শিরোনাম
যে পর্যবেক্ষণে দেশত্যাগে বাধ্য করা হয় বিচারপতি সিনহাকে ‘কোনো একজন ব্যক্তি দ্বারা কোনো একটি দেশ বা জাতি তৈরি হয়নি’ ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ছাত্রলীগ নিষিদ্ধের আলটিমেটাম পদ ছাড়তে রাষ্ট্রপতিকে ২৪ ঘণ্টা সময় দিলেন আন্দোলনকারীরা সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান এখন লন্ডনে, আমিরাতে আরও ৩০০ বাড়ির সন্ধান শাহবাগে না, সভা-সমাবেশ করতে হবে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বান্দরবানে ভিক্টরী টাইগার্সের ৫৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন পাহাড়ে ফসলের নায্যমূল্য পাচ্ছেন না প্রান্তিক চাষীরা, কমেছে মিষ্টি কুমড়ার ফলন রাঙ্গামাটিতে সহিংসতার ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের ক্ষতিপূরণ প্রদান রাঙ্গামাটিতে পর্যটক ভ্রমণে নিরুৎসাহিত সময় বৃদ্ধি না করতে প্রদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে — জেলা প্রশাসক বিদায় রাঙ্গামাটি ও রাঙ্গামাটি সরকারী মহিলা কলেজ

কোটা বিরোধী বিক্ষোভ সড়ক-রেল অবরোধ

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ৪ জুলাই, ২০২৪
  • ৭৮ দেখা হয়েছে

ডেস্ক রির্পোট:- প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির চাকরিতে কোটা বাতিল করে ২০১৮ সালে সরকারের জারি করা প্রজ্ঞাপন পুনর্বহালের দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত রেখেছেন শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রত্যাশীরা। দাবি আদায়ে গতকাল রাজধানীর শাহবাগসহ দেশের বিভিন্নস্থানে সড়ক, মহাসড়ক ও রেলপথ অবরোধ করেন তারা। কোটা নিয়ে চেম্বার আদালতে আপিল শুনানির আগের দিন শিক্ষার্থীরা বলেন, রায় পক্ষে না গেলে কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে। কোনোভাবেই শিক্ষার্থীরা বৈষম্যমূলক কোটা পদ্ধতি মেনে নেবেন না। দাবি আদায়ে রাজপথের কর্মসূচি কঠোর থেকে কঠোর হবে। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী গতকাল দুপুর আড়াইটায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্ট্রাল লাইব্রেরির সামনে জড়ো হন শিক্ষার্থীরা।

সেখান থেকে শুরু হয় কোটা বাতিলের দাবিতে গণপদযাত্রা। পদযাত্রাটি টিএসসি, দোয়েল চত্বর, হাইকোর্ট মোড়, মৎস্য ভবন প্রদক্ষিণ শেষে দেড়ঘণ্টা শাহবাগ মোড় অবরোধের মাধ্যমে শেষ হয়। শিক্ষার্থীরা শাহবাগ মোড়ে এলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু বিপুলসংখ্যক আন্দোলনকারীকে থামানো যায়নি। তারা কোটাবিরোধী বিভিন্ন সেøøাগান দিতে থাকেন।

