শিরোনাম
গুলশান থেকে দিনদুপুরে আবাসন ব্যবসায়ীকে অপহরণ, মুক্তিপণ দাবি চট্টগ্রাম আদালতে সংঘর্ষে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নিহত টিসিজেএ ক্রীড়া প্রতিযোগিতার প্রথম রাউন্ডের পুরস্কার বিতরণ ৩ ঘণ্টা সহিংস বাধার মুখে চিন্ময় দাসকে কারাগারে নিল পুলিশ, আদালত প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ-ভাঙচুর শাপলা চত্বরে ‘গণহত্যা’,হাসিনাসহ ৫০ জনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ হেফাজতের জামিন নামঞ্জুর, চিন্ময় কৃষ্ণ দাশকে কারাগারে প্রেরণ চিন্ময় কৃষ্ণের গ্রেপ্তার ইস্যুতে ভারতের বিবৃতি ঢাকা ও চট্টগ্রামে ১০ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন বিনা সুদে লাখ টাকা ঋণের প্রলোভন ‘অহিংস গণঅভ্যুত্থানের’ আহ্বায়ক মোস্তফাসহ ১২১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা রাষ্ট্রের যেসব পরিবর্তনের কথা ভাবছে সংস্কার কমিশনগুলো

এপ্রিলে কমছে না তাপপ্রবাহ, মে মাসের শুরুতে বৃষ্টি হতে পারে

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪
  • ১২৩ দেখা হয়েছে

ডেস্ক রির্পোট:- দেশের বেশির ভাগ এলাকার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তাপপ্রবাহ আপাতত কমছে না। উল্টো বাতাসে আর্দ্রতা বেড়ে গরমের অনুভূতি আরও বাড়িয়েছে। কোথাও দমকা হাওয়া বয়ে গেলে তাতেও উষ্ণতা ভর করেছে। ফলে সাধারণ মানুষের গরমের কষ্ট আরও বেড়েছে। তবে আগামী মাসের শুরুতে বৃষ্টির আভাস রয়েছে।

আবহাওয়াবিদেরা বলছেন, চলতি মাসের বাকি দিনগুলোতে তাপপ্রবাহ কমার সম্ভাবনা নেই। এ সময়ে দিনে গরম তো থাকছেই, রাতেও যে তপ্ত বাতাস বয়ে যাচ্ছে, তা অব্যাহত থাকতে পারে। কারণ, অতীতে সাধারণত এ সময়ে সন্ধ্যায় ঝোড়ো বাতাস বয়ে যেত, এতে গরম কমে যেত। এবার তা-ও নেই। তাই আপাতত গরম কমার সম্ভাবনা নেই; বরং বাতাসে আর্দ্রতা বেড়ে আজ শুক্রবার গরমের কষ্ট আরও বাড়তে পারে। এক সপ্তাহ এ ধরনের আবহাওয়া থাকতে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস বলছে, আগামী মাসের শুরুতে সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগে বৃষ্টি এবং ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। তখন ওই দুই বিভাগে গরমের কষ্ট কমে আসতে পারে। উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোতে অবশ্য রাজধানী ঢাকা এবং রাজশাহী ও খুলনার মতো এতটা উষ্ণতা নেই। তবে মে মাসের বাকি সময়জুড়ে উত্তরেও গরমের তীব্রতা বেশি থাকতে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, ‘এপ্রিল ও মে এমনিতেই আমাদের এখানে সবচেয়ে উষ্ণ মাস। এবার পূর্ব এশিয়ার মিয়ানমার থেকে থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া হয়ে লাওস পর্যন্ত আর দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ থেকে ভারত হয়ে পাকিস্তান ও আফগানিস্তান পর্যন্ত তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।’ তিনি বলেন, মূলত বৈশ্বিক আবহাওয়ায় এল নিনোর প্রভাবে এমন ঘটছে। সেই সঙ্গে বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি এবং এই অঞ্চলে দ্রুত ও অপরিকল্পিত নগরায়ণের কারণে অভ্যন্তরীণ তাপ তৈরি হয়েছে। এই তিন কারণে উষ্ণতা অস্বাভাবিক বেড়ে গেছে।

আবহাওয়াবিদেরা বলছেন, চলতি মাসের বাকি দিনগুলোতে তাপপ্রবাহ কমার সম্ভাবনা নেই। এ সময়ে দিনে গরম তো থাকছেই, রাতেও যে তপ্ত বাতাস বয়ে যাচ্ছে, তা অব্যাহত থাকতে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, গতকাল বৃহস্পতিবার দেশের অন্তত ১৪টি জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ হয়ে গেছে। অর্থাৎ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস অতিক্রম করে গেছে। অর্ধেকের বেশি জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ছিল।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের হিসাবে, গতকাল ঢাকায় দিনের তাপমাত্রা উঠে ৩৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৮ দশমিক ২ ডিগ্রি। গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল যশোরে ৪২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল তেঁতুলিয়ায় ১৭ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো
© All rights reserved © 2023 Chtnews24.com
Website Design By Kidarkar It solutions