ডেস্ক রির্পোট:- আট মাসের বেশি সময় ধরে গাজায় নৃশংস হত্যাকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইলি বাহিনী। উপত্যকাটির উত্তরাঞ্চল থেকে তারা এই ধ্বংসযজ্ঞের সূচনা করে। পরে ক্রমান্বয়ে ইসরাইলের হামলা পুরো গাজা উপত্যকায় বিস্তৃতি লাভ করে। উপত্যকাটিতে যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে বেশ কয়েকটি অঞ্চলকে ‘মানবিক অঞ্চল’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়। গাজার আল-মাওয়াসি এমনই একটি মানবিক অঞ্চল। বলা হয়েছিল এই অঞ্চলে হামলা থেকে বিরত থাকবে ইসরাইল। তবে ঘোষিত মানবিক অঞ্চলেও হামলা চালিয়েছে তারা। বুধবার আল-মাওয়াসি শরণার্থী শিবিরে ইসরাইল ডিফেন্স ফোর্সের হামলায় অন্তত ৭ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে খবর দিয়েছে অনলাইন আল জাজিরা।
গণমাধ্যমটি বলছে, পশ্চিম রাফার আল-মাওয়াসি নামক মানবিক করিডোরে বিমান থেকে বোমা বর্ষণ করেছে ইসরাইল। এতে সেখানে অন্তত ৭ ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন। এছাড়া স্থানীয় সূত্রের বরাতে জানা গেছে, সেখানে ইসরাইলি হামলায় বহু মানুষ আহত হয়েছেন এবং শরণার্থী শিবিরের বেশ কয়েকটি তাঁবুতে আগুন লেগে সেগুলো পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে।
তুর্কি গণমাধ্যম হুরিয়াত ডেইলি নিউজের এক খবরে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার দিবাগত রাতে গাজার দক্ষিণাঞ্চলে কামান ও বিমান থেকে ভারি গোলা বর্ষণের পাশাপাশি উত্তর গাজায় শেখ রাদওয়ান নামক এলাকায় বিমান হামলায় পুরোপুরি ধ্বংস্তূপে পরিণত হয়েছে বেশ কয়েকটি বসতবাড়ি। সেখান থেকে অন্তত ছয় নিহত ফিলিস্তিনির মৃতদেহ উদ্ধার করেছে উদ্ধারকর্মীরা।
গাজায় নিয়োজিত যেসকল স্বাস্থ্যকর্মী রয়েছে তারাও ইসরাইলি বাহিনী থেকে নিরাপদ নয়। ইসরাইলি বাহিনীর বিরুদ্ধে স্বাস্থ্যকর্মীদের অপহরণের অভিযোগ করেছে গাজার কর্মকর্তারা। আল জাজিরার পৃথক আরেক খবরে বলা হয়েছে, এখন পর্যন্ত অন্তত ৩১০ স্বাস্থ্যকর্মীকে অপহরণ করেছে ইসরাইলি বাহিনী। অপহৃত এসব স্বাস্থ্যকর্মীকে অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানিয়েছেন গাজার কর্মকর্তারা। তাদের ওপর নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে। এবিষয়ে আন্তর্জাতিক তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
উল্লেখ্য, ৭ অক্টোবর থেকে ইসরাইলি হামলায় এ পর্যন্ত ৩৭ হাজার ৩৭২ ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও ৮৫ হাজার ৪৫২ ফিলিস্তিনি।