খাগড়াছড়ি:- জেলায় উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সাজেকে আটকা পড়া পর্যটকরা খাগড়াছড়ি ছেড়ে গেছেন। শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১১টা থেকে ১২টার মধ্যে তারা নিজ নিজ গন্তব্যে ফিরে গেছেন।
জানা যায়, শুক্রবার দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রায় দুই হাজার পর্যটক সাজেক ঘুরতে যান। শনিবার তাদের খাগড়াছড়ি ফেরার কথা থাকলেও জেলায় সকল-সন্ধ্যা সড়ক অবরোধ ও সহিংস পরিস্থিতিতে নির্ধারিত সময়ে ফেরা হয়নি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিশেষ নিরাপত্তায় সকালের দিকে সাজেক ছেড়ে এসে তারা দীঘিনালায় অবস্থান নেন। পরবর্তীতে রাত পরিস্থিতি অনুকূলে এলে রাত আনুমানিক ১০টার দিকে খাগড়াছড়ি শাপলা চত্বরে আসেন তারা।
সাজেক কাউন্টারের দায়িত্বরত মো. আরিফ জানায়, শুক্রবার সকালে জিপ, পিকআপ, সিএনজি মিলে প্রায় দুইশ গাড়ি সাজেক গেছে। আজকে দুপুরের মধ্যে ফেরার কথা ছিল। তবে অবরোধের জন্য পারেনি। রাতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে ফিরেছে।
ময়মনসিংহের বাসিন্দা ছাদেকুল ইসলাম। চার বন্ধুসহ সাজেক ঘুরতে এসেছেন। তিনি বলেন, খাগড়াছড়ির পরিস্থিতি সম্পর্কেতো আমরা জানতাম না। আজকে ১০টার দিকে আমাদের সাজেক থেকে নিয়ে আসা হয়। এমন পরিস্থিতির কারণে ৮টা পর্যন্ত দীঘিনালা ছিলাম। সেখান থেকে খাগড়াছড়ির প্রবেশের আগে পর্যন্ত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত ছিলাম। তারপর খাগড়াছড়ি আসছি। সেনাবাহিনী আমাদের যথেষ্ট সহযোগিতা করেছে। না হয় ফিরতে পারতাম না।
কক্সবাজার থেকে ঘুরতে আসা মো. শরীফ হোসেন বলেন, শুক্রবার রাতে জানতে পারি যে পরের দিন অবরোধ। সকাল ১০টায় সাজেক থেকে বের হয়ে ১১টার দিকে খাগড়াছড়ি এলাম। এই পুরো সময় কিছুই খেতে পারিনি।
শান্তি পরিবহনের কাউন্টারের দায়িত্বরত মো. জসিম উদ্দিন বলেন, যাত্রীদের জন্য পর্যাপ্ত গাড়ি দেওয়া হয়েছে। সবাই যার যার গন্তব্য চলে গেছে।
গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জেলা সদরের সিঙ্গিনালা এলাকায় অষ্টম শ্রেনীর এক ছাত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে শায়ন শীল (১৯) নামে অভিযুক্ত এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়। ঘটনায় ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে সদর থানায় মামলা দায়ের করেছেন। ঘটনার পর থেকে অবরোধ, মিছিল, সমাবেশসহ নানা কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। শনিবার জেলার বিভিন্ন স্থানে সহিংস ঘটনাও ঘটে।