শিরোনাম
বাণিজ্য সম্ভাবনায় ‘সেভেন সিস্টার্স’ দুবাইয়ে বিপু-কাজলের ২০০ কোটির দুই ভিলা পাচারের ১৭ লাখ কোটি ফেরাবে কে,প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের দিকে তাকিয়ে সবাই শিক্ষার্থীদের পরিকল্পিতভাবে বিতর্কিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে ঢাকা-দিল্লি পররাষ্ট্রসচিব বৈঠক ডিসেম্বরে, শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ নিয়ে আলোচনা হবে কি এবার মারা গেলেন পরীমণির প্রথম সিনেমার পরিচালক জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন আয়োজনের পরামর্শ সরাসরি ভোটে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সুপারিশ, বদিউল বললেন, ‘বিবেচনায় রয়েছে’ বান্দরবানে নৌকা বাইচ দিয়ে ক্রীড়া মেলা শুরু রাঙ্গামাটিতে সাফজয়ী পাহাড়ের তিন কন্যাকে উষ্ণ সংবর্ধনা

ভূমির ঘুরপাকে খাগড়াছড়ি,বান্দরবানসহ ২৩ জেলায় পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪
  • ১০৬ দেখা হয়েছে

ডেস্ক রির্পোট:- দেশের ২৩ জেলায় পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল ২০১৮ সালে। প্রকল্পের উদ্দেশ্য ছিল বেকারত্ব কমাতে কারিগরি শিক্ষা সম্প্রসারণের মাধ্যমে দেশ-বিদেশে চাকরির বাজারের চাহিদার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দক্ষ জনশক্তি সৃষ্টি। ইতোমধ্যে ছয় বছর পেরিয়ে গেলেও ভূমি অধিগ্রহণের কাজ শেষ করতে পারেনি কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর। বারবার মেয়াদ বাড়িয়েও শেষ হচ্ছে না প্রকল্প। বরং ভূমি অধিগ্রহণেই ঘুরপাক খাচ্ছে কারিগরি শিক্ষার প্রকল্পটি। এতে প্রকল্পের উদ্দেশ্য যেমন ব্যাহত হচ্ছে একই সঙ্গে প্রকল্পের ধীরগতির কারণে বাস্তবায়ন ব্যয়ও বৃদ্ধি পাওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, কারিগরি শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ সম্প্রসারণের উদ্দেশ্যে নেওয়া ২৩টি জেলায় পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট স্থাপন শীর্ষক প্রকল্পটি ২০১৮ সালে একনেকে অনুমোদন দেওয়া হয়। বাস্তবায়ন মেয়াদ নির্ধারণ করা ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত এবং ব্যয় ধরা হয় ৩ হাজার ৬৯১ কোটি ৩০ লাখ টাকা। কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের উদ্যোগে নেওয়া প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর।

নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ না হওয়ায় এক বছর সময় বাড়িয়ে ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত করা হয়। বর্ধিত সময়ের মধ্যেও কাজ শেষ না হওয়ায় আবারও ২০২২ সালে আরও তিন বছর বাড়িয়ে ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়। এতে তিন বছরের প্রকল্প গিয়ে ঠেকেছে ৭ বছরে; কিন্তু প্রকল্পের কাজের যে অগ্রগতি তাতে সংশোধিত মেয়াদেও কাজ শেষ না হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

আলোচ্য প্রকল্পের আওতায় দেশের ৮ বিভাগের ২৩ জেলায় পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট স্থাপনের কথা ছিল; কিন্তু তিন বছরের প্রকল্পে ৬ বছর পেরিয়ে গেলেও ভূমি অধিগ্রহণের কাজ শেষ হয়নি। এখন পর্যন্ত ১৬টি জেলায় শুধু ভূমি অধিগ্রহণের কাজ হয়েছে। বাকি ৭টি জেলায় এখনো ভূমি অধিগ্রহণের কাজই শুরু হয়নি।

২৩টির মধ্যে ১৬টি পলিটেকনিকের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ হলেও অধিকাংশেরই ভূমি উন্নয়নের কাজই শেষ হয়নি। এমনকি ৫টি জেলার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের নির্ধারিত স্থানে ভূমি উন্নয়ন কাজ এখনো শুরু হয়নি। বাকি যেগুলোর উন্নয়ন কাজ শুরু হয়েছে তাদের অগগ্রতিও খুবই কম। কোনোটিরই ভূমি উন্নয়নের কাজ শতভাগ শেষ হয়নি।

