শিরোনাম
বান্দরবানের লামায় পর্যটক নিখোঁজ বাস্তবায়ন পদ্ধতিতেই ঝুলছে জুলাই জাতীয় সনদ,রোববার থেকে দলগুলোর সঙ্গে ফের বৈঠক রাঙ্গামাটিতে আওয়ামী লীগ না থাকায় জয়ের স্বপ্নে বিএনপি,কতিপয় নেতাকর্মীর অপকর্মে হাত ছাড়া হতে পারে আসনটি রাঙ্গামাটির নানিয়ারচরে এক ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার, নিখোঁজ আরেকজন রাঙ্গামাটিতে বেড়েছে পর্যটকের আনাগোনা,পানির নিচে ঝুলন্ত সেতু, হতাশ অনেকে খাগড়াছড়িতে সহিংসতার ঘটনায় তিন মামলা, আসামি সহস্রাধিক খাগড়াছড়ি থমথমে,এলাকাজুড়ে আগুনের ক্ষত,তিনজনের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর ভারতের মদদে পাহাড়ে ইউপিডিএফের তাণ্ডব ইসলামী ব্যাংকের ৪৯৭১ কর্মী ওএসডি, পরে চাকরিচ্যুত ২০০ গাজায় যুদ্ধ বন্ধে সম্মত নেতানিয়াহু

বাস্তবায়ন পদ্ধতিতেই ঝুলছে জুলাই জাতীয় সনদ,রোববার থেকে দলগুলোর সঙ্গে ফের বৈঠক

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় শুক্রবার, ৩ অক্টোবর, ২০২৫
  • ৭ দেখা হয়েছে

ডেস্ক রির্পোট:- দফায় দফায় বৈঠক আর আলোচনা করেও বহুল আলোচিত জুলাই জাতীয় সনদের কোনো সুরাহা হয়নি। এখনো বাস্তবায়ন পদ্ধতি নিয়েই ঘুরপাক খাচ্ছে আলোচনা। রাজনৈতিক দলগুলোর মতানৈক্যের কারণে কী পদ্ধতিতে সনদ প্রণয়ন ও কার্যকর করা যাবে, সে বিষয়েও আলোচনা শেষ হয়নি। অবশ্য জুলাই সনদ প্রণয়ন ও কার্যকর ইস্যুতে বিশেষজ্ঞরা মোটাদাগে দুটি বিষয়কে গুরুত্ব দিচ্ছেন বলে জানা গেছে। এমন পরিস্থিতিতে জুলাই জাতীয় সনদ নিয়ে আগামী রোববার থেকে আবারও রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনায় বসবে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। আগামী মঙ্গলবারের মধ্যে দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার ইতি টানতে চায় কমিশন।

বর্ধিত সময় অনুযায়ী, ১৫ অক্টোবর জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ শেষ হবে। এ সময়ের মধ্যেই কমিশন জুলাই জাতীয় সনদ চূড়ান্ত করতে চায়।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জুলাই সনদ প্রণয়নের চেয়ে সনদ কার্যকরের পদ্ধতি নিয়েই জটিলতা বেশি। সেইসঙ্গে আইনগত ভিত্তি দিয়ে জুলাই সনদের আলোকে আগামী সংসদ নির্বাচন এবং অতি জরুরি সংস্কারগুলো নির্বাচনের আগে বাস্তবায়ন ইস্যুতে দলগুলোর পরস্পরবিরোধী কঠোর অবস্থানের কারণে সনদ বাস্তবায়নের অনিশ্চয়তা কাটছেই না। মূলত জুলাই সনদের সংবিধান সম্পর্কিত প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়নের পদ্ধতি নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর তীব্র মতবিরোধ রয়েছে। একদিকে বিএনপিসহ তাদের সমমনা কিছু দল চায় প্রস্তাবগুলোর বাস্তবায়ন হবে জাতীয় নির্বাচনের পর, নির্বাচিত সংসদের মাধ্যমে। অন্যদিকে, জামায়াতে ইসলামী চায় আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেই প্রস্তাবগুলোর বাস্তবায়ন এবং এর ভিত্তিতে নির্বাচন। ফলে কমিশনের লক্ষ্য কতটা পূরণ হবে, তা নিয়ে সংশয় থাকছে।

