শিরোনাম
খাগড়াছড়ি থমথমে,এলাকাজুড়ে আগুনের ক্ষত,তিনজনের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর ভারতের মদদে পাহাড়ে ইউপিডিএফের তাণ্ডব ইসলামী ব্যাংকের ৪৯৭১ কর্মী ওএসডি, পরে চাকরিচ্যুত ২০০ গাজায় যুদ্ধ বন্ধে সম্মত নেতানিয়াহু ট্রাম্পের ‘হামাসবিহীন গাজা’ প্রস্তাবে যুদ্ধ বন্ধে সম্মত ইসরাইল ৫ আগস্টই মুছে ফেলা হয় শেখ হাসিনার ১ হাজার কল রেকর্ড জুলাই অভ্যুত্থানে ৩ লাখ গুলি ছোড়ে পুলিশ, ঢাকায় ৯৫ হাজার রাউন্ড মাদাগাস্কারে জেন জি বিক্ষোভের মুখে সরকার ভেঙে দিলেন প্রেসিডেন্ট থমথমে খাগড়াছড়ি চলছে ১৪৪ ধারা,সতর্ক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে চেকপোস্ট গাজায় জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ধ্বংস সবকিছুই,বাদ যাচ্ছে না হাসপাতাল আশ্রয় কেন্দ্র

রাঙ্গামাটির ঝুলন্ত সেতু এখনও ডুবে আছে

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় রবিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
  • ২৫৭ দেখা হয়েছে

রাঙ্গামাটি:- প্রাকৃতিক বহু রূপের সমাহার পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটিতে সারা বছর পর্যটকদের আনাগোনা লেগেই থাকে। তিন পার্বত্য (রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান) জেলার মধ্যে সবচেয়ে সম্ভাবনাময়ী রাঙ্গামাটি অঞ্চল দেশের অন্যতম পর্যটন স্পট হিসেবে আলাদা সুখ্যাতি রয়েছে।

তবে কয়েকমাস ধরে রাঙ্গামাটির ঝুলন্ত সেতু কাপ্তাই হ্রদের পানিতে তলিয়ে থাকায় এ জেলার পর্যটন ব্যবসায় চরম ভাবে মন্দাভাব দেখা দিয়েছে। ট্যুরিস্ট বোটগুলোতে ট্যুরিস্ট নেই, স্থানীয় টেক্সটাইল ব্যবসায় নেমেছে ধস, হোটেল-মোটেলগুলোতে আশানুরূপ পর্যটক নেই বললে চলে।

জানা গেছে, রাঙ্গামাটিতে প্রতি বছর প্রায় পাঁচ লাখের অধিক পর্যটকের সমাগম ঘটে। আগত এ সকল পর্যটকদের কাছ থেকে ঝুলন্ত সেতুতে জনপ্রতি প্রবেশ ফি-২০টাকা করে নেওয়া হয়। বছরে ঝুলন্ত সেতু দেখতে আসা পর্যটকদের কাছ থেকে বছরে পর্যটন করপোরেশন আয় করে কোটি টাকা। তবে গত দু’মাস ঝুলন্ত সেতুটি ডুবে থাকায় প্রায় ১০-১২ লাখ টাকা আয় থেকে বঞ্চিত হয়েছে পর্যটন করপোরেশন। ঝুলন্ত সেতু ডুবে থাকার কারণে তাদের কটেজগুলোতে পর্যটক না আসায় চরম মন্দাভাব চলছে।

টানা বৃষ্টি, উজান উজান তেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে রাঙামাটির নিম্মাঞ্চগুলো হ্রদের পানিতে তলিয়ে যায়। সেই সাথে ডুবে যায় ঝুলন্ত সেতু।

হোটেল-মোটেল মালিকরা বলছেন, তাদের হোটেলগুরেলাতে আশানুরূপ পর্যটক নেই। পর্যটন মৌসুমের সময়ও তাদের ব্যবসা মন্দা যাচ্ছে।

রাঙ্গামাটি ট্যুরিস্ট বোট মালিক সমিতির সহ-সভাপতি রমজান আলী বলেন, এখন ট্যুরিস্ট আসার মৌসুম। কিন্তু ঝুলন্ত সেতু ডুবে থাকায় ট্যুরিস্টরা রাঙামাটি আসছেন না। ট্যুরিস্ট বোট মালিকরা আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন, বোট চালকরা বেকার সময় পার করছেন।

রাঙ্গামাটি পর্যটন করপোরেশনের ম্যানেজার আলোক বিকাশ চাকমা বলেন, ঝুলন্ত সেতু ডুবে থাকায় গত দু’মাস ধরে পর্যটক সমাগম কমে গেছে। হ্রদের পানি কমে গেলে আবারো পর্যটক সমাগম বাড়বে বলে জানান তিনি।

কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে জানা গেছে, কাপ্তাই হ্রদে বর্তমানে ১০৮ফুটের বেশি পানি রয়েছে।

এদিকে হ্রদে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় জেলার নিম্মাঞ্চগুলো ডুবে রয়েছে। কৃষি জমিগুলো ডুবে থাকায় আমন ধানের চাষ করতে পারছে না কৃষকরা।

রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদের সদস্য ও পর্যটন বিষয়ক আহবায়ক মো. হাবিব আজম বলেন, রাঙ্গামাটির পর্যখাতের উন্নয়নে দেড়শো কোটি টাকা বরাদ্ধ প্রদান করা হয়েছে। জেলার বিভিন্ন পর্যটন স্পট উন্নয়ন করতে এ বাজেট প্রদান করা হয়েছে। আশাকরছি কয়েক বছরের মধ্যে রাঙামাটি পর্যটক খাতে ব্যাপক উন্নয়ন ঘটবে।

রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কৃষিবিদ কাজল তালুকদার বলেন, পর্যটন খাতের উন্নয়নে জেলা পরিষদ কাজ করছে। ঝুলন্ত সেতুটি সংস্কার নিয়ে কি করা যায় না নিয়ে আলোচনা চলছে।

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো
© All rights reserved © 2023 Chtnews24.com
Website Design By Kidarkar It solutions