খাগড়াছড়ি;- খাগড়াছড়ির রামগড় স্থলবন্দরের কার্যক্রম পুরোপুরি শুরুর আগে এই বন্দর দিয়ে ইমিগ্রেশন কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। আগস্টে রামগড় স্থলবন্দরে ইমিগ্রেশন কার্যক্রম শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. জিল্লুর রহমান চৌধুরী। আজ শুক্রবার সকালে রামগড় স্থলবন্দর পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।
রামগড় স্থলবন্দরে ইমিগ্রেশন চালুর বিষয়ে ভারতের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ ইতিবাচক সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে উল্লেখ করে জিল্লুর রহমান বলেন, সীমান্তের ১৫০ গজের ভেতর হওয়ায় রামগড় স্থলবন্দরের বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণে সময়মতো ভারতের অনাপত্তিপত্র পাওয়া যায়নি। এ কারণে এ বন্দরের বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণকাজ যথাসময়ে সম্পন্ন করা সম্ভব হয়নি। বর্তমানে বন্দরের প্রশাসনিক ও ইমিগ্রেশন ভবন নির্মাণ কাজ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। সম্পূর্ণ অবকাঠামো নির্মাণে কিছুটা সময়ের প্রয়োজন। এ কারণে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু করতে বিলম্ব হচ্ছে। তবে ইমিগ্রেশন কার্যক্রম শুরু করতে প্রস্তত রয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
জিল্লুর রহমানের পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন রামগড় স্থলবন্দরের প্রকল্প পরিচালক মো. সরোয়ার আলম, ইউএনও মমতা আফরিন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইসমত জাহান তুহিন, রামগড় ৪৩ বিজিবির সহকারি পরিচালক রাজু আহমেদ, রামগড় স্থলবন্দরের ইনচার্জ আফতাব উদ্দিন প্রমুখ।
রামগড় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মমতা আফরিন জানান, রামগড় ইমিগ্রেশন কার্যক্রম শুরু করলে বৃহত্তর চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রামসহ সারাদেশের মানুষ রামগড় ও সাব্রুম সীমান্ত পথে ভারত ভ্রমণে যেতে পারবেন। একইভাবে ভারতের ত্রিপুরাসহ আশেপাশের রাজ্যের মানুষও এই সীমান্ত পথে বাংলাদেশে ভ্রমণে আসতে পারবেন। ইতিমধ্যে দক্ষিণ ত্রিপুরার মহকুমা শহর সাব্রুম থেকে আগরতলা পর্যন্ত রেল সার্ভিসও চালু করা হয়েছে বলে। ওখানে মহাসড়কেরও উন্নয়ন করা হয়েছে।