জুলাই সনদের অগ্রগতি: সাত দফার ভিত্তিতে ৮৪টি সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে জুলাই জাতীয় সনদের খসড়া চূড়ান্ত হলেও বাস্তবায়ন পদ্ধতি নিয়ে এখনো ঐকমত্য হয়নি। এ কারণে আটকে আছে জুলাই সনদ প্রণয়ন। বাস্তবায়নের উপায় ঠিক করতে গত ১১ সেপ্টেম্বর থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা শুরু করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। তিন দিন আলোচনা করেও ঐকমত্য হওয়া যায়নি। আপাতত আলোচনা মুলতবি রয়েছে। ওইদিনই সনদের চূড়ান্ত সমন্বিত খসড়া দলগুলোকে দেয় কমিশন। রাজনীতিবিদরা বলছেন, সনদ ঘোষণা এবং কার্যকরের দায়িত্ব ঐকমত্য কমিশন ও সরকারের। গত ১৪ সেপ্টেম্বর রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠকে বসে ঐকমত্য কমিশন। সেদিন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন। ওই বৈঠক থেকেও চূড়ান্ত কোনো সমাধান আসেনি। তা ছাড়া আইনি ভিত্তি দিয়ে জুলাই সনদের অধীনে আগামী সংসদ নির্বাচনসহ পিআর (আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব) পদ্ধতি বাস্তবায়নের দাবিতে এর মধ্যে তিন দিনের অভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছে জামায়াতে ইসলামীসহ সাতটি রাজনৈতিক দল। গত মঙ্গলবার আবারও দ্বিতীয় ধাপে ১১ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে দলগুলো। এ অবস্থায় অনেকের মনে প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে কি জুলাই সনদ ঝুলে যাচ্ছে?
বাস্তবায়ন পদ্ধতিতেই ঝুলছে জুলাই জাতীয় সনদ
ফের লন্ডন সফরে ট্রেসি, তারেক রহমানের সঙ্গে বৈঠকের সম্ভাবনা

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা লম্বা সময়ের জন্য মুলতবি রাখার একটি উদ্দেশ্য ছিল, যাতে দলগুলো এ সময়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে ঐকমত্যে আসতে পারে। এরই মধ্যে কিছু দল নিজেদের মধ্যে আলোচনাও করেছে, কিন্তু প্রধান দলগুলোর মধ্যে সে অর্থে কার্যকর আলোচনা হয়নি। ফলে রোববার আবারও রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনায় বসবে কমিশন। রাজধানীর হেয়ার রোডে ফরেন সার্ভিস একাডেমির দোয়েল হলে ওই সভা হবে। ঐকমত্য কমিশনের পরিকল্পনা হলো—ওইদিনই রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা শেষ করা। প্রয়োজনে পরপর তিন দিন আলোচনা হতে পারে। এরপর দলগুলোর সঙ্গে আর আলোচনা করা হবে না। কয়েক দফায় ৩৩টি রাজনৈতিক দল ও জোটের সঙ্গে বৈঠক করেছে কমিশন।

বিশেষজ্ঞদের মতামত: এরই মধ্যে সংবিধান-সম্পর্কিত প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়নে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ থেকে মোটাদাগে ছয়টি সুপারিশ পেয়েছিল কমিশন। সেগুলো হচ্ছে—পূর্ণাঙ্গ সনদ বা তার কিছু অংশ নিয়ে গণভোট, বিশেষ সাংবিধানিক আদেশে বাস্তবায়ন, গণপরিষদ গঠনের মাধ্যমে বাস্তবায়ন, ত্রয়োদশ সংসদের মাধ্যমে বাস্তবায়ন, সংসদকে সংবিধান সংস্কার সভা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে সনদের বিষয়গুলো সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করা এবং সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের কাছে এই মর্মে মতামত চাওয়া যে, অন্তর্বর্তী সরকার এই সনদ বাস্তবায়ন করতে পারবে কি না।

