শিরোনাম
রাঙ্গামাটির কাপ্তাইয়ে বাংলাদেশ-সুইডেন পলিটেকনিকে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ থেকে আওয়ামীপন্থীদের অপসারণ করে জেলা পরিষদ পুনর্গঠনের দাবি রাঙ্গামাটির লংগদুতে জেলা পরিষদের সদস্য মিনহাজ মুরশীদ ও হাবীবকে সংবর্ধনা রাঙ্গামাটিতে বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসা সেবা: ৬৭৬ রোগীর চিকিৎসা রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদ পুনর্গঠনে তীব্র ক্ষোভ জনমনে: বিতর্কিত নিয়োগ বাতিলের দাবি আওয়ামী লীগ পাহাড়ে বিভাজনের রাজনীতির জন্য দায়ী : ওয়াদুদ ভূইয়া রাঙ্গামাটির কাপ্তাইয়ে মোটরসাইকেল-চোলাইমদসহ গ্রেপ্তার ৩ বান্দরবানে সেনাবাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে কেএনএফের তিন সদস্য নিহত বাণিজ্য সম্ভাবনায় ‘সেভেন সিস্টার্স’ দুবাইয়ে বিপু-কাজলের ২০০ কোটির দুই ভিলা

আমি কখনো একটি পয়সাও নিইনি: দুর্নীতির অভিযোগের জবাবে মাহাথির মোহাম্মদ

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় রবিবার, ১৬ জুন, ২০২৪
  • ১০৯ দেখা হয়েছে

ডেস্ক রির্পোট:- ক্ষমতার অপব্যবহার করে নিজের ও পরিবারকে সম্পদশালী করার অভিযোগে মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদের বিরুদ্ধে আনীত দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আধুনিক মালয়েশিয়ার রূপকার মাহাথির মোহাম্মদ। কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরার সঙ্গে বিশেষ এক সাক্ষাৎকারে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের দিকে ইঙ্গিত করে এশিয়ার এ লিজেন্ড বলেছেন, আমার বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের প্রমাণ থাকলে তা আদালতে পেশ করুন। আমি দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে বেতন হিসেবে যে অর্থ পেয়েছি, সে অর্থই আমার জন্য অনেক ছিল। তবে আমার সে অর্থের বেশির ভাগ এখন শেষ হয়ে গেছে।

এদিকে মালয় ম্যান্ডেলা খ্যাত বর্তমান প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম মাহাথির মোহাম্মদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তোলায়, প্রায় ১৫ কোটি রিঙ্গিত (৩ কোটি ২০ লাখ মার্কিন ডলার) ক্ষতিপূরণ চেয়ে মানহানির মামলা করতে চলেছেন অশীতিপর মুসলিম বিশ্বের কণ্ঠস্বর এ লিজেন্ড। তার বিরুদ্ধে আনোয়ার ইব্রাহিম অভিযোগ তুলে বলেছিলেন, ক্ষমতায় থাকাকালে মাহাথির মোহাম্মদ ক্ষমতার অপব্যবহার করে নিজের ও পরিবারকে সম্পদশালী করেছেন।

এ বিষয়ে খোলাসা করে মাহাথির জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে পাওয়া বেতনই আমার জন্য অনেক বেশি অর্থ ছিল। আমাকে বাড়ি-ড্রাইভারসহ গাড়ি দেওয়া হয়েছিল। সরকার থেকে আমার বিদ্যুৎ-পানির বিল দেওয়া হতো। আমাকে কোনো কিছুর জন্য অর্থ খরচ করতে হতো না। এমনকি উড়োজাহাজ ভাড়াও দিতে হতো না। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সরকার থেকে সব সুবিধা পেতাম।

২৯ বছরের বেশি সময় ধরে আমি আমার বেতনের অর্থসঞ্চয় করতে পেরেছি।

সম্প্রতি মালয়েশিয়ার দুর্নীতি দমন কমিশন (এমএসিসি) বর্ষীয়ান এই নেতার বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে তদন্ত শুরু করলে মাহাথির মোহাম্মদ বলেন, আমি ওই অর্থ দেখিনি। কোথায় আছে, তা-ও জানি না। আমি জানতে আগ্রহী। যদি আমি অর্থ নিয়ে থাকি, আদালতকে বলুন, কীভাবে আপনি (আনোয়ার ইব্রাহিম) তা জানতে পেরেছেন।

