শিরোনাম

উপজেলা নির্বাচনে আ.লীগের নির্দেশনা মানছেন না মন্ত্রী-এমপিরা,চতুর্মুখী কোন্দলের আশঙ্কা

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪
  • ৮৯ দেখা হয়েছে

ডেস্ক রির্পোট:- বিএনপিসহ অর্ধশতাধিক রাজনৈতিক দল উপজেলা নির্বাচন বর্জন করায় স্থানীয় এ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে চতুর্মুখী কোন্দলের আশঙ্কা করছে আওয়ামী লীগ। ৭ জানুয়ারির ‘ডামি প্রার্থী’ নির্বাচনের মতো উপজেলা নির্বাচনেও শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের মধ্যেই লড়াই এবং সংঘাত সংঘর্ষ হতে পারে এমন আশঙ্কা করা হচ্ছে। নিজেদের মধ্যে সংঘাত-সংঘর্ষের আলামত ইতোমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে। আওয়ামী লীগের কোনো প্রার্থীকে সমর্থন না দেওয়া এবং কাউকে দলীয় প্রতীক ব্যবহার করতে না দেওয়ার সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে অনেক তৃণমূল ও কেন্দ্রীয় নেতা তাদের পছন্দের প্রার্থীর পেছনে ঝুঁকছেন। বিশেষ করে শতাধিক মন্ত্রী-এমপি আত্মীয়-স্বজন ও নিজেদের পছন্দের প্রার্থীকে বিজয়ী করার কৌশল গ্রহণ করেছেন।

বিএনপি নির্বাচনের বাইরে থাকায় মূলত আওয়ামী লীগের তৃণমূল পর্যায়ের নেতা, বর্তমান মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী, সাবেক মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী ও সংসদ সদস্য, পরাজিত সংসদ সদস্য প্রার্থী এবং জানুয়ারির নির্বাচনে স্বতন্ত্র ও ডামি প্রার্থী হয়ে জয়ীরা স্থানীয় নির্বাচন ঘিরে রাজনৈতিক দ্ব›েদ্বর লড়াইয়ে নেমে গেছেন। পরিস্থিতি বুঝতে পেরে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব মন্ত্রী-এমপির আত্মীয়-স্বজনদের উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের নির্দেশনা দিয়েছে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের গত তিনি সপ্তাহে কয়েক দফায় সংবাদ সম্মেলন করে মন্ত্রী-এমপির আত্মীয়-স্বজনদের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের আহŸান জানিয়ে বলেছেন, মন্ত্রী-এমপিদের যাদের আত্মীয়-স্বজন উপজেলা নির্বাচন থেকে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করবে না তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। গতকাল প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল জাতীয় নির্বাচনের মতো উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মধ্যে সংঘাত-সংঘর্ষের আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনে নিজেদের মধ্যে সংঘাত-সংঘর্ষের আশঙ্কা করছি।

ইতোমধ্যেই কয়েকটি উপজেলায় মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়-স্বজনদের প্রভাব এবং প্রতিদ্ব›দ্বী প্রার্থীদের অপহরণ, মারধোর, প্রশাসনকে ব্যবহার করে প্রতিপক্ষকে নাজেহাল করার ঘটনায় সংঘাত সংঘর্ষের আশঙ্কা বেড়ে গেছে। এমন পরিস্থিতিতে উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপির আত্মীয়স্বজনরা যাতে প্রার্থী হতে না পারেন সে কৌশল নেয়া হয়। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের বিভাগীয় দায়িত্ব পাওয়া কয়েকজন নেতার সঙ্গে ১৮ এপ্রিল অনির্ধারিত বৈঠক করেন। বৈঠকে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বরাত দিয়ে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জানান, উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না তাদের (এমপি-মন্ত্রীদের) পরিবারের সদস্য বা নিকটাত্মীয়রা। যারা প্রার্থী হয়েছেন তাদের সরে দাঁড়াতে বলা হয়। সতর্কও করা হয় প্রভাবশালী কয়েকজন এমপিকে। তবে দলীয় সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনার পরেও এখনই তারা মাঠ ছাড়তে নারাজ। মন্ত্রী এমপির প্রভাব খাটিয়ে তাদের আত্মীয়-স্বজনরা প্রতিদ্ব›দ্বী প্রার্থীদের নানাভাবে হেনস্তা করছেন। এমনকি হুমকি ধমকি হুংকার দিচ্ছেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলা নির্বাচনে ্এখন পর্যন্ত শতাধিক উপজেলায় মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়-স্বজনরা প্রার্থী হয়েছেন।

