ডেস্ক রির্পোট:- দীর্ঘদিন থেকে দেশের অর্থনীতিতে অস্বস্তিকর অবস্থা চলছে। সামষ্টিক অর্থনীতির প্রত্যেকটি সূচকে ক্ষত রয়েছে। এটি এরমধ্যে রয়েছে- উচ্চমূল্যস্ফীতি, রাজস্ব আহরণে নিম্নগতি, ব্যয় ব্যবস্থাপনায় সঙ্কট, ব্যাংকিংখাতের দুরাবস্থা, রফতানিতে নিম্ন প্রবৃদ্ধি, আমদানি নেতিবাচক, বিনিয়োগ স্থবির, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ তলানিতে এবং মুদ্রার বিনিময় হারে বার বার পরিবর্তন। এর সবকিছুই মানুষের উপর প্রভাব ফেলছে। এ অবস্থায় আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত ছিল, মূল্যস্ফীতি কমিয়ে মানুষকে স্বস্তি দেয়া। কিন্তু প্রস্তাবিত বাজেট সে পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়েছে। কমানো দূরের কথা, উল্টো উস্কে দেয়া হয়েছে, মূল্যস্ফীতি। এছাড়াও মাত্র ১৫ শতাংশ কর দিয়ে বিনাপ্রশ্নে কালো টাকা বিনিয়োগের যে সুযোগ দেয়া হয়েছে। এটি সৎ করদাতাদের তিরস্কার করা। আর বর্তমান সময়ের জন্য আর্থিক খাতে স্থিতিশীলতা ফেরাতে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনা ও বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ানোর যে লক্ষ্য নতুন অর্থবছরের বাজেটে নেওয়া হয়েছে, তা পূরণে বাস্তবসম্মত কোনো দিকনির্দেশনা নেই। তাই চাপে থাকা সামষ্টিক অর্থনীতির পুনরুদ্ধারের পথ দেখাতে প্রস্তাবিত বাজেট ‘ব্যর্থ হয়েছে’।
গতকাল রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি) আয়োজিত বাজেট বিশ্লেষণে এসব কথা বলা হয়। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সিপিডির বিশেষ ফেলো প্রফেসর ড. মোস্তাফিজুর রহমান, নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন, গবেষণা পরিচালক ড. খোন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম এবং সিনিয়র রিসার্স ফেলো তৌফিকুল ইসলাম খান। তারা বলেন, বাজেটে সামষ্টিক অর্থনৈতিক কাঠামোর সূচকগুলোকে এমনভাবে মূল্যায়ন করা হয়েছে, তা বাস্তবতার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। এটি বিশেষ সময় একটি সাধারণ বাজেট। বর্তমানে অর্থনৈতিক সঙ্কট চলছে সেখানে সামাজিক নিরাপত্তায় বরাদ্দ বাড়ানো এবং কর সুবিধা দিয়ে উচ্চ মূল্যস্ফীতির চাপ কমিয়ে জনজীবনে স্বস্তি আনার পদক্ষেপ দরকার ছিল। কিছু পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে কিন্তু সেটি পর্যাপ্ত নয়। সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা ফেরাতে দিক নির্দেশনা নেই। লক্ষ্যমাত্রাগুলো উচ্চাবিলাসী। বাস্তবতার সঙ্গে এর মিল নেই। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের লক্ষ্যমাত্রা কীভাবে সেটি অর্জিত হবে, তা বলা হয়নি। সব মিলিয়ে এ বাজেট দিয়ে চলমান সংকট মোকাবেলা সম্ভব হবে না।
প্রসঙ্গত, আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সরকার। গত বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে এই প্রস্তাব পেশ করেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। এখানে আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ লাখ ৪১ হাজার কোটি। ঘাটতি ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা।
ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, দেশে ঋণ খেলাপি, করখেলাপি এবং টাকার পাচারের একটি দুষ্টচক্র তৈরি হয়েছে। এদেরকে রাজনৈতিকভাবে প্রণোদনা দেয়া হচ্ছে। এবারের বাজেটে ১৫ শতাংশ কর দিয়ে কালো টাকা বিনিয়োগের সুযোগ দেয়া হয়েছে। সেখানে নতুন একটি ঘোষণা দেয়া হয়েছে, ১৫ শতাংশ কর দিলে, তার আয় নিয়ে আর কোনো প্রশ্ন করা যাবে না। এটি এবার নতুন করে যোগ করা হয়েছে। যা আগে ছিল না। এটা কোনোভাবেই অগ্রহণযোগ্য। অর্থনৈতিকভাবেও ফলপ্রসূ না। এ ধরনের সুযোগ সরকারের নির্বাচনী ইশতেহার এবং রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগের দর্শনের পরিপন্থী। কারণ আওয়ামী লীগের নির্বাচনে দুর্বৃত্তদের ব্যাপারে জিরো টলারেন্সের কথা বলা হয়েছে। অন্যদিকে যাদের কাছে কালো টাকা আছে, তারা মনে করে এই ১৫ শতাংশই আমরা কেন দেবো। তারা টাকা হয়তো পাচার করে ফেলেছে। তিনি বলেন, দেশে মূল্যস্ফীতি বাড়ছে। কিন্তু সাধারণ মানুষের আয় বাড়ছে না। ফলে তারা চাপের মধ্যে আছে। তিনি বলেন, সরকারের হিসেবে মূল্যস্ফীতি গড়ে বাড়ছে। এখানে সুই সুতাসহ সবকিছু আছে। কিন্তু কম আয়ের মানুষ যে সব পণ্য ব্যবহার করে, সেই তালিকা ধরলে মূল্যস্ফীতি ১০ শতাংশ নয়। সিপিডির হিসাবেই গত দুই বছর ধরে এই মূল্যস্ফীতি ২০ শতাংশের উপরে। অর্থাৎ নিম্ন আয়ের মানুষের ক্রয় ক্ষমতার ব্যাপকভাবে অবনমন হয়েছে।
ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, দুই বছর যাবত বাংলাদেশের অর্থনীতি বড় ধরনের চাপে রয়েছে। নিম্ন প্রবৃদ্ধি, উচ্চ মূল্যস্ফীতি এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নড়বড়ে হয়ে গেছে। অর্থনীতির সবগুলো সূচকে ক্ষত দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় আমাদের প্রত্যাশা ছিল, বাজেটে ভালো কিছু পদক্ষেপ থাকবে। এক্ষেত্রে দুটি জায়গায় কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার দরকার ছিল। একটি হলো মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ অন্যটি বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ানো। এছাড়াও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে পদক্ষেপ নেয়া জরুরি। অবস্থায় বাজেটের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত ছিল মূল্যস্ফীতি কমিয়ে মানুষকে স্বস্তি দেওয়া। কিন্তু সেটি করা হয়নি। তিনি বলেন, আমাদের সামষ্টিক অর্থনীতির প্রত্যেকটি জায়গায় অস্বস্তিকর অবস্থা রয়েছে। এরমধ্যে রাজস্ব আহরণ, ব্যয় ব্যবস্থাপনা, ব্যাংক থেকে উচ্চ হারে ঋণ গ্রহণ, ব্যাংকিংখাতের দুরাবস্থা, তারল্য সীমিত হয়ে আসা, রফতানিতে নিম্নগতি, রেমিট্যান্স বাড়ছে না। বেসরকারিখাতের বিনিয়োগ স্থবির, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ তলানিতে যাচ্ছে, কমছে আমদানি, মুদ্রার বিনিময় হারে বার বার পরিবর্তন হচ্ছে। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতেও নিম্নগতি এবং পণ্য সরবরাহে সমস্যা রয়েছে। এ অবস্থায় বাজেটে আগামী অর্থবছরে সামষ্টিক অর্থনৈতিক কাঠামোর সূচকগুলোকে এমনভাবে মূল্যায়ন করা হয়েছে, তা বাস্তবতার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়।
