শিরোনাম
উন্নয়ন কার্যক্রম ব্যাহত করছে আঞ্চলিক কিছু সশস্ত্র সংগঠন: রিজিয়ন কমান্ডার রাঙ্গামাটিকে মাদকমুক্ত রাখার দাবিতে মানববন্ধন পুলিশ সদস্যরাই মাদক পাচারে যুক্ত, কেউ করেছেন ডুপ্লেক্স বাড়ি, কেউ হোটেল,ওসি শহিদুলের মাদকসংশ্লিষ্টতা পুলিশের তদন্তে উঠে এসেছে রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয় পাহাড় কাটার দায়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের মামলা রাঙ্গামাটির চিৎমরম ঐতিহ্যবাহী বৌদ্ধ বিহারে অষ্টপরিস্কার দান সংঘদান রাঙ্গামাটিতে দেড় দশকে বন্যহাতির আক্রমণে ৩৬ জনের মৃত্যু অন্তর্বর্তী সরকারের ষোলো মাস,উপদেষ্টা পরিষদের ৫১ বৈঠক ও ৮১টি অধ্যাদেশ প্রণয়ন জামায়াতের তালিকা থেকে বাদ পড়ছেন ১০০ প্রার্থী,রাঙ্গামাটিতে সর্বমিত্র চাকমা বা ফরহাদ,খাগড়াছড়িতে সাদিক কায়েম,বান্দরবনে খোঁজা হচ্ছে উপজাতি প্রার্থী যেভাবে ফাঁদে পড়েন প্রভা বিরক্ত রাশমিকা

নোয়াখালীতে ভুল চিকিৎসায় নবজাতকসহ প্রসূতির মৃত্যু, হাসপাতালে ভাঙচুর

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় রবিবার, ৫ মে, ২০২৪
  • ১৫১ দেখা হয়েছে

ডেস্ক রির্পোট:- নোয়াখালীর মাইজদীতে ভুল অস্ত্রোপচারে নবজাতকসহ প্রসূতি মায়ের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় রোগীর স্বজনরা হাসপাতালে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করেছে।

শনিবার (৪ মে) রাত সাড়ে ৮টার দিকে মাইজদী আধুনিক হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।

নিহত সীমা আক্তার (২১) বেগমগঞ্জ উপজেলার কাদিরপুর ইউনিয়নের লন্ডন মার্কেট এলাকার জহির উদ্দিনের স্ত্রী এবং নোয়াখালী পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউসুফ সওদাগর বাড়ির মো. হারুনের মেয়ে।

নিহতের চাচাতো ভাই মো. নাঈমুর রহমান বলেন, শুক্রবার দুপুরে সীমাকে মাইজদী আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে দুপুর ২টার দিকে চিকিৎসক আশিকা কবির অস্ত্রোপচার করে সন্তান প্রসব করান। কিন্তু অপারেশনের সময় তার জরায়ুর রক্তনালী কেটে ফেলায় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়।

পরে বিষয়টি গোপন রেখে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রোগীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) প্রেরণ করে। সেখানে নেওয়ার পর ডাক্তার সীমাকে মৃত ঘোষণা করে। অন্যদিকে তার নবজাতক সন্তানকে চট্টগ্রাম নিয়ে গেলে সেও সেখানে মারা যায়। এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে নিহতের স্বজন ও এলাকাবাসী মাইজদী আধুনিক হাসপাতালে ভাঙচুর চালায়।

মাইজদী আধুনিক হাসপাতালের চেয়ারম্যান রফিকুল বারী আলমগীর ভাঙচুরের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এ নিয়ে আমরা রোগীর স্বজনদের সঙ্গে বসেছি। কোনো ডাক্তারই ইচ্ছাকৃতভাবে কাউকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয় না।

সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। তবে গভীররাত পর্যন্ত এ বিষয়ে কেউ থানায় অভিযোগ দায়ের করেনি।

জেলা সিভিল সার্জন ডা. মাসুম ইফতেখার বলেন, অভিযোগ পেয়ে তাৎক্ষণিক সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. নুসরাত নাঈমা জাবিনকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। পরবর্তীতে তদন্ত করে এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে খবর নিয়ে জানা গেছে, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বৈঠক করে রোগীর স্বজন, সাংবাদিক ও স্থানীয় প্রভাবশালীদেরকে টাকার বিনিময়ে ম্যানেজ করেছেন। তাই এ নিয়ে থানায় কোনো অভিযোগ করা হয়নি।

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো
© All rights reserved © 2023 Chtnews24.com
Website Design By Kidarkar It solutions