শিরোনাম
বঙ্গভবনের সামনের নিরাপত্তা ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা হাসনাত আব্দুল্লাহকে আহ্বায়ক করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কমিটি যে পর্যবেক্ষণে দেশত্যাগে বাধ্য করা হয় বিচারপতি সিনহাকে ‘কোনো একজন ব্যক্তি দ্বারা কোনো একটি দেশ বা জাতি তৈরি হয়নি’ ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ছাত্রলীগ নিষিদ্ধের আলটিমেটাম পদ ছাড়তে রাষ্ট্রপতিকে ২৪ ঘণ্টা সময় দিলেন আন্দোলনকারীরা সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান এখন লন্ডনে, আমিরাতে আরও ৩০০ বাড়ির সন্ধান শাহবাগে না, সভা-সমাবেশ করতে হবে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বান্দরবানে ভিক্টরী টাইগার্সের ৫৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন পাহাড়ে ফসলের নায্যমূল্য পাচ্ছেন না প্রান্তিক চাষীরা, কমেছে মিষ্টি কুমড়ার ফলন রাঙ্গামাটিতে সহিংসতার ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের ক্ষতিপূরণ প্রদান

ফের আসছে তাপপ্রবাহ, কবে থেকে জানাল আবহাওয়া অফিস

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় রবিবার, ১২ মে, ২০২৪
  • ৭৫ দেখা হয়েছে

ডেস্ক রির্পোট:- টানা এক মাসেরও বেশি সময় ধরে গোটা দেশে তীব্র তাপপ্রবাহে হাঁপিয়ে উঠেছিল জনজীবন। এরপর দু-একদিন কিছুটা বৃষ্টির দেখা মিলে। তাতেও যেন স্বস্তি ফিরছিল না জনজীবনে। অবশেষে শনিবার ভোরে আকাশ ভেঙে নেমে আসে ঝুম বৃষ্টি। আকাশ অন্ধকার করে ঘনকালো মেঘের সাথে টানা দেড় ঘণ্টার বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয় রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায়। শুক্রবারের হালকা উষ্মতা কাটিয়ে অনেকটা শীতল হয় রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা।

কয়েক দিনের ধারাবাহিক বৃষ্টিপাতে মে মাসের শুরু থেকে রাজধানী ঢাকাসহ দেশে যে স্বস্তি ফিরে এসেছিলো তা হয়তো বেশিদিন স্থায়ী হচ্ছে না। কেননা, আবহাওয়া অফিস যে পূর্বাভাস দিচ্ছে, সে অনুযায়ী চলতি মাসের মাঝামাঝি আবার আসছে অস্বস্তিকর গরম।

আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামীকাল রোববার থেকে দেশের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকলেও বাড়তে শুরু করবে মঙ্গলবারের পর থেকে।

আবহাওয়া অধিদফতর আগামী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাস দিয়ে বলছে, আগামী সোমবারের পর থেকেই একটু একটু করে বাড়বে তাপমাত্রা।

আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক বলেন, আগামী ১৪ তারিখ পর্যন্ত বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে। এরপরই বাড়বে তাপমাত্রা। ১৫ তারিখ থেকে বইতে শুরু হবে তাপপ্রবাহ।

আবহাওয়া অধিদফতর বলছে, এপ্রিল মাসে যে তীব্রতা দেখা গেছে, ততোটা তীব্র হবে না মে মাসের তাপপ্রবাহ। মে মাসের ১৫-২০ তারিখের মধ্যে যে তাপপ্রবাহের পূর্বাভাস রয়েছে ঢাকাসহ সারাদেশের বিভিন্ন জায়গায়, সেটি হতে পারে মৃদু থেকে মাঝারি।

আওহাওয়াবিদ মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, বজ্র-ঝড়ের তীব্রতা কমে গেলেই তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করবে। আগামী বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া এই তাপপ্রবাহ মৃদু তাপপ্রবাহই হবে। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা হতে পারে ৩৭ ডিগ্রি পর্যন্ত।

আবহাওয়াবিদরা বলছেন, ২০ তারিখের পরে বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টিপাতের সাথে বজ্রপাত- সেই সাথে হতে পারে কালবৈশাখী ঝড়ও। জুনে বর্ষাকাল শুরুর আগ পর্যন্ত সারাদেশে বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের সাথে হতে পারে শিলাবৃষ্টিও।

