ডেস্ক রির্পোট:- কোটাব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে রাজধানীতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী-পুলিশ-ছাত্রলীগের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধসহ আহত ৫৮ জন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। তাদের মধ্যে পাঁচজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত ঢামেকে আসেন ৫৮ জন। রাজধানীর যাত্রাবাড়ী, নিউমার্কেট, উত্তরা, রামপুরা, বাড্ডা, মিরপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় সংঘর্ষে আহত হয়েছেন তারা।
আহতদের মধ্যে রয়েছেন- যাত্রাবাড়ীর কাজলা এলাকা থেকে গুলিবিদ্ধ মো. রিয়াদ (২৩), আশরাফুল (২৩), পারভিন (৩০), সায়েন্সল্যাবে গুলিবিদ্ধ তানিম (১৭), যাত্রাবাড়ীর জনপথ মোড়ে ইটপাটকেলের আঘাতে আহত হয়েছেন বিআরটিসি বাসের চালক উজ্জ্বল (৩২)।
এ ছাড়া রামপুরা ব্রিজে ককটেল বিস্ফোরণে আহত হয়েছেন ফজলুল হক মিলন (৫৫), গুলিবিদ্ধ শিক্ষার্থী আবির হোসেন পিয়াস (২১), নর্দান ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী হাসিবুল (২২), সিদ্ধেশ্বরী কলেজের শিক্ষার্থী রাইভী (২০), উত্তরা মডেল কলেজের শিক্ষার্থী সৌমিক (২০), সিদ্ধেশ্বরী কলেজের শিক্ষার্থী সাদমান সাইফ (২৩)।
যাত্রাবাড়ী এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন পথচারী মইনুল ইসলাম (২৫), আনোয়ার (৪৪), উত্তরায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন ইমরান (১৮), গুলিবিদ্ধ শিক্ষার্থী মোজাম্মেল (১৯), একাত্তর টেলিভিশনের সিনিয়র রিপোর্টার নাদিয়া শারমিন (৩৭) ও ক্যামেরা পারসন সৈয়দ রাশেদুল হাসান (৩২), বাদামতলী এলাকা থেকে গুলিবিদ্ধ শিশু জয়নাল (১১), সিদ্ধেশ্বরী হাইস্কুলের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী সোনিয়া (১৪)।
আহত হয়ে হাসপাতালে আসেন ইসমাইল (৪৬), ইমরান (১৮), মোজাম্মেল (২৫), তারেক (১৮), অজ্ঞাতপরিচয় তরুণ (১৮), মুজাহিদুল ইসলাম (২৩), শাকিল (৪৪), তারেক (৩০), অজ্ঞাতপরিচয় তরুণ (১৮), সিয়াম (১৮), আরিফ (১৮), ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী তাহসিন (২৪), উত্তরা ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী তাহসিন (২৩) ও মারিয়া (২৩)। এ ছাড়া আরও অনেকেই আহত অবস্থায় হাসপাতালে আসেন।
ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া জানান, রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে গুলি, ককটেল বিস্ফোরণ, টিয়ার গ্যাস ও ইটের আঘাতে আহত হয়ে এখন পর্যন্ত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এসেছেন ৫৮ জন। তাদের সবাইকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এদের মধ্যে পাঁচজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের অবস্থা গুরুতর।