শিরোনাম
সাইফুজ্জামান ও তাঁর স্ত্রীর যুক্তরাজ্য, আরব আমিরাত ও যুক্তরাষ্ট্রের ৫৮০টি বাড়ি ও ব্যাংক হিসাব জব্দের নির্দেশ আ’লীগের গড়া সিন্ডিকেট এখনো ভাঙতে পারেনি : জামায়াত আমির অস্ত্র জমা দেননি আওয়ামী লীগ নেতারা, তাদের হাতে কত অস্ত্র? বাংলাদেশের আন্ডারগ্রাউন্ড কারাগার ‘আয়নাঘর’, ঠিক যেন দুঃস্বপ্নের মতো ভারতের সাবেক র অফিসারের বিরুদ্ধে মার্কিন গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ভারতের বিশ্বাসঘাতকতায় যেভাবে হোঁচট খেয়েছিল আরাকানের স্বাধীনতা সংগ্রাম খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলা ও পৌর বিএনপির কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা রাঙ্গামাটির কাপ্তাইয়ের ঐতিহ্যবাহী ‘প্রগতি সংসদ’ ক্লাবটি অর্থাভাবে ১৭ বছর ধরে পরিত্যক্ত পার্বত্য জেলা পরিষদ পুনর্গঠন না হওয়ায় জনগণ স্বাভাবিক সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে–বৈষম্য বিরোধী ছাত্র সমাজ খাগড়াছড়িতে আওয়ামী লীগের সাড়ে ১৬ বছরে ১৯ হত্যাকাণ্ড: বিচারের অপেক্ষায় মানুষ

আ. লীগের রাজনৈতিক মৃত্যুঘণ্টা বেজে গেছে: মান্না

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় শনিবার, ১১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩
  • ৩৪৪ দেখা হয়েছে

ঢাকা:- আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক মৃত্যুঘণ্টা বেজে গেছে মন্তব্য করেছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি ও গণতন্ত্র মঞ্চের সমন্বয়ক মাহমুদুর রহমান মান্না। বলেছেন, আওয়ামী লীগ রাজনৈতিকভাবে জীবিত নেই।

শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বিএনপির যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গণতন্ত্র মঞ্চ আয়োজিত প্রতিবাদী পদযাত্রা পূর্ব সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

গ্যাস, বিদ্যুৎ, চাল, ডালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা এবং ফ্যাসিস্ট সরকারের পদত্যাগসহ ১৪ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, সরকার সিরিয়াল কিলারের মতো ধারাবাহিকভাবে গ্যাস, পানি, বিদ্যুতের দাম বাড়িয়ে চলছে। আগামীতে আরও দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে। একে তারা বলছেন দাম সমন্বয় করা হচ্ছে। এর ফলে জনগণের ওপর যে দুর্ভোগ নেমেছে, তা আরো নামব।

বর্তমান সরকার সম্পূর্ণ ব্যর্থ মন্তব্য করে তিনি বলেন, চাল, ডালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় প্রতিটি পণ্যের দাম বেড়েছে। গত ১৪ বছরে কোনো জিনিসের দাম এই সরকার কমাতে পারেনি। একমাস আগে থেকে তারা বলছে, রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়তে দেওয়া হবে না। কিন্তু বাস্তবে দাম বেড়েই চলেছে।

তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকার এতটাই নির্লজ্জ যে, দেড় মাস পর ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির দুটি বই তারা তুলে নিয়েছে। কারণ ওই বইগুলোর মধ্যে এমন কিছু জিনিস আছে, যা দেশে শিক্ষা, শান্তি, প্রগতি স্থাপনের বদলে উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে। এতে দেশে বিশৃঙ্খলা ও অশান্তি তৈরি হতে পারে।

