যুক্তরাষ্ট্র থেকে বহিষ্কারের ঝুঁকিতে বৈধ অভিবাসীদের আড়াই লাখ সন্তান, অধিকাংশই ভারতীয়

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় রবিবার, ২৮ জুলাই, ২০২৪
  • ১০৮ দেখা হয়েছে

ডেস্ক রির্পোট:- বৈধ অভিবাসীদের প্রায় আড়াই লাখ সন্তানের ভাগ্য নির্ভর করছে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের করুণার ওপর। এই সন্তানেরা বাবা–মায়ের সঙ্গে ছোট শিশু হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছিলেন। তাঁদের বয়স এখন ২১ বছর। তাঁরা সবাই এখন তাঁদের বাবা–মায়ের দেশে ফেরত পাঠানোর ঝুঁকিতে রয়েছেন, যে দেশের কাউকে তাঁরা চেনেন না। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ভারতীয়–আমেরিকান।

এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের বৈধ অভিবাসীদের এ রকম প্রায় ২ লাখ ৫০ হাজার সন্তান রয়েছে, যাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যকই ভারতীয়। গত বৃহস্পতিবার (২৬ জুলাই) হোয়াইট হাউস এই আইন প্রণয়নের জন্য রিপাবলিকানদেরই দায়ী করেছে।

এদিন হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি কারিন জ্যঁ পিয়ের নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের বলেন, আমি সিনেটে দ্বি–দলীয় সমঝোতার কথা বলেছি, যেখানে তথাকথিত ‘ডকুমেন্টেড ড্রিমার্স’দের সহায়তার করার জন্য একটি প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করেছি। দুঃখের বিষয়, রিপাবলিকানরা পরপর দুইবারই এই প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন।

গত মাসে অভিবাসন, নাগরিকত্ব এবং সীমান্ত নিরাপত্তা বিষয়ক সিনেট বিচার বিভাগীয় উপকমিটির চেয়ারম্যান সিনেটর অ্যালেক্স প্যাডিলার নেতৃত্বে এবং রিপ্রেজেনটেটিভ ডেবোরা রসসহ ৪৩ জন আইন প্রণেতার একটি দ্বিদলীয় দল বাইডেন প্রশাসনকে আড়াই লাখের বেশি ‘ডকুমেন্টেড ড্রিমার্স’কে রক্ষা করার জন্য জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। দীর্ঘমেয়াদি ভিসাধারীদের সন্তান–যারা পরিবারের ‘নির্ভরশীল’ সদস্য হিসেবে আছেন, তাঁদের বয়সসীমা পেরিয়ে যাওয়ায় স্ব–নির্বাসনে বাধ্য হওয়ার ঝুঁকিতে আছেন।

গত ১৩ জুন কমিটি এক চিঠিতে বাইডেন প্রশাসনকে বলে, এই তরুণেরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বেড়ে উঠেছেন, আমেরিকান স্কুল সিস্টেমে তাঁদের শিক্ষা শেষ করেছেন এবং আমেরিকান প্রতিষ্ঠান থেকে ডিগ্রি নিয়ে স্নাতক হয়েছেন। কিন্তু গ্রিনকার্ড দেওয়ার প্রক্রিয়ায় দীর্ঘ জটিলতার কারণে পরিবারগুলোকে প্রায়ই স্থায়ী বাসিন্দার মর্যাদা পাওয়ার জন্য কয়েক দশক অপেক্ষায় থাকতে হয়।

এই আইনি জটিলতার কারণে গত মাসে যুক্তরাষ্ট্র ছাড়তে বাধ্য হন রোশান নামে ভারতীয় বংশোদ্ভূত। তিনি কাজ করছিলেন একটি আমেরিকান সেমিকন্ডাক্টর কোম্পানিতে। তিনি এইচ ৪ ভিসায় ১০ বছর বয়সে মা এবং ভাইয়ের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র যান। বোস্টনে বড় হয়েছেন। ২০২১ সালে বোস্টন কলেজ থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক করেন।

রোশান প্রায় ১৬ বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রে। কিন্তু ২০১৯ সালে তাঁর বয়সসীমা পেরিয়ে যায়। গত জুনে তাঁকে যুক্তরাষ্ট্র ছাড়তে হয়েছে।

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো
© All rights reserved © 2023 Chtnews24.com
Website Design By Kidarkar It solutions