ডেস্ক রির্পোট:- আলোচিত নারী উদ্যোক্তা রোবাইয়াত ফাতিমা তনির ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ‘সানভীস বাই তনি’র গুলশানের শোরুম খুলে দেওয়ার আদেশ দিয়েছেন উচ্চ আদালত।
সোমবার (১০ মে) তনির রিট পিটিশনের শুনানি শেষে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসাই দোলনের বেঞ্চ এ আদেশ দিয়েছেন।
এর আগে গত ২১ মে রিট পিটিশনটি দায়ের করেন রোবাইয়াত ফাতিমা তনি। তখন তনির শোরুম বন্ধ কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে জারি করেছিলেন আদালত। সোমবার তনির পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সৈয়দ খালেকুজ্জামান অরুন ও রবিউল আলম বুদু। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায় ও অন্যান্যরা।
উল্লেখ্য, গত ১৩ মে সানভীস বাই তনির পুলিশ প্লাজায় অবস্থিত প্রধান শাখায় অভিযান চালিয়ে বন্ধ করে দেন ভোক্তা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আব্দুল জব্বার মন্ডল। পরের দিন অধিদপ্তরের দুটি অপরাধের দায়ে ৫০ হাজার ও দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। লুবনা ইয়াসমিন নামের এক নারীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ইন্দ্রানী রায়। লুবনা ইয়াসমিন নামের ওই ক্রেতা সানভীস থেকে একটি পোশাক কিনেছিলেন ৯ ফেব্রুয়ারি। এর ৫৩ দিন পর ৩ এপ্রিল ওই নারী ভোক্তা অধিদপ্তরে অভিযোগ করেন। ফলে তার অভিযোগটি আমলযোগ্য নয় বলে মনে করেন তনির আইনজীবী সৈয়দ খালেকুজ্জামান অরুন।
অন্যদিকে, রাজু নামের এক ব্যক্তির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। তবে রাজু নামে আসলে কেউ অভিযোগ করেননি বলে দাবি করেছেন তনি। রাজু নামের কারো অভিযোগের জন্য তনিকে কোনো নোটিশ বা শুনানি করা হয়নি বলেও জানান তনি।
এ ছাড়া লুবানার অভিযোগের শুনানি হয় ঢাকা বিভাগীয় উপপরিচালক ইন্দ্রানী রায়ের অধীনে। অন্যদিকে জব্বার মণ্ডল ঢাকা জেলা কার্যালয়ের সহকারি পরিচালক। ইন্দ্রানীর কাছে শুনানি থাকলেও একই সময় জব্বার মণ্ডল সেখানে গিয়ে ভুয়া অভিযোগে দুই লাখ জরিমানা করেন। জরিমানার টাকা না দিলে অন্যান্য শোরুম বন্ধ করে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করেন বলে রিট পিটিশনে উল্লেখ করেছেন তনি।
এ বিষয়ে রোবাইয়াত ফাতিমা তনি বলেন, আমি আদালতে ন্যায় বিচার পেয়েছি। আমার শোরুম অবৈধভাবে বন্ধ করেছিল। জরিমানা করার পরও শোরুম বন্ধ করে আমার ক্ষতি করা হয়েছে। এজন্য আদালতে এসেছিলাম।
এ বিষয়ে জব্বার মন্ডল গণমাধ্যমকে বলেন, আইন মেনেই সব পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। উচ্চ আদালত যে সিদ্ধান্ত দিয়েছে সে বিষয়ে অধিদপ্তরের আইনজীবীরা কথা বলবেন।