ডেস্ক রির্পোট:- প্রেম করে এক তরুণীকে (২০) বিয়ে করেন নিশাত শেখ নামে এক যুবক। কিন্তু বিয়ের পর বাসর রাত কাটিয়ে পরদিন শ্বশুর বাড়িতে নববধূকে রেখে পালিয়ে যান স্বামী নিশাত। এতে উলটপালট ওই তরুণীর জীবন। অবশেষে কোনো উপায় খুঁজে না পেয়ে স্বামীর স্বীকৃতি পেতে শ্বশুরবাড়িতে অবস্থান নেন তিনি।
তবে তরুণীর উপস্থিতি টের পেয়ে স্বামীসহ তার পরিবারের সবাই বাড়িতে তালা মেরে পালিয়ে যান।
বুধবার (১৭ প্রিল) সকালে ফরিদপুরের সালথা উপজেলার বল্লভদী ইউনিয়নের ফুলবাড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত স্বামী ফুলবাড়িয়া গ্রামের মো. দুলাল শেখের ছেলে। আর ভুক্তভোগী তরুণী পাশের সোনাপুর ইউনিয়নের চান্দাখোলা গ্রামের সিদ্দিক সর্দারের মেয়ে।
বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ওই তরুণী শ্বশুরবাড়িতেই অবস্থান করছে বলে জানা গেছে। এদিকে অবস্থানরত তরুণীকে একনজর দেখতে ওই বাড়িতে ভিড় করেন উৎসুক প্রতিবেশীরা।
ভুক্তভোগী তরুণী এসব তথ্য জানান। তিনি অভিযোগ করে বলেন, নিশাতের সঙ্গে আমার ফেসবুকে পরিচয়।
এরপর টানা ৯ মাস প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। প্রেমের সুবাদে নিশাত মাঝে মাঝে আমাদের বাড়িতে আসতেন। একপর্যায়ে গত ৯ এপ্রিল তার ব্যক্তিগত সম্মতিতে আমাদের বাড়িতে বিয়ে সম্পন্ন করা হয়। বিয়ের পর আমার সঙ্গে বাসর রাত কাটিয়ে পরদিন সকালে আমাদের বাড়ি থেকে পালিয়ে যান নিশাত। এরপর গত এক সপ্তাহ পার হয়ে গেলেও আমার সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করেনি।
এই জন্য আমার স্বামীর বাড়িতে আজ চলে এসেছি। আমি এখানে আসলে বাড়ির সবাই পালিয়ে যায়। স্ত্রীর স্বীকৃতি না পেলে আমার আত্মহত্যা ছাড়া কোনো পথ নেই।
বুধবার রাত ১০টার দিকে সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ফায়েজুর রহমান বলেন, ট্রিপল নাইন নম্বরে ফোন করে বিষয়টি আমাদের জানান ওই তরুণী। তবে কোনো অভিযোগ তিনি করেননি। যদি ভুক্তভোগীর পরিবার আমাদের সহযোগিতা চান, তাহলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সালথা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আনিছুর রহমান বালী বলেন, বিষয়টি খোঁজ-খবর নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।