ডেস্ক রির্পোট:- পবিত্র আশুরার কারণে আগামীকাল বুধবার কোটা সংস্কার আন্দোলনের কোনো কর্মসূচি থাকছে না।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ভিসি চত্বরে এ ঘোষণা দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ।
তিনি জানান, সারা দেশে আন্দোলনকারীদের ওপর রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় হামলা চালানো হয়েছে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।
এদিকে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে চলমান আন্দোলনে মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) দেশের বিভিন্ন স্থানে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়েছে। কোথাও কোথাও এখনো সংঘর্ষ চলছে। এসব সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত ছয়জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
এর মধ্যে চট্টগ্রামে তিনজন, ঢাকায় দুজন ও রংপুরে একজন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে দুজন শিক্ষার্থী, একজন পথচারী এবং বাকি একজনের পরিচয় এখনো জানা যায়নি।
এদিকে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তায় পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত দেশের সব স্কুল-কলেজ বন্ধ ঘোষণা করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এমন নির্দেশনার কথা জানানো হয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়ের জানান, বিদ্যালয় ও কলেজগামী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটগুলোর শ্রেণি কার্যক্রম পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।
প্রসঙ্গত, দেশজুড়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর সরকারি চাকরিতে নারী কোটা ১০ শতাংশ, মুক্তিযোদ্ধা কোটা ৩০ শতাংশ এবং জেলা কোটা ১০ শতাংশ বাতিল করে পরিপত্র জারি করে সরকার। সেখানে বলা হয়েছিল, ৯ম থেকে ১৩তম গ্রেডের পদে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দিতে হবে। ওইসব গ্রেডের পদে সরাসরি নিয়োগে বিদ্যমান কোটা বাতিল করা হলো।
এ পরিপত্র চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্ম কমান্ড কাউন্সিলের সভাপতি অহিদুল ইসলামসহ সাত শিক্ষার্থী। এর প্রেক্ষিতে গত ৫ জুন ২০১৮ সালের জারিকৃত পরিপত্রটিকে অবৈধ বলে ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। এরপর থেকেই সারা দেশে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ফুঁসে ওঠেন। কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদে নানা স্থানে বিক্ষোভ করেন কোটাবিরোধীরা। এরপর ঢাবি ছাড়াও জাবি, জবি, রাবি, সাত কলেজসহ দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়-কলেজে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।