ডেস্ক রির্পোট:- ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের মতো উপজেলা নির্বাচনের ভুয়া নাটকও দেশের মানুষ বর্জন করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান। তিনি বলেন, ‘১৩৯ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কোনো কোনো কেন্দ্রে একজন ভোটারও আসেনি। ৭ জানুয়ারির মতো আমি আবার বাংলাদেশের গণতন্ত্র সচেতন মানুষের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে স্যালুট দিচ্ছি।’
বুধবার (৮ মে) বিকেলে ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটিতে বাংলাদেশ প্রবাসী অধিকার পরিষদের চতুর্থ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ‘কর্মক্ষেত্রে প্রবাসীদের সুরক্ষা ও প্রবাসী পরিবারের নিরাপত্তা শীর্ষক’ আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
গণতন্ত্র সচেতন মানুষ ভোট বর্জন করায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে মঈন খান বলেন, ‘দেশের মানুষের অধিকার রক্ষার জন্য রাজনীতি করছে বিএনপি। গণতন্ত্র ও মানুষের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত বিএনপির আন্দোলন চলবে।’
তিনি বলেন, ‘প্রবাসীরা গায়ের রক্তকে জল করে দেশে রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছেন, আর সরকার সেই টাকা দিয়ে বাহাদুরি করছে। সরকার বুঝতে পারছে না প্রবাসীদের যদি আমরা কোনো নিরাপত্তা দিতে না পারি তাহলে তার কোনো নিরাপত্তা থাকবে না এবং দেশের অর্থনীতি সম্পূর্ণ ধসে পড়বে। যদি আপনারা (প্রবাসী) রেমিট্যান্স দেওয়া বন্ধ করে দেন তাহলে এই সরকার সাত দিনের মধ্যে পড়ে যাবে।’
সভায় বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ‘উপজেলা নির্বাচনের নামের তামাশা স্থগিত করে দেওয়া উচিত। নিয়মতান্ত্রিকভাবে সরকার পরিবর্তনের ন্যূনতম সুযোগ বিদায় করে দিয়েছে। কতৃত্ববাদী শাসক বুকের ওপর চেপে বসেছে। পৃথিবীর সব ফ্যাসিবাদী শাসক নিজের বিকল্প নিয়ে প্রশ্ন তোলে।’
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নূর বলেন, ‘দেশ রক্ষার জন্য ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে। দেশটা এখন এতই অরক্ষিত যে, বর্তমানে পরাধীন জাতি হিসেবে আছি।’
আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান, প্রবাসী ও দুর্যোগ বিষয়ক সম্পাদক মো. নাসির উদ্দীন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান খান, বাংলাদেশ প্রবাসী অধিকার পরিষদের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার কবির হোসেন, যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মনজুর রশিদ মামুন, ছাত্রঅধিকার পরিষদের বিন ইয়ামীন মোল্লা প্রমুখ।