
রাঙ্গামাটি:-আন্দোলনের মুখে স্হগিত করা হয়েছে জেলা পরিষদের অধীনে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার। আগামী ২১ নভেম্বর এ পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল। অপর দিকে আজ থেকে রাঙ্গামাটিতে ডাকা ৩৬ ঘন্টার হরতাল দুপুরে প্রত্যাহার করা হয়েছে। তবে ৮ দফা দাবী আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে বলে জানিয়েছে আন্দোলন কারীরা।
রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের নিয়োগে কোটা বৈষম্যের প্রতিবাদে আজ থেকে সকাল ৮ টা থেকে শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ৩৬ ঘন্টার হরতাল আহবান করেছিল কোটাবিরোধী ঐক্যজোট, সাধারণ শিক্ষার্থী ও সচেতন নাগরিকবৃন্দ।
গতকাল (বুধবার, ১৯;নভেম্বর) বিকালে রাঙ্গামাটি শহরের বনরূপায় একটি রেস্তোরাঁয় আয়োজীত জরুরী সংবাদ সম্মেলন করে এ কর্মসুচি ঘোষণা করা হয়েছিল। হরতালের কারনে সকাল থেকে রাঙ্গামাটি অনেকটা অচল য়ে পড়েছিল। রাঙ্গামাটি থেকে সকাল থেকে দুরপাল্লার কোন যানবাহন চলাচল করেনি। চলেনি শহর এলাকার যানবাহনও। সকল ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্টান ছিল বন্ধ। প্রায় স্কুল,কলেজের পরীক্ষাও করা হয়েছিল স্থগিত।
হরতালের কারনে রাঙ্গামাটি জেলার নৌ পথে সকল নৌ যোগাযোগ ও বন্ধ ছিল।
এদিকে আন্দোলনের মুখে আগামী ২১ নভেম্বর রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদের অধীনে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার স্হগিত করে পরিষদ চেয়ারম্যান।
এই পরীক্ষাকে সামনে রেখে নানা অসঙ্গতি আর অনিয়মের অভিযোগ তুলে পরীক্ষা বন্ধসহ ৬ দফা দাবীতে বিভিন্ন কর্মসুচি পালন করছে আন্দোলনকারীরা।
এদিকে পরীক্ষা স্থগিত করায় জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানকে ধন্যবাদ জানান আন্দোলন কারীরা। তারা আগামী শনিবারের মধ্য তাদের দেয়া ৮ দফা দাবী মেনে নেওয়ারও দাবী জানা। না হলে আগামীতে আরো কঠোর কর্মসুচী ঘোষনা করা হবে বলে হুশিয়ারী দেন আন্দোলনকারীরা।
শিক্ষার্থীদের ৮ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে ৯৩% মেধা ও ৭% কোটার ভিত্তিতে নিয়োগ নিশ্চিত করা। প্রশ্নফাঁসের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে জনপ্রশাসন ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে কেন্দ্রীয়ভাবে প্রশ্নপত্র প্রণয়ন। প্রশ্নপত্র তৈরি পরবর্তী সময়ে জেলা প্রশাসকের তত্ত্বাবধানে সরকারি ট্রেজারিতে সংরক্ষণ। পরীক্ষার খাতা মূল্যায়ন জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে সম্পন্ন করা।নিয়োগ পরীক্ষার আগে উপজেলা কোটা পৃথক প্রজ্ঞাপনে প্রকাশ। নিয়োগ পরবর্তী সময় প্রার্থীদের রোল নম্বর, নাম ও ঠিকানা প্রকাশ বাধ্যতামূলক করা।ফলাফলে বাঙালি ও তফসিলভুক্ত উপজাতীয় জনগোষ্ঠী দুই তালিকা আলাদাভাবে প্রকাশ ও উচ্চ আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী ১৯৮৯ সালের জেলা পরিষদ আইনে উপজাতীয় অগ্রাধিকার নীতি মানা হচ্ছে কি না এ বিষয়ে পরিষ্কার ব্যাখ্যা প্রদান।