ঢাকা:- বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এক এগারোর প্রেক্ষাপটে একটি সাংবিধানিক সরকারকে উৎখাত করা হয়েছিল, ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল। আওয়ামী লীগ সেটা গর্বের সাথে স্বীকার করেছিল।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতা হারানোর ভয়ে প্রতিনিয়ত দুঃস্বপ্ন দেখছে, বিএনপির ভয়ে ভীত হয়ে পড়েছে।
সোমবার (৬ মার্চ) বিকেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সাগর-রুনি মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ১৭তম কারাবন্দি দিবস উপলক্ষে এই আলোচনার আয়োজন করে উত্তরাঞ্চল ছাত্র ফোরাম।
মির্জা ফখরুল বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ঠেকাতে সরকার সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। মানুষের জীবনযাত্রা দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। মানুষ খেতে পারে না, অন্যদিকে আওয়ামী লীগের সবাই এখন আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ হয়ে গেছে। দেশকে খাদের কিনারায় পড়ে গেছে। এই সরকারকে সরাতে না পারলে সংকট সমাধান সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, নিজেদের স্বার্থে সংবিধান কেটেছেটে শেষ করে ফেলেছে সরকার, একে সংশোধন করতে হবে। মানুষ রাস্তায় নেমেছে, নিশ্চয়ই অতিদ্রুত এই সরকারকে সরানো হবে।
তিনি আরও বলেন, মামলা দিয়ে বিএনপিকে ঠেকাতে পারবে না। মানুষের যে উত্তাল তরঙ্গ সৃষ্টি হয়েছে তা সরকারকে সুনামির মত ভাসিয়ে নিয়ে যাবে।
মির্জা ফখরুল বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া এবার কোনো নির্বাচন এ দেশে হবে না। সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে নতুন কমিশনের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় এসেছে তখনই মিডিয়া বন্ধ করেছে। এখন বিএনপির এক মাত্র মুখপত্র দিনকাল বন্ধ করে দিয়েছে। তারা ১২৯টি অনলাইন বন্ধ করেছে। এর আগেও বিভিন্ন গণমাধ্যম বন্ধ করেছে, আবার এই প্রতিষ্ঠানগুলো তারাই কিনে নিয়েছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, মনে রাখতে হবে, তারেক রহমানকে গ্রেফতার করাকে স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বকে বন্দি করা। আজকে তারেক রহমানকে খলনায়ক বানাতে তার বিরুদ্ধে অপচার চালানো হচ্ছে। তার নেতৃত্ব নাই এই অপপ্রচার চালিয়ে জনগণ থেকে দূরে রাখতে চায়। আপনাদের (সরকার) আহ্বান জানাই তারেক রহমানের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাবেন না। তিনি মানুষের কথা বলেন, মানুষের জন্য কাজ করছেন।
সংগঠনের উপদেষ্টা ফজলুর রহমান খোকনের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহমদ আজম খান, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, বিএনপি নেতা জহির উদ্দিন স্বপন, কাদের গনি চৌধুরী, আবদুল খালেক প্রমুখ।