মৌসুমের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাতের রেকর্ড

শনিবার সকালে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে কালবৈশাখী ঝড়ের সাথে হয়েছে তুমুল বৃষ্টিপাতও। মেঘলা আকাশের কারণে সকালের শুরুতে সূর্যের দেখা মেলেনি ঢাকার বেশিরভাগ জায়গায়।

সকাল সাড়ে ছয়টা থেকে ঘন কালো মেঘে ঢেকে যায় রাজধানীর বেশিরভাগ জায়গা। এরপরই শুরু হয় ভারি বৃষ্টিপাত। আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে, ঢাকায় একনাগাড়ে ৮৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

আবহাওয়াবিদ ফারুক বলেন, এটি এ বছরের মধ্যে দিনে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাতের রেকর্ড।

এর আগে সকাল ছয়টা পর্যন্ত সারাদেশে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাতের রেকর্ড ছিল টাঙ্গাইলে ৪৯ মিলিমিটার। আজ দিনে রাজধানীতে আর বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা না থাকলেও রাতে ঝড় বৃষ্টির পূর্বাভাস দিচ্ছে আবহাওয়া অধিদফতর।

বৃষ্টি না হওয়ায় শুক্রবার যে তাপমাত্রা বেড়েছিল তা অনেকটাই কমে যায় শনিবার।

সকালের মুষলধারে বৃষ্টিতে তলিয়ে যায় রাজধানীর অধিকাংশ সড়ক। মূল সড়ক থেকে অলিগলিপথ রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় এই বৃষ্টিতে তৈরি হয় জলাবদ্ধতা।

ঢাকার মিরপুর, মালিবাগ, ধানমণ্ডি, ফার্মগেট, বংশাল, শান্তিনগর, হাতিরঝিল আগারগাঁও লিংক রোড, তেজগাঁও, মেরুল বাড্ডা, মোহাম্মদপুরসহ বিভিন্ন এলাকার সড়কে সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা।

সরকারি ছুটির দিন হলেও বেসরকারি অফিস খোলা থাকায়, সকালে যারা বাইরে বের হয়েছিলেন তাদের বেশ ভোগান্তিতে পড়তে হয়।

এই জলাবদ্ধতা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন জনকে ছবি ও ভিডিও পোস্ট করে নানা আলোচনা ও সমালোচনা করতে দেখা যায়। এই জলাবদ্ধতার কারণে রাজধানীবাসীর ভোগান্তির বিভিন্ন কথাও বলেছেন তারা।

আগামী তিন দিনের পূর্বাভাস

শনিবার সকাল নয়টায় আবহওয়া অফিস যে ৭২ ঘণ্টার পূর্বাভাস দিয়েছে সেখানে দেখা যাচ্ছে, শনিবার রাজধানী ঢাকা ছাড়াও খুলনা বরিশাল ও সিলেটের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা ও ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টিপাত হতে পারে।

একই সাথে বিভিন্ন জায়গায় শিলাবৃষ্টির পূর্বাভাসের কথা জানিয়েছে আবহাওয়ার বুলেটিন।

আবহাওয়াবিদ মি. ফারুক বলেন, শনিবার দিনের বেলায় রাজধানী ঢাকায় তেমন কোন বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা না থাকলেও রাতের দিকে আবারো বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।

৭২ ঘণ্টার আবহাওয়া অফিসের এই পূর্বাভাসে বলা হচ্ছে আগামীকাল রবিবার রংপুর, রাজশাহী ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু’য়েক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা ও ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি হতে পারে।

আবহাওয়া অফিসের তথ্য বলছে, রোববারও সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে আগামী সোমবারও। এদিন খুলনা ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পাতে পারে।

আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, এই সময় বৃষ্টিপাত যখন কমবে তখন একটু একটু করে তাপমাত্রা বাড়তে থাকতে।

বৃহস্পতিবার থেকে তাপপ্রবাহ

আগামী সোমবার পর্যন্ত সারাদেশের বিভিন্ন স্থানে যে বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিচ্ছে আবহাওয়া অধিদফতর সেটি কমতে শুরু করবে মঙ্গলবার থেকে।

আবহাওয়াবিদরা বলছেন, চলতি মে মাসের ৫ তারিখ রাত থেকে প্রতিদিনই কোথাও না কোথাও দমকা ও ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি হচ্ছে। এ কারণে বর্তমানে বাংলাদেশের তামপাত্রা ৩২ থেকে ৩৪ ডিগ্রির মধ্যে ওঠানামা করছে।

