ডেস্ক রির্পোট:- কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের প্ল্যাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে আটটি বার্তা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে হতাহতদের তালিকা তৈরি, হত্যা ও হামলায় জড়িতদের চিহ্নিত করা, বিশ্ববিদ্যালয় ও হল খুলে দেওয়ার চাপ তৈরি করা।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে এসব বার্তাসংবলিত একটি বিবৃতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ, আবু বাকের মজুমদার ও রিফাত রশীদ। ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক মো. নাহিদ ইসলামের বক্তব্য’ শিরোনামে বিবৃতিটি পোস্ট করা হয়। এ বিষয়ে জানতে নাহিদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাঁর মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। পরে আবু বাকেরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, নাহিদের সম্মতি নিয়েই বিবৃতিটি দেওয়া হয়েছে।
বার্তাতে যা বলা হয়েছে
বিবৃতিতে দেওয়া বার্তাগুলো হলো রংপুরের আবু সাঈদসহ নিহতদের স্মরণ করুন; তাঁদের কবর জিয়ারত করুন; পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান; হাসপাতালে থাকা আহতদের যথাসম্ভব সহযোগিতার চেষ্টা করুন; সক্ষমতা থাকলে নিহতদের পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করতে সহায়তা করুন; মর্যাদার সঙ্গে দাফন ও জানাজায় অংশ নিন; হতাহতদের তালিকা তৈরি ও পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করুন; হত্যা ও হামলায় সরাসরি জড়িত সন্ত্রাসী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের চিহ্নিত করে রাখুন; যাঁরা যে স্থানে আন্দোলন করেছেন, নতুন করে সংগঠিত হন; নিরাপদে থাকুন, চিকিৎসা নিন ও গ্রেপ্তার এড়ান; ফেসবুকে ক্ষোভ না ঝেড়ে মাঠের প্রস্তুতি নিন; ইন্টারনেটনির্ভর না হয়ে বিকল্প কিছু পরিকল্পনা করুন; আমরা কেন্দ্রীয়ভাবে দ্রুত সবার সঙ্গে যোগাযোগ করব; শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ ক্যাম্পাস ও হল খোলার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে চাপ দিন; শিক্ষকদের সঙ্গে যোগাযোগ করুন এবং প্রবাসীরা আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশের ক্র্যাকডাউন ও হত্যা-নিপীড়নের ঘটনা প্রচার করুন এবং দেশে আন্দোলনরত ছাত্র-নাগরিকদের জন্য সহযোগিতার হাত বাড়ান।
‘ছাত্র-নাগরিক হত্যা ও গুম-খুনের বিচার, রাষ্ট্রীয় ক্ষয়ক্ষতির বিচার, মামলা প্রত্যাহার ও ডাকসুর সাবেক সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেনসহ নিরপরাধ ব্যক্তিদের মুক্তি, আহত-নিহতদের ক্ষতিপূরণ এবং সব ক্যাম্পাসে সন্ত্রাসী রাজনীতির উৎখাত ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিচারের দাবিতে’ দফাভিত্তিক আন্দোলন অব্যাহত রাখার কথা জানানো হয়েছে বিবৃতিতে।