উত্তেজনা তৈরি হলেও শেষ পর্যন্ত পুলিশ রাস্তা ছেড়ে দেয়। শিক্ষার্থীদের অবরোধে ওই এলাকায় তীব্র যানজট তৈরি হয়। ভোগান্তিতে পড়তে হয় সাধারণ মানুষকে। অবরোধ কর্মসূচি থেকে শিক্ষার্থীদের কঠোর হুঁশিয়ারি- রায় পক্ষে না গেলে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। কোটা আন্দোলনের সমন্বয়কারী নাহিদ ইসলাম বলেন, আমরা দেড়ঘণ্টা শাহবাগ মোড় অবরোধের পর আজকের মতো কর্মসূচি শেষ করছি। আগামীকাল সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ কোটা পুনর্বহালের রায় দেবেন। তাই আমরা আগামীকাল বেলা ১১টায় আমাদের অবস্থান কর্মসূচি শুরু করবো। এ সময় আমরা সেন্ট্রাল লাইব্রেরির সামনে অবস্থান গ্রহণ করবো। যদি রায় আমাদের বিরুদ্ধে যায়, তাহলে আমরা নতুন করে কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করতে বাধ্য হবো। এ সময় আন্দোলনকারীরা ‘সংবিধানের/মুক্তিযুদ্ধের মূলকথা, সুযোগের সমতা’, ‘সারা বাংলায় খবর দে, কোটা প্রথার কবর দে’, ‘আঠারোর হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার’, ‘জেগেছে রে জেগেছে, ছাত্রসমাজ জেগেছে’, ‘কোটা প্রথা, বাতিল চাই বাতিল চাই’, ‘কোটা না মেধা, মেধা মেধা’, ‘আপস না সংগ্রাম, সংগ্রাম সংগ্রাম’, ‘মুক্তিযুদ্ধের বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’- স্লোগান দেন। এ সময় এক মুক্তিযোদ্ধার নাতিও কোটার বিরুদ্ধে বক্তব্য রাখেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগে অধ্যয়নরত শ্রবণ নামের ওই শিক্ষার্থী বলেন, আমাদের পূর্ব-পুরুষরা যুদ্ধ করেছিলেন সুযোগের সমতা নিশ্চিত করার জন্য। মানুষের মধ্যে বৈষম্য সৃষ্টি করার জন্য নয়। ৩০ শতাংশ কোটা কখনো সেই সমতার নিশ্চিত করে না। এটা কোনোভাবেই যৌক্তিক হতে পারে না। এটা মেধাবীদের সঙ্গে বৈষম্য। শুধু মুক্তিযোদ্ধা কোটা নয়, জেলা কোটা, নারী কোটাসহ সব কোটা বাতিল করতে হবে। মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের যৌক্তিক দাবি এ আন্দোলনে শামিল হওয়ার আহ্বান জানাই। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, গত ৫ই জুন হাইকোর্টের রায়ের পর থেকে আমাদের আন্দোলন চলমান। আমরা মাঝখানে আল্টিমেটাম দিয়েছিলাম, কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। তাই আমাদের আবারও রাজপথে নেমে আসতে হয়েছে। আমরা স্পষ্ট বলে দিতে চাই, কোটা নিয়ে বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের আপিল বিভাগে শুনানি হবে। আমরা আশা করবো, সেই শুনানি শিক্ষার্থীদের পক্ষে হবে। আমরা যে চার দফা দিয়েছি, তার প্রথম দফা যেন আগামীকালের মধ্যেই পূরণ করা হয়। প্রথম দফা শেষে আমাদের বাকি দফাগুলো যাতে পর্যায়ক্রমে পূরণ করা হয়। আন্দোলনকারীদের চার দফা দাবি তুলে ধরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী শারজিস ইসলাম বলেন, প্রথম দাবি, ২০১৮ সালে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে মেধাভিত্তিক নিয়োগের জন্য একটি পরিপত্র জারি করেছিল। সম্প্রতি হাইকোর্ট তা বাতিল করেছেন, সেটি পুনর্বহাল করতে হবে। আমাদের দ্বিতীয় দাবি হচ্ছে, একটি কমিশন গঠনের মাধ্যমে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য যৌক্তিক কোটা রাখতে পারবে। তৃতীয় দাবি, যারা কোটার ভিত্তিতে নিয়োগ পাবেন, তারা শুধু জীবনে একবারই এই সুযোগ পাবেন। আমাদের সর্বশেষ দাবি হচ্ছে, কোটার ভিত্তিতে নিয়োগের পর যেসব আসন শূন্য থাকবে, সেগুলোতে মেধা তালিকা থেকে নিয়ে পূরণ করতে হবে।