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি আরও বলেন, আমরা যখন বলেছি দেশ খোকলা হয়ে যাচ্ছে, দেশের টাকা বিদেশে পাচার হচ্ছে, তখন তারা (সরকার) আমাদের বকাবকি করেছে। জাতীয় সংসদে একদিন প্রধানমন্ত্রী বললেন, কারা কারা টাকা পাচার করেন, তাদের কথা আমি জানি। আপনি (প্রধানমন্ত্রী) যদি জানেনই তাহলে ব্যবস্থা নেন। উনি (প্রধানমন্ত্রী) ব্যবস্থা নেননি।

তিনি আরও বলেন, দেশে জিনিসের দাম বাড়ে, টাকা পাচার হয়, ডলারের দাম বেড়ে যায়, টাকার মান কমে যায়, দেশের অর্থনীতি একেবারে ধ্বংসের দাঁড়গোড়ায়।

গণতন্ত্র মঞ্চের এই নেতা বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আগামীতে নাকি আর কোনো অনির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় আসতে পারবে না। ওনার কথা ওনার উপরেই আগামী নির্বাচনে প্রযোজ্য হবে। উনি অনির্বাচিত হয়ে আর ক্ষমতায় থাকতে পারবেন না।

তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগের ওপর আমাদের কোনো ব্যক্তিগত আক্রোশ নেই। কিন্তু চোর ওরা, ভোট ডাকাত ওরা। তারা মানুষের অধিকার হরণ করে, গুম করে, হত্যা করে। কিন্তু স্বীকার করে না। আমেরিকার স্টেট মিনিস্টার যখল এলো, তখন তারা বললো, আমাদের র‌্যাব কিছুটা বাড়াবাড়ি করেছে। এক হাজার মানুষ মারাকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিছুটা বাড়াবাড়ি বললেন। ওরা কী মানুষ? ওদের বিবেক-হৃদয় আছে? জনগণের জন্য কোনো ভালোবাসা, সহানুভূতি আছে? যদি থাকতো, তাহলে একের পর এক নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়তো না।

আওয়ামী লীগের দুর্নীতি, লুটপাটের বিরুদ্ধে গণতন্ত্র মঞ্চ লড়াই করছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, অনেকে আমাকে প্রশ্ন করেন, লড়াইটা শেষ হবে কবে? এটা আমাদের ইচ্ছার ওপর নির্ভর করছে না। তবে লড়াই শেষ হবে। সেই লড়াইয়ে এই সরকারকে বিদায় দিতে হবে। সেই জন্য আমরা আন্দোলন সংগঠিত করছি।

মাহমুদুর রহমান মান্না আরও বলেন, আওয়ামী লীগ বলছে, বিরোধী দলগুলো অশান্তি সৃষ্টি করতে পারে বলে আমরা পাহারা দিচ্ছি। র‌্যাব-পুলিশ কোথায়? দেশের শান্তি রক্ষায় আওয়ামী লীগের গুণ্ডা-পাণ্ডাদের পাহারাদার সাজতে হচ্ছে কেন? মনে রাখবেন, এই পাহারাদারই আপনাদের থাকতে হবে। পাহারাদার সবাইকে জেলে ঢুকতে হবে। অপেক্ষা করেন, সেই সময় আসছে।

আওয়ামী লীগ উন্নয়নের কথা বলে কিন্তু তারা কোন ভালো কাজটি করেছে? চালের দাম বৃদ্ধি করে, নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্য বৃদ্ধি করে, শিক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত না করে, মানুষের জীবন ব্যবস্থা নিশ্চিত না করে, এটাকে কোন উন্নয়ন বলা যায় না।

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকির সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ূম, ভাসানী অনুসারী পরিষদের সভাপতি শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, গণঅধিকার পরিষদের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান প্রমুখ।

সমাবেশ শেষে প্রতিবাদী পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করেন গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা। তারা জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে মিছিল নিয়ে পল্টন মোড়, দৈনিক বাংলা মোড় হয়ে মতিঝিল শাপলা চত্ত্বর পর্যন্ত যান।

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো
© All rights reserved © 2023 Chtnews24.net
Website Design By Kidarkar It solutions