যেমন- আগামী অর্থবছরের জন্য মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে, ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ। কিন্তু চলতি অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা কমিয়ে ৫ দশমিক ৮ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে। বিশ্বব্যাংক ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলসহ (আইএমএফ) বিভিন্ন সংস্থাগুলো প্রবৃদ্ধি আরও কমিয়ে দিয়েছে। ফলে এই প্রবৃদ্ধির হার অনেক উচ্চাবিলাসী। কারণ এটি অর্জনের জন্য যে বিনিয়োগ দরকার, সেটি সম্ভব নয়। অন্যদিকে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে যে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে, সেটিও অবাস্তব। আগামী অর্থবছরে মোট বিনিয়োগের কথা বলা ৩৩ শতাংশ। এরমধ্যে বেসরকারি বিনিয়োগ জিডিপির ২৭ দশমিক ৩ শতাংশ। এই পরিমাণ বিনিয়োগের জন্য অতিরিক্ত ৩ লাখ ৪৪ হাজার কোটি টাকা দরকার। এই টাকা কোথা থেকে আসবে, তা পরিষ্কার নয়। বেসরকারিখাতের ঋণের প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে ৯ শতাংশ। কিন্তু আমরা দেখছি, সরকার তার খরচ মেটাতে ব্যাংক থেকে ঋণ নিচ্ছে। এতে বেসরকারিখাতে ঋণের সুযোগ কমে যাচ্ছে। এ অবস্থায় ৯ শতাংশ ঋণ বাড়িয়ে কীভাবে ২৭ শতাংশ বিনিয়োগ হবে, তা চিন্তার বিষয়। এছাড়াও বিনিয়োগের পরিবেশ উন্নত নয়। অন্যদিকে মূল্যস্ফীতি সাড়ে ৬ শতাংশ পর্যন্ত ধরা হয়েছে। কিন্তু গত দুই বছর পর্যন্ত মূল্যস্ফীতি ৯ শতাংশের উপরে। এ অবস্থায় আগামী ১২ মাসে সেটি কমে কীভাবে সাড়ে ৬ শতাংশ হবে, সেটি বোধগম্য নয়। ফলে এটি অবাস্তব লক্ষ্য। বহিখাতে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে, সেটিও উচ্চাবিলাসী। বিশেষ করে চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে মে পর্যন্ত রফতানির প্রবৃদ্ধির ছিল ২ শতাংশ। সেখানে কীভাবে আগামী অর্থবছরে ৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হবে, তা পরিস্কার নয়। অন্যদিকে চলতি অর্থবছরে আমদানিতে প্রবৃদ্ধি নেতিবাচক। সেখানে প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে ১০ শতাংশ। অর্থাৎ নেতিবাচক অবস্থা থেকে কীভাবে ১০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হবে, তা বুঝে আসে না। এছাড়াও ২০২৫ সালে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ গ্রস ধরা হয়েছে ৩২ বিলিয়ন ডলার। কিন্তু ৫ জুন পর্যন্ত গ্রস রিজার্ভ ছিল ২৪ বিলিয়ন ডলার। এছাড়াও বর্তমানে এক মার্কিন ডলার কিনতে ১১৭ দশমিক ৯ টাকা লাগে। সেখানে আগামী অর্থবছরে তা ১১৪ টাকায় নামিয়ে আনার কথা বলা হয়েছে। সেক্ষেত্রে কীভাবে এই বিনিময় হার কমবে এবং এরফলে অর্থনীতিতে কী পড়বে সেটি বিবেচ্য নয়। অন্যদিকে সরকারের দায়দেনা পরিস্থিতি বাড়ছে। জিডিপির অংশ হিসেবে সরকারের মোট দেনা ৩৮ শতাংশ হবে। অর্থাৎ বাজেটে সামষ্টিক অর্থনৈতিক কাঠামোর যে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে, সেখানে বাস্তবতাকে বিবেচনায় নেয়া হয়নি। সুতারং নীতি নির্ধারণের জন্য বাস্তবসম্মত লক্ষ্যমাত্রা খুবই জরুরি। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচীতে লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবসম্মত নয়। ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, বাজেটের মূল বিষয় রাজস্ব কাঠামোতে দেখা যাচ্ছে, রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৩ দশমিক ২ শতাংশ। আর মোট রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে, জিডিপির ৯ দশমিক ২ শতাংশ। টাকার অংকে যা ৫ লাখ ৪১ হাজার কোটি টাকা। এটি সম্ভব হবে না। বাজেটের মোট ব্যয় জিডিপির ১৪ দশমিক ২ শতাংশ। অন্যদিকে উন্নয়ন ব্যয়ের চেয়ে সরকারের পরিচালন ব্যয় বেশি। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচীর আকার মোট ব্যয়ের ৩৩ শতাংশ।