এক. নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ছেলে আতাহার ইশরাক সাবাব চৌধুরীকে ভোট না দিলে উন্নয়ন বন্ধ করে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন নোয়াখালী-৪ (সদর-সুবর্ণচর) আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী। সুবর্ণচর উপজেলায় একটি নির্বাচনী পথসভায় দেয়া বক্তব্যে তিনি এ ঘোষণা দেন। তার বক্তব্যের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওতে সংসদ সদস্য মোহাম্মদ একরামুল করিমকে বলতে শোনা যায়, ‘যে এলাকা থেকে আমার ছেলেকে ভোট কম দেবেন, সে এলাকায় আমি কোনো উন্নয়নে হাত দেব না। সরাসরি কথা। গিভ অ্যান্ড টেইক। আমাকে দেবেন, আমিও আপনাদের দেব।’ এমপির ছেলে আতাহার ইশরাক ওরফে সাবাব চৌধুরী প্রতিদ্ব›দ্বী প্রার্থী প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও টানা তিনবারের উপজেলা চেয়ারম্যান এ এইচ এম খায়রুল আনম চৌধুরী সেলিম। সেখানে ব্যাপক সংঘর্ষের আশঙ্কা করা হচ্ছে।

দুই. তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলকের শ্যালক লুৎফুল হাবীব রুবেল সিংড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও শেরকোল ইউনিয়ন পরিষদের সদ্য পদত্যাগ করা চেয়ারম্যান এবং উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থী দেলোয়ার হোসেনকে অপহরণ করেন। তাকে মারধোর করে রাস্তায় ফেলে যান। দেলোয়ারকে নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেয়া হয়। সেখানে দেলোয়ারকে দেখতে গিয়ে প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক শ্যালকের অপহরণ কাÐের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন এবং ক্ষমা চান। গতকালও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নাটোরের সিংড়া উপজেলায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের হস্তক্ষেপ রোধে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে। ওই এলাকার বাসিন্দা মো: আসাদুজ্জামান বাদী হয়ে এ রিট করেন। বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম এবং বিচারপতি মো: আতাবুল্লাহর ডিভিশন বেঞ্চ আগামী ২৮ এপ্রিল রিটের শুনানির তারিখ ধার্য করেছেন। রিটে নাটোর-৩ আসনের এমপি এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। উপজেলা পরিষদের পরবর্তী চেয়ারম্যান হতে নির্বাচনী মাঠে নেমেছিলেন উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি কামরান হাসান কামরুল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম ভোলা, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন ও কলম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য দেলোয়ার হোসেন। কিন্তু নিজের শ্যালককে বিনা প্রতিদ্ব›িদ্বতায় জেতাতে বাকি প্রার্থীদের নির্বাচন না করার নির্দেশ দেন প্রতিমন্ত্রী পলক।

লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন লালমনিরহাট-২ (আদিতমারী-কালীগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য সাবেক মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদের ছেলে রাকিবুজ্জামান আহমেদ ও ভাই মাহবুবুজ্জামান আহমেদ। সাবেক মন্ত্রীর ছেলে ও ভাই প্রার্থী হওয়ায় দুই প্রার্থীর মধ্যে চলছে শক্তির মহড়া। উপজেলার স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের আশঙ্কা দুই প্রার্থী প্রভাবশালী হওয়ায় এবার নির্বাচনের দিন ভোটকেন্দ্র দখলের লড়াই হবে। রক্তারক্তির আশঙ্কাও রয়েছে। রাকিবুজ্জামান আহমেদ বলেন, আমি পারিবারিক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করছি। সংসদ সদস্যের ছোট ভাই মাহবুবুজ্জামান আহমেদ বলেন, আমি কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের এবার নিয়ে পরপর ২ বারের নির্বাচিত উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান। কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করার জন্য মনোনয়নপত্র দাখিল করেছি। এমপির পুত্র ও ভাইয়ের বিরোধে আওয়ামী লীগের অন্যান্য নেতারা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার সাহস করছেন না।

বগুড়া-১ (সারিয়াকান্দি ও সোনাতলা) এমপি সাহাদারা মান্নানের ভাই ও ছেলে উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন। সারিয়াকান্দিতে প্রার্থী হয়েছেন এমপির ছেলে শাখাওয়াত হোসেন সজল। সোনাতলায় প্রার্থী হয়েছেন এমপির ভাই মিনহাদুজ্জামান লিটন। এই উপজেলায় আওয়ামী লীগের আরেক প্রার্থী মো. জাকির হোসেন বলেন, লিটন এমপির প্রভাব খাটিয়ে আমার কর্মী, সমর্থকদের ভয়ভীতি দেখাচ্ছে।

মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলায় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু বিষয়ক সাবেক মন্ত্রী ও বর্তমান এমপি শাহাব উদ্দিনের ভাগ্নে শুয়েব আহমদ প্রার্থী হয়েছেন। নরসিংদীর পলাশের এমপি ডা. আনোয়ারুল আশরাফ খান দিলীপের শ্যালক শরিফুল হক প্রার্থী হয়েছেন। আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ও সদর আসনের এমপি মাহবুব উল আলম হানিফের চাচাতো ভাই আতাউর রহমান আতা কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় নির্বাচন করছেন। রাজশাহীর তানোরে চেয়ারম্যান প্রার্থী লুৎফর হায়দার রশীদ ময়না আওয়ামী লীগের স্থানীয় এমপি ফারুক চৌধুরীর চাচাতো ভাইয়ের ছেলে। পাবনার বেড়ায় জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকুর ছোট ভাই আবদুল বাতেন ও ভাতিজা আবুল কালাম সবুজ উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন। মাদারীপুর সদর উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে যে দু’জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন তাদের মধ্যে একজন আসিবুর রহমান খান মাদারীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমÐলীর সদস্য শাজাহান খানের পুত্র ও অপর প্রার্থী শাজাহান খানের চাচাত ভাই মাদারীপুর সদর উপজেলার দুইবারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও মাদারীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পাভেলুর রহমান শফিক খান। গাজীপুর-১ আসনের এমপি ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের ভাতিজা মুরাদ কবীর গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী। ল²ীপুরের রায়পুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নানা কৌশলে পছন্দের প্রার্থী (এমপির বোন জামাই) সদ্য সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অধ্যক্ষ মামুনুর রশীদকে ফের চেয়ারম্যান করার চেষ্টা চলছে। এজন্য তার পক্ষে দুই প্রার্থী নিয়ে পরোক্ষভাবে সমঝোতার চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন এমপিসহ উপজেলার কয়েকজন সিনিয়র নেতার বিরুদ্ধে। ল²ীপুর-২ (রায়পুর ও সদরের একাংশ) আসনের এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়নের দাবি তিনি বোন জামাইয়ের পক্ষে কাজ করছেন না। ফাঁসির দন্ড থেকে প্রেসিডেন্টের কাছে প্রাণভিক্ষা পাওয়া ল²ীপুরের এ এইচ আফতাব উদ্দিন বিপ্লব নিজের বোন জামাতার পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় বলেছেন, ‘আমার চেয়ে খারাপ লোক এই এলাকায় নেই। কেউ খারাপ হতে পারবেও না। অতএব ভোট না দিলে –’। চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের এমপি জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দারের ভাতিজা নঈম হাসান জোয়ার্দ্দার চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের এমপি আলী আজগার টগরের ছোট ভাই দামুড়হুদা উপজেলা চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তিনি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেননি। তিনিসহ তার উপজেলায় মোট ৪ জন উপজেলা চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করছেন। এমপির ছোট ভাই আলী মুনছুর বাবু দর্শনা পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান। তিনি ২০১৯ সালের উপজেলা নির্বাচনে নৌকার বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান হিসাবে নির্বাচিত হন। দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও দিনাজপুর-৫ (ফুলবাড়ী-পার্বতীপুর) আসনের সংসদ-সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান ফিজারের ছোট ভাই উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন। ঠাকুরগাঁও-২ আসনের সংসদ-সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম সুজনের পরিবারের আলী আসলাম জুয়েল উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে এখনো মাঠে আছেন। বরিশাল-৬ (বাকেরগঞ্জ) সংসদীয় আসনের সংসদ-সদস্য মেজর জেনারেল (অবসর) আবদুল হাফিজ মল্লিকের আপন ছোট ভাই সালাম মল্লিক উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী। তিনি উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে গণসংযোগ করছেন।

আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, আগামী ২ মে সংসদ অধিবেশন বসছে। ওই অধিবেশনে আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নিজে মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের উপজেলা নির্বাচন বিষয়ে তার অবস্থান তুলে ধরবেন। প্রভাব বিস্তার থেকে বিরত থাকার বিষয়ে নির্দেশনা দেবেন। এ ছাড়া শিগগিরই আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদেরও বৈঠক হতে পারে। সেখানেও বিষয়টি আলোচিত হবে। নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করলে সরাসরি বহিষ্কারের বিধান রয়েছে আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্রে।

এ ছাড়া মন্ত্রী-এমপিরা যাতে উপজেলা নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করতে না পারেন, সে জন্য স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশকেও নানাভাবে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে। আওয়ামী লীগের নেতারাও বিভিন্ন জেলায় প্রশাসনকে নিরপেক্ষভাবে কাজ করার পরামর্শ দিচ্ছেন। ইনকিলাব

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো
© All rights reserved © 2023 Chtnews24.com
Website Design By Kidarkar It solutions