প্রসঙ্গত, গত ৫ই জুন এক রিটের প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট কোটা বাতিলের পরিপত্র অবৈধ বলে রায় দেন। রায়ের বিরুদ্ধে চেম্বার আদালতে আপিল করে সরকার। আজ এ বিষয়ে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানি হবে।

ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক ২ ঘণ্টা অবরোধ জাবি শিক্ষার্থীদের: সরকারি চাকরিতে কোটাপদ্ধতি বাতিল, মেধাভিত্তিক নিয়োগের পরিপত্র বহাল রাখাসহ চার দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক ২ ঘণ্টা অবরোধ করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। গতকাল বিকাল ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে থেকে একটি মিছিল বের হয়। মিছিল নিয়ে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক সংলগ্ন ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে অবরোধ কর্মসূচি পালন করে। এ সময় তারা কোটাবিরোধী বিভিন্ন সেøাগান দেন। সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মাহফুজুল ইসলাম মেঘ বলেন, আমরা স্বাধীনতার ৫০ বছর পরেও এসে দেখছি সরকারি চাকরিতে ৫৬ শতাংশ কোটা বিদ্যমান। এই বৈষম্যের জন্য কি আমরা ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছিলাম? আমাদের বীর মুক্তিযোদ্ধারা কি এই বৈষম্যের জন্য যুদ্ধ করেছিলেন? আমরা আবারো যুদ্ধে নেমেছি এই বৈষম্য দূর করার জন্য।

আগামী ৪ঠা জুলাই যদি সরকার আমাদের দাবি মেনে না নেয় তাহলে সারা দেশ অচল করে দেয়া হবে। আমরা কর্তৃপক্ষকে বলতে চাই, আপনারা সর্বসাধারণের রায় মেনে নিয়ে এ বৈষম্য দূর করুন। আর যদি এই বৈষম্য জারি রাখেন তাহলে বাংলার অদম্য সেনারা তাদের আন্দোলন অব্যাহত রাখবে।

বাকৃবি শিক্ষার্থীদের রেলপথ অবরোধ: একই দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) শিক্ষার্থীরা। এ সময় আন্দোলনকারীরা ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা নেত্রকোনার মোহনগঞ্জগামী মহুয়া কমিউটার ট্রেনটিকে আটকে ইঞ্জিনের সামনে অবস্থান নেন। এতে দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা। গতকাল দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের জব্বারের মোড় রেলক্রসিং এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ শেষে দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে ২টা পর্যন্ত রেলপথ অবরোধ করে রাখেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। এ সময় প্রায় দেড়ঘণ্টা ময়মনসিংহের সঙ্গে ঢাকার রেল যোগাযোগ বন্ধ ছিল। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা আজীবন সর্বোচ্চ সম্মানের যোগ্য। তবে তাদের সম্মান দেয়ার নাম করে কোটা প্রথার মাধ্যমে সাধারণ শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে চরম বৈষম্যের চেষ্টা করা হচ্ছে। ছাত্র সমাজ এই অন্যায় প্রথা মেনে নেবে না। প্রয়োজনে ছাত্র সমাজ রাজপথে কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবে।

মোহনগঞ্জগামী মহুয়া কমিউটার ট্রেনের সুপারভাইজার মো. সারোয়ার হোসেন বলেন, লাল কাপড় টানিয়ে শিক্ষার্থীরা ট্রেন থামাতে বাধ্য করেন। এ সময় আন্দোলনকারীদের বিক্ষোভের মুখে প্রায় এক ঘণ্টা ট্রেনটি আটকা ছিল।
শাবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ: ২০১৮ সালের পরিপত্র বহাল ও সব ধরনের সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। গতকাল দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলচত্বর থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে আবার গোলচত্বরে এসে শেষ হয়। মিছিল পরবর্তী অবস্থান কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী আসাদুল্লাহ আল গালিবের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন সমাজকর্ম বিভাগের শিক্ষার্থী আজাদ শিকদার ও সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ফয়সাল আহমেদ। শিক্ষার্থীরা বলেন, গত ৫ই জুন হাইকোর্টের রায়ে এদেশের শিক্ষার্থীদের আশা-আকাক্সক্ষার প্রতিফলন ঘটেনি। কোটাব্যবস্থা আবার ফিরিয়ে আনা লাখ লাখ শিক্ষার্থীর সঙ্গে প্রহসন। দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের চলমান কোটাবিরোধী আন্দোলনের সঙ্গে আমরা একাত্মতা পোষণ করছি। কোটাপ্রথা বাতিল না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাবো।

