রাঙ্গামাটি:-শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন বলেন, ‘কর্ণফুলী কাগজ কলের ফ্যাসিলিটিজ আছে। কিন্তু কারখানার যন্ত্র পুরোনো, অনেকগুলো নষ্ট হয়ে গেছে। বর্তমানে কাগজের যে চাহিদা আছে তা কর্ণফুলী কাগজ কল যাতে মেটাতে পারে সে জন্য উদ্যোগ নেওয়া হবে, যাতে কেপিএম আবারও ঘুরে দাঁড়াতে পারে।’
আজ শুক্রবার বিকেলে রাঙ্গামাটির কাপ্তাই উপজেলার চন্দ্রঘোনা কর্ণফুলী পেপার মিলস (কেপিএম) পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন মন্ত্রী।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, ‘বিদেশ থেকে কাগজ যাতে আনতে না হয় সে জন্য কোয়ালিটি আরও বাড়াতে হবে। আমাদের যে ফ্যাসিলিটিজ আছে, আমরা বাজার দরে কাগজের বাজারজাত করতে পারব। মিলে নতুনত্ব আনা হবে। অন্য প্রজেক্টের চিন্তাও রয়েছে। মিলে যে বিশাল প্রজেক্ট চালু ছিল, ভবিষ্যতে বাংলাদেশের যেগুলো প্রয়োজন সেগুলা চালু করা হবে।’
কাগজ তৈরির কাঁচামালের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্ব জুড়ে কাঁচামালের অভাব। আমাদের এখন যে ক্যাপাসিটি আছে, অভ্যন্তরীণ বাজারের জন্য যথেষ্ট। তবুও কিছুটা আধুনিক করে আমরা পারব। বিশেষজ্ঞদের দিয়ে সামনে কাজগুলো করাব। কেপিএম আবার ঘুরে দাঁড়াবে।’
‘কিছুটা সময় লাগবে। পুরোনোগুলো চলবে না। ৫৩ সালের বিল্ডিং আর হবে না। অনেকগুলো নষ্ট হয়ে গেছে। এগুলোর যৌবন শেষ হয়ে গেছে, ভেঙে ফেলতে হবে। জায়গা আছে নতুন করে কাজে লাগিয়ে নতুন করে প্রজেক্ট হবে। মিলটি চলবে, দেশের জন্য এটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। বিদেশের ওপর নির্ভর করতে হবে আমাদের।’ বলে মন্তব্য করেন মন্ত্রী।
এ সময় শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব জাকিয়া সুলতানা, বিসিআইসির চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান, কেপিএমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) একে এম আনিসুজ্জামান, রাঙ্গামাটির পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ, রাঙ্গামাটির অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদ সদস্য অংসুই ছাইন চৌধুরী, কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুমন দে, কাপ্তাই উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান মো. নাছির উদ্দীন, ১ নম্বর চন্দ্রঘোনা ইউপি চেয়ারম্যান আক্তার হোসেন মিলনসহ কেপিএমের বিভাগীয় কর্মকর্তা ও সিবিএ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে তিনি কেপিএম লিমিটেডের গেস্ট হাউসে মিলের বিভাগীয় কর্মকর্তা ও শ্রমিক নেতৃবৃন্দের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেন।