
রাঙ্গামাটি:- প্রতি বছর বাংলাদেশসহ প্রায় ১৭০টি দেশে দিবসটি পালিত হয়। এবার দিবসটির প্রতিপাদ্য-‘কর্মস্থলে ডায়াবেটিস সচেতনতা গড়ে তুলুন’। জনগণকে ডায়াবেটিস সম্পর্কে সচেতন করার লক্ষ্যে ১৯৯১ সাল থেকে প্রতি বছর সারাবিশ্বে দিবসটি পালিত হচ্ছে।
তারই অংশ হিসেবে রাঙ্গামাটিতে পালিত হলো বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস। সকালে রাঙ্গামাটি ডায়াবেটিক সমিতি কার্যালয়ে এক আলোচনা সভা অনুষ্টিত হয়।বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস উপলক্ষে আজ সারা দিন বিনামূল্যে সমিতিতে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের সেবা প্রদান করা হয়।
বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস উপলক্ষে সকালে অনুষ্টিত সমিতির কার্যালয়ে এক আলোচনা সভা অনুষ্টিত হয়। সভায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক ডা: পরশ খীসাসহ সমিতির অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।


সভায় জানানো হয়, আন্তর্জাতিক ডায়াবেটিস ফেডারেশনের (আইইএফ) সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, ডায়াবেটিস এমন এক দীর্ঘস্থায়ী অবস্থা, যার ফলে শরীর কার্যকরভাবে ইনসুলিন হরমোন তৈরি বন্ধ হয়ে যায়। অর্থাৎ, ডায়াবেটিস এমন একটি শারীরিক অবস্থা যার কারণে আক্রান্ত ব্যক্তির রক্তে শর্করার মাত্রা অনেক বেশি বেড়ে যায়। এতে একবার কেউ আক্রান্ত হলে সারা জীবনের জন্য তা বয়ে বেড়াতে হয়।
আইইএফের তথ্য বলছে, ২০০০ সালে দেশে ডায়াবেটিস আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১৮ লাখ। ২০১১ সালে এই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৮৪ লাখে। ২০২৪ সালে এই রোগে ভোগা মানুষের সংখ্যা ছাড়িয়েছে এক কোটি ৩৯ লাখ।


তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সময়মতো খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাত্রার পরিবর্তন করলে ডায়াবেটিসের ৫০ শতাংশই প্রতিরোধ করা সম্ভব।
বাংলাদেশ এন্ডোক্রাইন সোসাইটির তথ্য মতে, কর্মস্থলে দীর্ঘ সময় বসে থাকা, অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস, মানসিক চাপ এবং পর্যাপ্ত বিশ্রামের অভাব ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বহু গুণ বাড়াচ্ছে। গবেষণায় দেখা গেছে, শহুরে কর্মজীবী জনগোষ্ঠীর প্রায় ২০-২৫ শতাংশ মানুষ কোনো না কোনোভাবে ডায়াবেটিস বা প্রি-ডায়াবেটিসে ভুগছেন।
ডায়াবেটিসে আক্রান্ত অর্ধেকের বেশি মানুষ জানেনই না যে তারা এই রোগে আক্রান্ত। ডায়াবেটিস সবচেয়ে বেশি জরুরি সচেতনতা। আর সে সচেতনতা বৃদ্ধিতেই এ দিবসটি পালন করা হয়। বিশ্ব ডায়াবেটিস ফেডারেশন (আইডিএফ) ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ১৯৯১ সালে ১৪ নভেম্বরকে ডায়াবেটিস দিবস হিসেবে ঘোষণা করে।