চট্টগ্রাম:- চট্টগ্রাম নগরীর ইপিজেড এলাকায় সিএনজিচালিত চলন্ত অটোরিকশায় এক তরুণীকে তার প্রেমিক ও ওই অটোরিকশাচালক পর্যায়ক্রমে ধর্ষণ করেছে। এই ঘটনায় অভিযুক্ত দুই জনকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সোমবার রাতে নগরের ডবলমুরিং ও হালিশহর থানা এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- তরুণীর প্রেমিক সাগর (১৯) ও অটোরিকশাচালক আক্তার (৩০)। ডবলমুরিং থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সোমবার সন্ধ্যায় ডবলমুরিং এলাকা থেকে সাগর নামে এক যুবক তার বান্ধবীকে নিয়ে ঘুরতে যাওয়ার জন্য আক্তারের গাড়িতে ওঠে। আক্তার আর সাগর আগে থেকে পরিচিত ছিল। সন্ধ্যা ৭টায় ইপিজেড এলাকার নির্জন রাস্তায় চলন্ত গাড়িতে সাগর তার বান্ধবীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে।
রাত ৮টার দিকে চালক আক্তার নির্জন জায়গায় গাড়ি থামালে সাগর তার বান্ধবীকে মারধর করে। একপর্যায়ে সাগরকে ফেলে তার বান্ধবীকে ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করে। পরে রাত ১১টায় ডবলমুরিং থানা এলাকায় তাদের নামিয়ে দিয়ে চলে যায় চালক আক্তার। এদিকে এই ঘটনায় ভুক্তভোগী তরুণী থানায় অভিযোগ করে।
পুলিশ তাৎক্ষণিক অভিযান শুরু করে। পুলিশের তৎপরতা টের পেয়ে ডবলমুরিং এলাকার মিস্ত্রিপাড়া লাল মসজিদের পাশে সিএনজিটি রেখে পালিয়ে যায় চালক আক্তার। এরপর ডবলমুরিং এলাকা থেকে সাগরকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে বন্দরটিলা এলাকায় আক্তারকে ধরতে অভিযান শুরু করে পুলিশ। তবে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আক্তার ভোলায় পালিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নেয়। খবর পেয়ে ডবলমুরিং থানার কয়েকটি টিম বড়পোল, অলংকার, একে খান এবং ভাটিয়ারীতে বিভিন্ন বাসে তল্লাশি চালাতে থাকে। দিবাগত রাত ২টায় বাসে করে পালানোর সময় হালিশহরের বড়পোল বাসস্ট্যান্ড থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফজলুল কাদের পাটোয়ারী বলেন, এক তরুণীকে তার প্রেমিক সিএনজি অটোরিকশায় প্রথমে ধর্ষণ করেছে।পরে অটোরিকশাচালক প্রেমিককে মারধর করে ফেলে এই তরুণীকে ধর্ষণ করে। এই বিষয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হলে আমরা পর্যায়ক্রমে দুই অভিযুক্তকেই গ্রেপ্তার করেছি।