ডেস্ক রির্পোট:- মাদারীপুরে পুলিশের ধাওয়া খেয়ে শকুনী লেকের পানিতে ডুবে যাওয়া দুইজনের মধ্যে একজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস।
বৃহস্পতিবার দুপুর একটার দিকে দীপ্ত দে (২১) নামের কলেজছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। দীপ্ত দে মাদারীপুর সরাসরি কলেজ ২০২২ অনার্স ব্যাচের শিক্ষার্থী।
এর আগে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সে নিখোঁজ হয়। নিহত দীপ্ত শহরের মাস্টার কলোনি এলাকার স্বপন দের ছেলে। দীপ্তর মরদেহ নিয়ে দুপুর দেড়টার দিকে বিক্ষোভ মিছিল করেন আন্দোলনকারী। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ।
জানা যায়, কোটা বাতিলের দাবিতে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে মাদারীপুর শহরের ডিসিব্রিজ এলাকায় জড়ো হয় আন্দোলনকারীরা। পরে পাশের জেলার পুলিশ সুপার ও জেলা প্রশাসকের বাসভবনের সামনে অবস্থান নেন তারা। এ সময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। একপর্যায়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষ হয়।
আন্দোলনকারীদের শক্ত অবস্থান দেখে তাদের সঙ্গে পুলিশ, ছাত্রলীগ ও আন্দোলনকারীদের ত্রিমুখী সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধসহ উভয়পক্ষের অন্তত ৫০ জন আহত হয়। পরে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে পুলিশ।
পরবর্তীতে ছত্রভঙ্গ হয়ে শহরের বিভিন্ন স্থানে জড়ো হয় আন্দোলনকারীরা। ঘটনাস্থল থেকে আটক করা হয়েছে ৬ জনকে। এ সময় পুলিশের ধাওয়া খেয়ে শহরের শকুনী লেকের পানিতে ডুবে আন্দোলনকারী দুই শিক্ষার্থী নিখোঁজ হয়। তাদের মধ্যে দুপুর একটার দিকে দীপ্তর মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস। এছাড়া নিখোঁজ আরেকজনকে উদ্ধারে কাজ চলছে বলেও জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা।
মাদারীপুর ফায়ার সার্ভিসের পরিদর্শক মো. আহাদুল ইসলাম বলেন, ‘দুই শিক্ষার্থী নিখোঁজের খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা উদ্ধার অভিযান শুরু করে। পরে একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ‘
মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আলাউল হাসান জানান, পরিস্থিতি মোকাবিলায় শহরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ। পুলিশের একটি গাড়ি ভাঙচুর করেছেন আন্দোলনকারীরা। এ সময় বেশ কয়েকজনকে আটক করেছে পুলিশ। আন্দোলনকারীরা খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে একত্র হয়ে প্রথমে হামলা করে, পরে শুরু হয় সংঘর্ষ। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।