অন্যদিকে বিশেষজ্ঞরা মতামত দিয়েছেন, জুলাই সনদ নিয়ে সংবিধান আদেশ জারি করা যেতে পারে। এটি অবিলম্বে কার্যকর হবে। আর জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন সংবিধান আদেশ নিয়ে গণভোট করা যেতে পারে। তারা আরও বলেছেন, সংস্কার প্রস্তাবগুলোর বাস্তবায়ন টেকসই করতে হলে গণভোট বা গণপরিষদ সবচেয়ে ভালো বিকল্প। গত ১৪ সেপ্টেম্বর দলগুলোর সঙ্গে বৈঠকে ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি ড. আলী রীয়াজ জানান, জুলাই সনদে অন্তর্ভুক্ত প্রস্তাবগুলো (ভিন্নমতসহ) চারভাবে বাস্তবায়নের পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এগুলো হচ্ছে—অধ্যাদেশ, নির্বাহী আদেশ, গণভোট ও বিশেষ সাংবিধানিক আদেশ। এখন সাংবিধানিক আদেশ এবং গণভোট—এ দুই বিষয়কে ঐকমত্য কমিশন গুরুত্ব দিচ্ছে বলে জানা গেছে।

জুলাই সনদ ঘোষণা ও বাস্তবায়ন প্রসঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘সনদের বাস্তবায়ন পদ্ধতি নিয়েই মূল সংকট। মানে কীভাবে বা কখন বাস্তবায়ন হবে। এ কথাও সত্য যে, রাজনৈতিক দলগুলোর মাঝে একটি বৃহত্তর সমঝোতায় পৌঁছানোর আগ্রহ আছে, যা আমরা অতীতে কখনো দেখিনি। দীর্ঘদিন আলাপ-আলোচনার ফলে এ আকাঙ্ক্ষা জেগেছে, সমাধান করতেই হবে। না হলে এর পরিণতি অমঙ্গলকর হতে পারে সবার জন্যই।

তিনি বলেন, বল এখন রাজনৈতিক দলগুলোর কোর্টে। আমরা তাদের দিকে তাকিয়ে আছি। সম্মানিত রাজনীতিবিদদেরই সিদ্ধান্ত নিতে হবে তারা কী চান? কারণ, তাদের দায়িত্ব সরকার পরিচালনা করা এবং রাষ্ট্রের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করা।

ঐকমত্য কমিশন সূত্রের দাবি, কমিশন সরকারকে বাস্তবায়নের একাধিক বিকল্প পদ্ধতি সুপারিশ করবে। এখন যে কয়টি পদ্ধতি আলোচনায় আছে, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কথা বলে বিকল্প পদ্ধতির সংখ্যা কমিয়ে আনতে চায়। যদি দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য না হয়, তাহলে ৫ অক্টোবর দলগুলোর মতামত শোনার পর কমিশন বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আবারও আলোচনা করে বাস্তবায়নের সুপারিশ চূড়ান্ত করবে। ৮ বা ৯ অক্টোবর বাস্তবায়নের সুপারিশ সরকারের কাছে জমা দিতে চায় তারা।