সম্প্রতি ২৩টি জেলায় পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট স্থাপন শীর্ষক প্রকল্পটির ওপর নিবিড় পরিবীক্ষণ করেছে বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি)। আইএমইডির নিবিড় পরিবীক্ষণ প্রতিবেদনেও উঠে এসেছে এসব তথ্য। আইএমইডির প্রতিবেদনে ধীরগতির বিষয়ে বলা হয়েছে, নির্ধারিত সময়ে ভূমি অধিগ্রহণ করতে না পারার কারণে প্রকল্প বাস্তবায়নে বিলম্ব হচ্ছে।

প্রকল্পের ভূমি অধিগ্রহণ শেষ না হওয়ায় এখনো শুরু করা যায়নি পূর্ত ও ক্রয় কাজ। আইএমইডির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আরডিপিপি অনুসারে পণ্য সংক্রান্ত ৭৮টি প্যাকেজের মধ্যে আরএফকিউ পদ্ধতিতে এখন পর্যন্ত ৬টি প্যাকেজের দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে এবং ৬টি প্যাকেজেরই কার্যাদেশ প্রদানসহ এবং ক্রয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। আর পূর্ত কাজের ৩০১টি প্যাকেজর মধ্যে শুধু ভূমি উন্নয়ন ৯টি প্যাকেজ ও বাগেরহাট জেলায় প্রশাসনিক ভবনের নির্মাণ কার্যক্রমসহ মোট ১০টি প্যাকেজের দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে।

প্রকল্পের অগ্রগতি ত্বরান্বিত করতে আইএমইডির প্রতিবেদনে বেশ কিছু সুপারিশ তুলে ধরে বলা হয়েছে, প্রকল্প বাস্তবায়নের অগ্রগতি অনেক কম তাই অবশিষ্ট সময়ের জন্য একটি সংশোধিত এবং বাস্তবভিত্তিক কর্মপরিকল্পনা তৈরি করে সে অনুপাতে বাস্তবায়ন কাজ ত্বরান্বিত করার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে, ভবিষ্যতে অনুরূপ প্রকল্প গ্রহণের ক্ষেত্রে পরিকল্পনা কমিশনের ফরম্যাট অনুযায়ী যথাযথভাবে সম্ভাব্যতা যাচাই সম্পন্ন করতে হবে ।

এমন ধীরগতির বিষয় জানতে প্রকল্প পরিচালক কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সামসুর রহমান খানের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। কয়েকবার ফোন এবং মেসেজ দেওয়ার পরে ফোন রিসিভ করে সাংবাদিক পরিচয় জানার পর মিটিংয়ে আছেন উল্লেখ করে পরে কথা বলবেন বলে ফোন কেটে দেন তিনি।

আলোচ্য প্রকল্পের ধীরগতির বিষয়ে অবহিত করে জানতে চাইলে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, এসব প্রকল্পের পুনর্বিন্যাস দরকার। অর্থ মন্ত্রণালয় কর্তৃক ভূমি অধিগ্রণে নিষেধাজ্ঞা থাকায় ধীরগতি দেখা দিয়েছে। তবে, ভূমি অধিগ্রহণ বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের নিষেধাজ্ঞা উঠে গেলে এসব প্রকল্প গতি পাবে।

প্রকল্পের প্রধান কাজের মধ্যে রয়েছে ভূমি অধিগ্রহণ, ভূমি উন্নয়ন, ২৩টি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের পূর্ণাঙ্গ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো, জনবল নিয়োগ এবং অন্যান্য ভৌত সুবিধা তৈরি করা। ২৩ জেলার মধ্যে রয়েছে গাজীপুর, মানিকগঞ্জ, মাদারীপুর, নারায়ণগঞ্জ ও রাজবাড়ী, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান ও নোয়াখালী, নাটোর ও জয়পুরহাট, বাগেরহাট, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর ও নড়াইল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, সুনামগঞ্জ, গাইবান্ধা, লালমনিরহাট, নীলফামারী ও পঞ্চগড়, নেত্রকোনা ও জামালপুর।কালবেলা

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো
© All rights reserved © 2023 Chtnews24.com
Website Design By Kidarkar It solutions