সিপিডির নির্বাহী পরিচালক বলেন, রিজার্ভে লক্ষ্য অর্জন করতে হলে বছর জুড়ে ব্যাপক রিজার্ভ আনতে হবে। অথচ টাকার মান বাড়ানোর কথা শোনা যাচ্ছে। এবারের বাজেটে কিছু পণ্যের শুল্ক কমানোর প্রস্তাব করা হলেও বরাবরের মতোই এর সুবিধা ভোক্তাদের কাছে কতটা পৌঁছাবে তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। যেসব পণ্যের শুল্ক রেয়াত দেওয়া হলো তার সুবিধা ভোক্তা কতটা পাবে সেটাই প্রশ্ন। কারণ বাজারে সেভাবে দাম কমে না। আর যেখানে কর বাড়ানো হলো সেটা কিন্তু ঠিকই ভোক্তাদেরই দিতে হয়। অর্থাৎ দিন শেষে ভোক্তাদের ওপরই বেশি চাপ পড়ে যায়। ফাহমিদা খাতুন বলেন এবার কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেয়া হয়েছে। যারা নিয়মিত কর দেয় তাদের সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ পর্যন্ত কর দিতে হবে, অথচ যারা কর দেননি কিংবা অসৎভাবে আয় করেছেন তাদের জন্য ১৫ শতাংশ। তিনি প্রশ্ন করেন এটা কোন ধরনের সামাজিক ন্যায্যতা। এ ধরনের উদ্যোগ সৎ করদাতাদের প্রতি অন্যায়। নৈতিকভাবেও গ্রহণযোগ্য না। আগে এই সুযোগ দেয়া হয়েছে। কিন্তু এতে খুব বেশি কালো টাকা সাদা হয় না। যদি হতো তাহলে কর জিডিপির হার এত কম থাকার কথা নয়। মূলত এর মাধ্যমে যারা কর ফাঁকি দিচ্ছে তাদের উৎসাহিত করছে, আর কর যারা দেয় তাদের তিরষ্কৃৃত করা হচ্ছে। ফাহমিদা খাতুন বলছেন, এমপিদের কাছে গাড়ির শুল্ক দেয়ার আবেদন করা হয়েছে। এর জন্য আইন পরিবর্তন করতে হবে এমপিদেরকেই। দেখা যাক সেই পরিবর্তন এনে তারা কিছুটা হলেও কর দেয়ার উদারতা দেখাতে হবে।
ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন বাজেটে যেসব পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে সেগুলো মূল্যস্ফীতি কমানো দূরে থাক, বরং উস্কেও দিতে পারে। পাশাপাশি সাধারণ মানুষের জন্য খাদ্য বহির্ভূত মূল্যস্ফীতিও বড় চাপের কারণ হয়ে উঠতে পারে। কারণ বাজেটে বিভিন্ন সেবার ওপর কর বসেছে যেগুলো পেতে মানুষকে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হবে। আবার বিদ্যুৎ ও জ্বালানির ক্ষেত্রে বছরে চার বার মূল্যবৃদ্ধি হবে। সে কারণে সেবার ব্যয় বাড়বে। আবার যেসব খাতে শুল্ক ছাড় দিয়েছে তার সুবিধা আমদানিকারকদের পকেটে যাবে। এগুলোর সুফল সাধারণ মানুষ পায় না। খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম আরও বলেন বাজেটটিকে একটি নতুন সরকাররে নতুন বাজেট বলে মনে হয়নি। একজন নতুন অর্থমন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীর কাছ থেকে যে ধরনের মুন্সিয়ানা আশা করা হয়েছিল, সেটি তারা দেখাতে পারেননি। এ সময়ে সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা দেখার বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। সেজন্য যতটা আর্থিক সংকোচন দরকার-সেটা সাধারণ মানুষের ওপর যেভাবে চাপানো হচ্ছে তা কিন্তু সরকারি ব্যয়ের ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে না। আবার সরকারের হাতে কালো টাকা ধরার কার্যকর কোনো ব্যবস্থাও নেই। আমাদের রাজস্বনীতি যেভাবে করা হয়, তা ব্যক্তি কিম্বা গোষ্ঠী কেন্দ্রীক।