মাহাথির মোহাম্মদ আরও বলেন, শুরুতে তিনি (আনোয়ার) তার কাছে ফাইল ও বাক্সভর্তি তথ্য থাকার কথা বলেছিলেন। যেগুলোতে আমার অর্থ আত্মসাতের প্রমাণ আছে। খুব ভালো, যদি থেকে থাকে তবে দেখান; যদিও এখন পর্যন্ত তিনি কিছু দেখাননি। এখন তিনি আমাকে ছেড়ে আমার সন্তানদের পেছনে লেগেছেন।

মালয়েশিয়ার হিস্ট্রি বলছে, ১৯৮১ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত টানা ২৩ বছর মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন মাহাথির মোহাম্মদ। তারপর তিনি স্বেচ্ছায় ক্ষমতা ছেড়ে অবসরে যান। অবসর থেকে ফিরে নিজ দলের বিরুদ্ধে গিয়ে বিরোধী দলের হয়ে ২০১৮ সালে তিনি আবার নির্বাচন করে প্রধানমন্ত্রী হন এবং ২০২০ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।

মাহাথির মোট ২৫ বছর মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন এবং এই সময় তিনি যে বেতন পেয়েছেন, শুধু সেই অর্থই তার কাছে ছিল বলে দাবি করেছেন। তিনি এ বিষয়ে আল জাজিরাকে স্পষ্ট করে বলেছেন, পরে নির্বাচন করতে গিয়ে সেই অর্থও খরচ হয়ে গেছে। ১৯৮১ সালে তিনি যখন প্রথম প্রধানমন্ত্রী হন, তখন তার বেতন ছিল ১ হাজার ৭০০ মার্কিন ডলার যা মালয়েশিয়ার ৮ হাজার রিঙ্গিত প্রায় এবং ক্ষমতা ছাড়ার সময় তার বেতন ছিল ৪ হাজার ২৪০ ডলার যা ২০ হাজার রিঙ্গিতের সমান।

তিনি আরও বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী পদ ছাড়ার পর সরকার থেকে তাকে পুত্রাজায়ায় বিনা মূল্যে পাঁচ একর জমি দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিলো। পরে তিনি ১০ লাখ রিঙ্গিতে (২ লাখ ১২ হাজার ডলার) সেই জমি কিনে নিয়েছেন। সরকারি রেকর্ড আছে, আমি কখনো সরকার থেকে ফ্রি একটি পয়সাও নিইনি।

সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে খুব বেশি সুবিধা করতে না পেরে আনোয়ার ইব্রাহিম এখন তার বড় দুই ছেলে মিরজান মাহাথির ও মখজানি মাহাথিরের পেছনে লেগেছেন।

এদিকে ১৯৯০ ‘র দশকে প্রধানমন্ত্রী মাহাথিরের উপপ্রধানমন্ত্রী ছিলেন আনোয়ার। তিনি মাহাথিরের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, তিনি রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের বিরুদ্ধে আইনি জটিলতায় জড়ান না। মাহাথিরের বিরুদ্ধে চলমান তদন্তে তিনি কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ করছেন না।

উল্লেখ্য যে, গত জানুয়ারিতে মাহাথিরের দুই ছেলে মিরজান ও মখজানির প্যান্ডোরা ও পানামা পেপারস ফাঁসের পর তাদের সম্পদের হিসাব দেখাতে বলেছিলো মালয়েশিয়ার দুর্নীতি দমন কমিশন (এমএসিসি)। এর তিন মাস পর এপ্রিলে এমএসিসি জানায়, তারা মাহাথিরের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে তদন্ত করছে।

মাহাথির দাবি করেন, তিনি ক্ষমতায় থাকাকালে তার ছেলেদের ব্যবসা করতে নিষেধ করেছিলেন। তিনি বলেন, আমি চাইনি আমার বিরুদ্ধে স্বজনপ্রীতির অভিযোগ উঠুক। আমি ক্ষমতা ছাড়ার পর মখজানি তার ব্যবসায়ে সফল হয়েছে। আমি প্রধানমন্ত্রী থাকার সময় সে সফল ব্যবসায়ী ছিল না। তখন সে পেট্রোলিয়ম কোম্পানিতে চাকরি করতো।

মাহাথির আরো বলেন, দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমি সরকার থেকে সরে গেলেও রাজনীতিতে জড়িত ছিলাম। দল চালাতে আমার নিজের জমানো তহবিল ছাড়া অর্থের আর কোনো উৎস ছিল না। আমার বেশির ভাগ অর্থই রাজনীতিতে খরচ হয়ে গেছে।

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো
© All rights reserved © 2023 Chtnews24.com
Website Design By Kidarkar It solutions