আবহাওয়াবিদ মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, দেশে যদি বজ্র ঝড়ের সংখ্যা যদি বৃদ্ধি পায়, এর স্থায়িত্ব যদি বাড়তে থাকে তখন তাপমাত্রাও কমতে থাকে। আগামী রবিবার থেকে সোমবার পর্যন্ত এই বজ্রঝড় ও বৃষ্টি হবে বিভিন্ন জায়গায়।

গত কয়েকদিনের আবহাওয়ার উদাহরণ দিয়ে আবহাওয়াবিদরা বলছেন, যদি দিনের ভেতর সকালে একবার বজ্র ঝড় ও বৃষ্টি হলে তখন বিকেলের পর তাপমাত্রা বেড়ে যায়। কিন্তু সকাল বিকেল দুই বার যখন ঝড় বৃষ্টি হয় তখন তাপমাত্রা কম থাকে। গত কয়েকদিনে সারাদেশের বিভিন্ন জায়গায় সকাল ও বিকেলে বজ্র ঝড় ও বৃষ্টি লক্ষ্য করা গেছে।

আওহাওয়াবিদ মল্লিক বলছেন, আগামী ১৩ তারিখের পর থেকে বজ্র ঝড়ের তীব্রতা কমে যাবে। তখন বৃষ্টি কমতে কমতে এক পর্যায় তাপমাত্রাও বাড়তে শুরু করবে।

তাহলে এই তাপমাত্রা কতটা বাড়তে পারে? কিংবা এটি কী তীব্র তাপপ্রবাহে রূপ নিতে পারে? এমন প্রশ্নে আবহাওয়াবিদরা দিচ্ছেন কিছুটা স্বস্তির খবর।

তারা বলছেন, আগামী বুধ-বৃহস্পতিবার থেকেই শুরু হতে পারে এই তাপপ্রবাহ। এসময় রাজশাহী, যশোর, নওগাঁ অঞ্চলের তাপমাত্রা ৩৫ থেকে ৩৬ ডিগ্রি পর্যন্ত উঠে যেতে পারে। আস্তে আস্তে সেটি আসতে পারে রাজধানী ঢাকা ও ঢাকার পশ্চিমাঞ্চলের দিকে।

আবহাওয়া অফিসের হিসেব মানদণ্ড অনুযায়ী যখন কোন স্থানের তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৮ডিগ্রি পর্যন্ত ওঠে তখন সেটিকে বলা হয় মৃদু তাপপ্রবাহ।

আবহাওয়াবিদ মল্লিক জানাচ্ছেন, আগামী ১৫ তারিখের পর থেকে বাংলাদেশে মৃদু তাপপ্রবাহ শুরু হবে। এই তাপমাত্রা সর্বোচ্চ ৩৫ থেকে ৩৭ ডিগ্রি পর্যন্ত ওঠানামা করতে পারে। তবে ৩৮ ডিগ্রি পর্যন্ত নাও উঠতে পারে।

আবহাওয়া অফিস বলছে, মৃদু তাপপ্রবাহ শুরু হওয়ার পর যদি নতুন করে বৃষ্টিপাত শুরু না হয়, তাহলে এর তীব্রতা বাড়তেও পারে।

তবে এখন পর্যন্ত আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস বলছে, আগামী বুধ বৃহস্পতিবারের দিকে যে তাপপ্রবাহ আসছে সেটি সর্বোচ্চ ১৯ থেকে ২০ মে পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে।

আবহাওয়াবিদ মল্লিক বলছেন, এবারের তাপপ্রবাহ আগের গত মাসের মতো এত ভয়াবহ হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তবে এটির কতদিন স্থায়ী হবে বা এর প্রকৃতি কি হবে সেটি ১৪ তারিখের আগে নিশ্চিত করে বলা যাবে না।

বজ্রঝড় ও শিলাবৃষ্টি

বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি বজ্র-ঝড় হয় মে মাসে। এপ্রিল, জুন ও সেপ্টেম্বর মাসেও হয় এই ঝড়।

তবে, সব বজ্র-ঝড় কালবৈশাখী নয়। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, মার্চ, এপ্রিল ও মে মাসে যে ঝড় হয় তাকে স্থানীয়ভাবে বজ্র-ঝড় বা কালবৈশাখী বলা হয়ে থাকে।