কাফনের কাপড় পরে মহাসড়ক অবরোধ ববি শিক্ষার্থীদের: সরকারি চাকরিতে কোটা পুনর্বহাল রেখে হাইকোর্টের আদেশের প্রতিবাদে তৃতীয় দিনের মতো ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়ক অবরোধ করেছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) শিক্ষার্থীরা। এ সময় কাফনের কাপড় পরে রাস্তা অবরোধ করে আন্দোলনকারীদের কেউ কেউ। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে বেলা ১১টায় মানববন্ধন কর্মসূচি পালন শেষে প্রায় দুই ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে রাখেন তারা। ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী তামিম ইকবাল রাজু বলেন, আমরা অবশ্যই আন্দোলন চালিয়ে যাবো। যতদিন পর্যন্ত রায়টা আমাদের পক্ষে না আসে ততদিন আমরা কর্মসূচি পালন করবো। প্রয়োজনে ক্লাস, পরীক্ষাও বয়কট করা হবে। আইন বিভাগের শিক্ষার্থী শহিদুল ইসলাম বলেন, সংবিধানের ২৯নং অনুচ্ছেদে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে- প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োগ বা পদ লাভের ক্ষেত্রে সকল নাগরিকের ক্ষেত্রে সুযোগের সমতা থাকবে।

মহাসড়ক অবরোধ চবি শিক্ষার্থীদের: সরকারি চাকরিতে কোটাপদ্ধতি বাতিলের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থীরা। গতকাল দুপুর ১টা থেকে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’-এর ব্যানারে শহীদ মিনার চত্বর থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন, কলা অনুষদ, বুদ্ধিজীবী চত্বর, কাটা পাহাড় ও জিরো পয়েন্ট মোড় হয়ে ১নং গেট সংলগ্ন চট্টগ্রাম-রাঙ্গামাটি মহাসড়কে গিয়ে অবরোধের মাধ্যমে শেষ হয়। শিক্ষার্থীদের এক ঘণ্টার অবরোধে ৭ কিলোমিটারেরও বেশি যানজটের সৃষ্টি হয়। আন্দোলনে আসা মশিউর নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, আমার চেয়ে কম মেধাবী কেউ কোটার মাধ্যমে চাকরি পাবে, আর আমি বেকার বসে থাকবো এটি কখনোই হতে পারে না। মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ নিশ্চিত করতে হবে।
বৃষ্টির মধ্যে সড়ক অবরোধ শেকৃবি শিক্ষার্থীদের: কোটাবিরোধী আন্দোলনের অংশ হিসেবে রাজধানীর আগারগাঁও-ফার্মগেট পথ অবরোধ করেছে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। গতকাল বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে জড়ো হয়ে একটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে শিক্ষার্থীরা। এ সময় শিক্ষার্থীরা তাদের দাবি উত্থাপন করে। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, আমাদের আন্দোলনের মূল দাবি সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে বৈষম্যমূলক কোটা প্রথার পুনর্বিন্যাস। আমরা মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী নই, বরং দেশের অগ্রগতি রক্ষায় দেশের সকল চাকরি ক্ষেত্রে মেধাবী শিক্ষার্থীদের সুযোগ নিশ্চিতেই আমাদের আন্দোলন।

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো
© All rights reserved © 2023 Chtnews24.net
Website Design By Kidarkar It solutions