ডেস্ক রির্পোট:- সংসদ সদস্য (এমপি) আনোয়ারুল আজিম আনার কলকাতায় খুন হওয়ার বিষয়টির তদন্তে নেমে দুই আসামি গ্রেপ্তারের পাশাপাশি দুই তরুণীকে জিম্মায় নিয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ। এদের মধ্যে এক তরুণী ঘটনার সময় কলকাতার নিউ-টাউনে সঞ্জীবা গার্ডেন্সের ৫৬/বিইউ ফ্ল্যাটে আনারের রুমেই ছিলেন। আরেক তরুণীও অতীতে আনারের সঙ্গে বিভিন্ন সময়ে কলকাতায় গিয়েছেন। ওই তরুণীরা ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশকে জানিয়েছেন, ব্যবসায়িক কাজে এমপি আনার মাঝে-মধ্যেই কলকাতা যেতেন। প্রতিবার যাওয়ার সময় তাদের মধ্যে যেকোনো একজনকে নিয়ে যেতেন। তারা কলকাতার বিভিন্ন শপিংমল ঘুরে কেনাকাটা করতেন। এমপি আনারের কাজ শেষ হলে আবার দেশে ফিরে আসতেন।
তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, কলকাতার নিউ-টাউনে সঞ্জীবা গার্ডেন্সের যে তরুণীকে দেখা গেছে তাকে তারা জিম্মায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন। আরও এক তরুণীকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তারা একজন আরেকজনের পরিচিত। হত্যাকাণ্ডে কিলিং মিশনে অংশ নেয়া শাহীন নামের একজনের নাম এসেছে।
তবে ওই শাহীনকে আগে কখনো দেখেননি ঘটনার দিন এমপি আনারের সঙ্গে থাকা ওই তরুণী। তবে রাজা নামে এক ব্যক্তি তাকে কেনাকাটা ও রেস্টুরেন্টে খাওয়ার বিষয়ে সহযোগিতা করেছেন। রুম পরিষ্কার করতে সহযোগিতা করতেন সিয়াম নামে এক ব্যক্তি। তদন্তকারীরা ওই তরুণীর কাছ থেকে আরও বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছে। ফ্ল্যাটে থাকা তরুণী ডিবি পুলিশকে জানিয়েছে, এমপি আনারের বন্ধু স্বর্ণ কারবারি গৌতমের বাসা থেকে তারা সঞ্জীবা গার্ডেন্সে যান। ১৩ই মে দুপুরে এমপি আনার তাদের পাশের রুমে থাকা শাহীনের রুমে যাওয়ার পর আর ফেরেননি। দুপুরে ওই তরুণী রুমটি থেকে ব্লিচিংয়ের গন্ধ আসতে দেখেন। কিন্তু এমপি আনার খুন হতে পারেন- এটা তার ধারণাতেই ছিল না। ব্লিচিংয়ের গন্ধ আসার পর শাহীন তার সঙ্গে ভাত খাওয়ায় সন্দেহ মাথাতেই আসেনি। এমপি আনার কোথায়? এটি জানতে চাইলে শাহীন জানিয়েছিল- গুরুত্বপূর্ণ কাজে বাইরে গেছে। তদন্ত সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছে, দুই তরুণীর কথায় মনে হয়েছে তারা হত্যাকাণ্ডে জড়িত নাও থাকতে পারেন।