আবহাওয়াবিদরা, বঙ্গোপসাগর থেকে গরম বাতাস বয়ে যায় উত্তর দিকে আর হিমালয় থেকে ঠাণ্ডা বাতাস আসে দক্ষিণে। এই ঠাণ্ডা ও গরম বাতাসের মিলনস্থলে বজ্র-সহ ঘন কালো মেঘ তৈরি হয়। সেখান থেকে ঠাণ্ডা বাতাস নিচে নেমে এসে কালবৈশাখী ঝড়ের সৃষ্টি করে।

সাধারণত চৈত্র মাসের শেষে এবং বৈশাখ মাসে সূর্য বাংলাদেশ ও তার দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর ও ভারত মহাসাগরের ওপর খাড়াভাবে কিরণ দেয়।

ফলে এই অঞ্চলের বাতাস সকাল থেকে দুপুরের রোদের তাপে হালকা হয়ে ওপরের দিকে উঠে যায়। এভাবে বিকালের দিকে এ অঞ্চলে নিম্নচাপের সৃষ্টি হয়। এ সময় দেশের উত্তরে এবং হিমালয়ের দিকে বাতাসের চাপ বেশি থাকে।

তাই উচ্চ চাপের উত্তরাঞ্চল থেকে বায়ু প্রবল বেগে দক্ষিণ দিকে নিম্নচাপ অঞ্চলের দিকে ধাবিত হওয়ার ফলে মুখোমুখি স্থানে যে প্রবল ঝড়ের সৃষ্টি হয় সেটিই বাংলাদেশে কালবৈশাখী নামে পরিচিত।

আবহাওয়াবিদ মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, মাসভিত্তিক বজ্র-ঝড়ের হিসাব অনুযায়ী, ১৯৮১ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত মে মাসে গড়ে ১৩ টি বজ্র-ঝড় বা কালবৈশাখী ঝড় হয়েছে। এবারও সেই গড় বজ্র-ঝড়ের কাছাকাছি ঝড় হতে পারে। তবে কমবেশিও হতে পারে।

তবে, অতীতে এ মাসে গড়ে ১৩টি বজ্র-ঝড় এবং সর্বোচ্চ ১৮টি বজ্র-ঝড় হওয়ার রেকর্ডও রয়েছে বলে জানান আবহাওয়াবিদরা।

আগামী বর্ষা মৌসুম শুরু হওয়ার আগ পর্যন্ত কাল বৈশাখীর পাশাপাশি হতে পারে বলে বলা হয়েছে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে।

আবহাওয়াবিদ ফারুক বলেন, আগামী জুনের মাঝামাঝি শুরু হবে বর্ষাকাল। তার আগে যে বজ্রপাতসহ বৃষ্টিপাত হচ্ছে এসময় শিলাবৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

আবহাওয়াবিদরা বলছেন, যখন মেঘমালা অনেক উপরে চলে যায়। এটা অনেক সময় যখন বড় হতে থাকে তখন সে আর মেঘের মধ্যে ভেসে থাকতে পারে না। তখন সে নিজের দিকে নামতে শুরু করে।

আবহাওয়াবিদ মল্লিক বলেন, হিমাঙ্ক রেখা পার হওয়ার পর সে ধনাত্মক তাপমাত্রা অঞ্চলে পড়ে শিলাকণা। তখন আস্তে আস্তে তার সাইজ ছোট হতে শুরু করে। সেগুলো অনেক সময় বৃষ্টির সাথে পড়তে শুরু করে।

আবহাওয়াবিদ মল্লিক বলেন, সাধারণত এই শিলাবৃষ্টি ১০০ থেকে ২০০ গ্রাম ওজনের হয়। কখনো এর ব্যস আধা ইঞ্চি পর্যন্ত হতে পারে।

পরিবেশ বিশেষজ্ঞ ও আবহাওয়াবিদরা বলছেন, তাপপ্রবাহ ও শিলাবৃষ্টিসহ সাম্প্রতিক বাংলাদেশের আবহওয়া কৃষি ও কৃষকের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলছে। অনেক সময় শিলাবৃষ্টির কারণে বিভিন্ন ফসল, সবজি ও ফল মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

পরিবেশ বিশেষজ্ঞ ড. কামরুজ্জামান বলেন, এমন আবহাওয়ার কারণে কৃষকের যখন জমিতে পানি দরকার হচ্ছে তখন সে পানি পাচ্ছে না, জমি শুষ্ক হয়ে যাচ্ছে। কৃষি ক্যালেন্ডার বিঘ্নিত হচ্ছে। এটি উৎপাদনের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। সূত্র: বিবিসি বাংলা

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো
© All rights reserved © 2023 Chtnews24.net
Website Design By Kidarkar It solutions