দলগুলোয় এখনো মতভেদ: জুলাই সনদ প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন পদ্ধতি নিয়ে দলগুলোর পরস্পরের মাঝে এখনো অনৈক্য রয়ে গেছে। সনদ বাস্তবায়ন পদ্ধতি প্রশ্নে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর অবস্থান পুরোপুরি ভিন্ন। বিএনপি বলছে, সংবিধান-সম্পর্কিত সংস্কার প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়নের একমাত্র বৈধ পথ বা ফোরাম হচ্ছে জাতীয় সংসদ। আগামী সংসদের মাধ্যমে এগুলো বাস্তবায়ন করতে হবে। তবে এর বাইরে অন্য কোনো উপায়ে সংবিধান সংস্কার করা সম্ভব কি না, সে বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের মতামত চাওয়ারও পক্ষে দলটি। অন্যদিকে, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনে করে আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগেই আইনি ভিত্তি দিয়ে জুলাই সনদের পূর্ণ বাস্তবায়ন করতে হবে। তার ভিত্তিতে আগামী নির্বাচন হতে হবে। অতীতের অভিজ্ঞতা বলে, আগামী সংসদের হাতে ছেড়ে দেওয়া হলে এসবের বাস্তবায়ন ঝুলে যাবে। তা ছাড়া জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) চাওয়া গণপরিষদের মাধ্যমে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন করা। আগামী নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত সংসদ গণপরিষদ এবং নিয়মিত সংসদ হিসেবে কাজ করতে পারে বলেও মনে করে দলটি।

সংশ্লিষ্টরা জানান, এই রাজনৈতিক মতভিন্নতার মধ্যে শেষ পর্যন্ত ১৫ অক্টোবরের মধ্যে জুলাই সনদের চূড়ান্ত রূপ দেওয়া সম্ভব হবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে। কারণ, বাস্তবায়ন পদ্ধতি পছন্দমতো না হলে গুরুত্বপূর্ণ অনেক দলের জুলাই সনদে সই না করার আশঙ্কা আছে।

রাজনীতিবিদরা যা বলছেন: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, জুলাই সনদের বিষয়ে ৫ অক্টোবর ঐকমত্য কমিশন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আবারও আলোচনা করবে। সেখানে কী হয়, সেটা দেখার পর কথা বলা যাবে। তবে আমরা সনদে স্বাক্ষর করতে প্রস্তুত আছি, তা আগেও বলেছি। কিন্তু কোনো আদালতে প্রশ্ন তোলা যাবে না, তেমন কোনো দলিল হতে পারে না, সংবিধানের ওপর সনদকে স্থান দেওয়া গ্রহণযোগ্য নয়। এর বাইরেও অনেক পন্থা থাকতে পারে, যাতে আমরা এটার বৈধতা দিতে, আইনি ভিত্তি দিতে পারি। আপিল বিভাগের পরামর্শ নিতে পারি আমরা।

ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদের মধ্যেই জুলাই সনদ প্রণয়ন হবে কি না—এমন প্রশ্নের উত্তরে জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ এইচ এম হামিদুর রহমান আযাদ কালবেলাকে বলেন, আমরা মনে করি জুলাই সনদ আরও আগেই হওয়া সম্ভব ছিল। কমিশনের চেষ্টাও ছিল। বিশেষ বিশেষ দলের বিরোধিতার কারণে সেটা হয়নি। যদি আবারও একই কায়দায় দলীয় স্বার্থ বিবেচনায় নিয়ে বাধা প্রয়োগ করা হয় আর কমিশন শক্ত অবস্থান নিতে না পারে, তাহলে তো হবে না। আমরা বিশ্বাস করি আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান সম্ভব।

এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেন, যেগুলো সংবিধানের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়, সেগুলো এ সরকারের সময় থেকেই অর্ডিন্যান্স বা নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে; কিন্তু রাষ্ট্র কাঠামোর অনেক বিষয় নিয়ে আমরা কথা বলেছি, যাতে সংবিধানের অনেক মৌলিক জায়গায় পরিবর্তন আসবে।

কিছু আশঙ্কার কথা জানিয়ে আখতার আরও বলেন, তার দল এনসিপি মনে করে গণপরিষদ নির্বাচনের মধ্য দিয়েই নতুন সংবিধানে নতুনভাবে লিখিত ধারা, উপধারা এবং কিছু অনুচ্ছেদ সংশোধনী ও সংস্কার করা গেলে সেগুলোকে টেকসই করা সম্ভব। সে ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলগুলোকে অবশ্যই ঐকমত্যের জায়গায় পৌঁছাতে হবে।কালবেলা

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো
© All rights reserved © 2023 Chtnews24.com
Website Design By Kidarkar It solutions