বান্দরবান:- মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে জান্তা বাহিনী ও বিদ্রোহী আরাকান আর্মির মধ্যে চলমান সংঘাতে গত চার দিনে প্রাণে বাঁচতে ৮১ জন জান্তা সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। গত রোববার ১৪ জন, সোমবার দুজন, মঙ্গলবার সকালে ১৮ জন ও রাতে ৪৬ জন এবং বুধবার আরও একজন জান্তা সদস্য পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেন।
নাইক্ষ্যংছড়ি সদরের বর্ডার গার্ড সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আগে থেকে ১৮০ জান্তা সদস্য আশ্রিত ছিলেন। নতুন ৮১ জন যোগ হওয়ায় মোট আশ্রিতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬১ জনে।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় সীমান্তের সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও সরেজমিন দেখতে নাইক্ষ্যংছড়িতে আসেন বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী। তবে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কোনো কথা বলেননি।
গত রোববার সকালে কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে ৯ বিজিপি সদস্য এবং রাতে প্রবেশ করে পাঁচজন। পরদিন সোমবার সকালে নাইক্ষ্যংছড়ির ৩৪ বিজিবির ঘুমধুম সীমান্ত দিয়ে প্রবেশ করে দুজন।
মঙ্গলবার সকাল ৭টায় প্রথম দফায় জান্তা বাহিনীর ১০ সদস্য বাংলাদেশের বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা সদর ইউনিয়নের ৪৫ নম্বর সীমান্ত দিয়ে জামছড়ি গ্রামে আসেন। সেখানে ১১ বিজিবির অধীন জামছড়ি বিওপি জোয়ানদের কাছে তাঁরা আত্মসমর্পণ করেন। একই পয়েন্ট থেকে বেলা আড়াইটায় আসেন আরও পাঁচজন। তাঁরাও একই স্থান দিয়ে এসে একই বিওপি জোয়ানদের কাছে আত্মসমর্পণ করেন।
একই দিন সকাল ১০টায় পৃথক স্থান ঘুমধুম সীমান্তের ৪০ নম্বর পিলারের বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড ৩৪ বিজিবি এলাকা দিয়ে জান্তা বাহিনীর দুই সেনা কর্মকর্তা সীমান্তের রেজুপাড়া বিওপি জোয়ানদের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। পরে সীমান্তের ৩৯ নম্বর পিলার এলাকা দিয়ে আরও একজন পালিয়ে বাংলাদেশে আসেন।
মঙ্গলবার রাতে পালিয়ে আরও ৪৬ জন পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেন। পরদিন বুধবার ঘুমধুম রেজুপাড়া বিওপি বিজিবির কাছে আত্মসমর্পণ করে আরও একজন জান্তা বাহিনীর সদস্য।