও পরে ওই ব্যক্তির ডাক্তারি পরীক্ষা করতে হবে; পুলিশ হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগ উঠলে ম্যাজিস্ট্রেট সঙ্গে সঙ্গে মেডিকেল বোর্ড গঠন করবেন। বোর্ড যদি বলে, ওই ব্যক্তির ওপর নির্যাতন করা হয়েছে, তাহলে পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ম্যাজিস্ট্রেট ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন এবং তাঁকে দণ্ডবিধির ৩৩০ ধারায় অভিযুক্ত করা হবে।সমকাল

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো
© All rights reserved © 2023 Chtnews24.com
Website Design By Kidarkar It solutions