শিরোনাম
বঙ্গভবনের সামনের নিরাপত্তা ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা হাসনাত আব্দুল্লাহকে আহ্বায়ক করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কমিটি যে পর্যবেক্ষণে দেশত্যাগে বাধ্য করা হয় বিচারপতি সিনহাকে ‘কোনো একজন ব্যক্তি দ্বারা কোনো একটি দেশ বা জাতি তৈরি হয়নি’ ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ছাত্রলীগ নিষিদ্ধের আলটিমেটাম পদ ছাড়তে রাষ্ট্রপতিকে ২৪ ঘণ্টা সময় দিলেন আন্দোলনকারীরা সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান এখন লন্ডনে, আমিরাতে আরও ৩০০ বাড়ির সন্ধান শাহবাগে না, সভা-সমাবেশ করতে হবে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বান্দরবানে ভিক্টরী টাইগার্সের ৫৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন পাহাড়ে ফসলের নায্যমূল্য পাচ্ছেন না প্রান্তিক চাষীরা, কমেছে মিষ্টি কুমড়ার ফলন রাঙ্গামাটিতে সহিংসতার ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের ক্ষতিপূরণ প্রদান

এবার সর্বাত্মক বাংলা ব্লকেড

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় বুধবার, ১০ জুলাই, ২০২৪
  • ৬৫ দেখা হয়েছে

ডেস্ক রির্পোট:- সংসদে আইন পাস করে কোটা পদ্ধতি সংশোধন করার এক দফা দাবিতে আজ সারা দেশে সর্বাত্মক ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি পালন করবে আন্দোলনকারীরা। সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলবে এ ব্লকেড কর্মসূচি। গতকাল বিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম। এর আগে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি হিসেবে অনলাইন-অফলাইনে সারা দেশের প্রতিনিধিদের সঙ্গে গণসংযোগ করেন আন্দোলনকারীরা। সেই সঙ্গে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করে আন্দোলন অব্যাহত রেখেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীরা। এ ছাড়া আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে নীরব সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থীরা। এদিকে হাই কোর্টের দেওয়া রায় স্থগিত চেয়ে আবেদন করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী। সংবাদ সম্মেলনে নাহিদ ইসলাম বলেন, আজ সকাল-সন্ধ্যা ব্লকেড কর্মসূচি পালিত হবে। দেশের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও রেলপথ এর আওতাভুক্ত থাকবে। দেশের সব কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের নিকটবর্তী সড়ক অবরোধের আহ্বান জানান তিনি। তিনি আরও বলেন, ৫ জুন থেকে আন্দোলনে আছি। এই আন্দোলন শিক্ষার্থীরা নিজ উদ্যোগে করেনি। হাই কোর্টের রায়ের কারণে আন্দোলনের প্রেক্ষাপট তৈরি হয়েছে। অনেকে সাধারণ মানুষের ভোগান্তির কথা বলছেন। আমরাও চাই না সাধারণ মানুষের কোনো ভোগান্তি তৈরি হোক। কিন্তু এখনো নির্বাহী বিভাগের সঙ্গে আমাদের কোনো আলোচনা বা আশ্বাস পাইনি। সংসদে আইন পাসের মাধ্যমে কোটা বৈষম্য নিরসনের দাবি জানাচ্ছি আমরা। আরেক সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, আমরা শিক্ষক, আইনজ্ঞসহ সব স্টেকহোল্ডারের সঙ্গে কথা বলেছি। মিডিয়া রিপোর্ট, টকশোও পর্যালোচনা করেছি। সবদিক পর্যালোচনা করে ৫% কোটা যৌক্তিকতা খুঁজে পেয়েছি। কেবল ক্ষুদ্র নৃ- গোষ্ঠী, প্রতিবন্ধী এবং মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের জন্য কোটা প্রযোজ্য হতে পারে। এই তিন ক্ষেত্র বাদে বাকি যেসব কোটা রয়েছে তা বৈষম্যমূলক।

এদিকে সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল করে জারি করা পরিপত্র অবৈধ ঘোষণা করে হাই কোর্টের দেওয়া রায় স্থগিত চেয়ে আবেদন করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) দুই শিক্ষার্থী। তবে কোটা বিরোধীরা বলছেন, আদালতে ব্যক্তি উদ্যোগে আবেদন করা হয়েছে, আন্দোলনের সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই। আন্দোলনকারীদের কোনো প্রতিনিধি আদালতে যাননি।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে কোনো আইনি প্রক্রিয়া নেওয়া হয়নি। আমাদের দাবি সরকার ও নির্বাহী বিভাগের কাছে। যারা আদালতে গিয়েছেন, নিজ উদ্যোগে গিয়েছেন। এর সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কোনো সম্পর্ক নেই।

বুয়েট শিক্ষার্থীদের নীরব প্রতিবাদ : দেশব্যাপী চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি জানিয়েছে বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থীরা। গতকাল দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের সামনে ১০ মিনিটের নীরব সমাবেশ করেন তারা। যদিও চলমান আন্দোলনে অংশগ্রহণ ছিল না বুয়েট শিক্ষার্থীদের। নীরব সমাবেশে বক্তব্য দেননি কোনো শিক্ষার্থী। এমনকি সাংবাদিকদের সঙ্গেও কথা বলতে তারা রাজি হননি। তবে লিখিত বিবৃতির মাধ্যমে নিজেদের দাবি জানান তারা। বিবৃতিতে শিক্ষার্থীরা বলেন, দেশের সর্বস্তরে কোটা সংস্কারবিষয়ক যে আন্দোলন হচ্ছে, তা অত্যন্ত যৌক্তিক। আমরা বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীরা কোটা সংস্কার আন্দোলনের সঙ্গে সর্বাত্মকভাবে একাত্মতা ও সংহতি প্রকাশ করছি এবং আদালতের প্রতি মেধার মূল্যায়নকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবির পক্ষে অতি দ্রুত রায় দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।

লাগাতার ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধের হুঁশিয়ারি : জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি জানান, কোটা সংস্কার না করা হলে লাগাতার ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। গতকাল বিকালে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ চলাকালে এ হুঁশিয়ারি দেন আন্দোলনকারীরা। এর আগে, বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন তারা। রাবিতে সমন্বিত আন্দোলনের ডাক, ছাত্রলীগের শোডাউন : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি জানান, কোটা সংস্কারের দাবিতে সমন্বিত আন্দোলনের ডাক দিয়েছে শিক্ষার্থীরা। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যেতে চান তারা। এদিকে আন্দোলন চলাকালেই শোডাউন শুরু করে ছাত্রলীগ। গতকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে এ ঘটনা ঘটে। নিজেদের অবস্থান জানান দিয়ে পৃথক শোডাউন দিয়েছে রাবি শাখা ছাত্রলীগ। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা-হিল-গালিবের নেতৃত্বে শতাধিক শিক্ষার্থী এতে অংশ নেন। এই ছাত্রলীগ নেতা বলেন, আমরা কোটার পক্ষেও নই, বিপক্ষেও নই। ক্যাম্পাসে নিজেদের অবস্থান জানান দিতে শোডাউন দিয়েছি। আমরা ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের পাহারাদার হিসেবে অবস্থান করছি।বাংলাদেশ প্রতিদিন

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো
© All rights reserved © 2023 Chtnews24.net
Website Design By Kidarkar It solutions