মুফতি খালিদ কাসেমি:- জামাতে নামাজ আদায় করা অত্যন্ত সওয়াবের কাজ। অসুস্থ এবং অপারগ ব্যক্তি ছাড়া সব মুসলিমের জন্য জামাতে নামাজ আদায় করা আবশ্যক। এটি সম্প্রীতি স্থাপনের অনুপম বিধান, যার কোনো বিকল্প নেই। এর মাধ্যমে মুসলমানদের মধ্যে দীনি শিক্ষা-দীক্ষার প্রসার ঘটে, সামাজিক বন্ধন দৃঢ় হয় এবং পারস্পরিক সৌহার্দ্য বৃদ্ধি পায়।
একজন মুসলিম জামাতে নামাজ আদায়ের মাধ্যমে জীবনে শৃঙ্খলা, নিয়মানুবর্তিতা এবং সময়মতো কাজ করায় অভ্যস্ত হয়ে ওঠে। নবী (সা.) কখনো জামাতে নামাজ ত্যাগ করেননি। এমনকি অসুস্থ অবস্থায়ও দুজন মানুষের সাহায্যে মসজিদে গিয়ে জামাতে নামাজ আদায় করেছেন।
জামাতে নামাজ আদায়ের ফজিলত সম্পর্কে অনেক হাদিস বর্ণিত হয়েছে। নবী (সা.) বলেন, ‘একাকী আদায় করা নামাজের চেয়ে জামাতে আদায় করা নামাজের ফজিলত ২৭ গুণ বেশি।’ (বুখারি)
অন্য হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি জামাতে এশার নামাজ আদায় করল, সে যেন অর্ধেক রাত পর্যন্ত নামাজ আদায় করল। আর যে ব্যক্তি ফজরের নামাজ জামাতে আদায় করল, সে যেন সারা রাত জেগে নামাজ আদায় করল।’ (মুসলিম)
অন্য হাদিসে এসেছে, ‘একজন লোকের সঙ্গে নামাজ আদায় করা একাকী নামাজ আদায় করার চেয়ে উত্তম। আর দুজন লোকের সঙ্গে নামাজ আদায় করা একজনের সঙ্গে নামাজ আদায় করার চেয়ে উত্তম। এ সংখ্যা যতই বৃদ্ধি পাবে, ততই আল্লাহর পছন্দনীয় হবে।’ (নাসায়ি)
জামাতে অনুপস্থিত ব্যক্তির প্রতি নবী (সা.) খুব অসন্তুষ্ট হতেন। মহানবী (সা.) বলেন, ‘মন চাচ্ছে, আমি কাউকে নামাজ পড়ানোর দায়িত্ব দিয়ে কিছু লোককে নিয়ে জ্বালানি কাঠের বোঝাসহ তাদের কাছে যাই, যারা নামাজের জামাতে আসে না এবং আগুন দিয়ে তাদের ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দিই।’ (মুসলিম)
মুফতি খালিদ কাসেমি, শিক্ষক ও ইসলামবিষয়ক গবেষক