ডেস্ক রির্পোট:- বাংলাদেশে চলমান নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগের কথা আরও একবার জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এর আগে ২০শে জুলাই তারা বাংলাদেশ ইস্যুতে ভ্রমণ সতর্কতা জারি করে। তাতে বাংলাদেশে গণঅসন্তোষ, ক্রাইম ও সন্ত্রাসের কারণে সফর না করতে নিজ দেশের নাগরিকদের সতর্ক করে। একই সঙ্গে অত্যাবশ্যকীয় নন, এমন মার্কিন সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারী ও তাদের পরিবারকে স্বেচ্ছায় বাংলাদেশ ছেড়ে যাওয়ার অনুমোদন দেয়া হয়। এসব জানিয়ে ওইদিন ‘লেভেল ৪’ সতর্কতা জারি করে যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশের চলমান পরিস্থিতি ও এই সতর্কতা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে একজন সাংবাদিক মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলারের কাছে জানতে চান- ভ্রমণের জন্য বাংলাদেশকে ‘লেভেল ৪’ সবচেয়ে বিপজ্জনক জোন হিসেবে আপনারা ঘোষণা দিয়েছেন। সেখানে দেখামাত্র গুলির নির্দেশের অধীনেই ব্যাপক নৈরাজ্য চলছে। নিহতের সংখ্যা প্রায় ২০০। শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ করছেন শিক্ষার্থীরা। নিরপরাধ শিক্ষার্থী এবং জাতিকে নিষ্ঠুরতা থেকে উদ্ধারে যুক্তরাষ্ট্র সুনির্দিষ্ট কি পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে? এ প্রশ্নের জবাবে ম্যাথিউ মিলার বলেন, সর্বোপরি আবারও বাংলাদেশে চলমান নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে আমাদের উদ্বেগের বিষয়টি পরিষ্কার করেছি।
অন্যদিন আমি ঘোষণা দিয়েছি যে, ঢাকায় আমাদের কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার সব বিকল্প বের করার কাজ করছি। ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসে অত্যাবশ্যকীয় নন এমন কর্মকর্তা ও তাদের পরিবারের সদস্যদেরকে স্বেচ্ছায় সেখান থেকে চলে আসার অনুমোদন দিয়েছি। বাংলাদেশে অবস্থান করছেন এমন মার্কিন নাগরিকদের কন্সুলার এবং অন্য সার্ভিস দিতে দূতাবাস খোলা আছে। মার্কিন যেকোনো নাগরিকের নিরাপত্তার প্রতি শ্রদ্ধা রেখে স্পষ্টভাবে আমরা বলছি, এটা আমাদের প্রথম অগ্রাধিকার। মার্কিন যেকোনো নাগরিক, যারা তাদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন, তাদেরকে যেকোনো বিষয়ে আলোচনা করতে দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য উৎসাহিত করছি আমরা। ঢাকায় দূতাবাস কি পূর্ণাঙ্গ কার্যক্রম চালাচ্ছে? এ প্রশ্নের জবাবে মিলার বলেন- এটা কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে।
অন্য একজন সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে ম্যাথিউ মিলার বলেন, কয়েকদিন ধরে বলে আসছি যে, বাংলাদেশে সম্প্রতি যেসব সহিংস কর্মকাণ্ড হয়েছে তার সবটারই নিন্দা জানাই আমরা। শান্তিপূর্ণ সমাবেশের স্বাধীনতা সমর্থন করি। যারা শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করার অধিকার চর্চা করছিলেন তাদের বিরুদ্ধে সহিংসতার নিন্দা জানাই আমরা। আবার কোনোও প্রতিবাদী যদি সহিংসতার জন্য তাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি ব্যবহার করে থাকে, তাহলে তারও নিন্দা জানাই আমরা। যেকোনো রকম সহিংসতার নিন্দা জানাই আমরা। ম্যাথিউ মিলার আরও বলেন, সারাবিশ্বের জনগণ তাদের মৌলিক স্বাধীনতা যেভাবে চর্চা করেন, চর্চা করতে সক্ষম হন- ঠিক সেই একইভাবে আমরা চাই বাংলাদেশের জনগণও তাদের মৌলিক স্বাধীনতা চর্চায় সক্ষম হবেন। সুতরাং আমরা প্রতিবাদ বিক্ষোভকারী, সাধারণ নাগরিক এবং সরকার- উভয়পক্ষকে সহিংসতা থেকে বিরত থাকার অব্যাহত আহ্বান জানাই। তার কাছে জানতে চাওয়া হয় ৯ জন অভিযুক্ত জঙ্গি নেতা জেল থেকে বেরিয়ে গেছেন। এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য? জবাবে মিলার বলেন- আমার কোনো মন্তব্য নেই। এ বিষয়ে আমার সুনির্দিষ্ট কোনো মন্তব্য নেই।