পার্বত্য চট্টগ্রাম দখল করে গ্রেটার ত্রিপুরা ল্যান্ড নামে আলাদা রাষ্ট্র চান ভারতের ত্রিপুরা রাজা

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
  • ৭৪১ দেখা হয়েছে

ডেস্ক রির্পোট:- বাংলাদেশের হাত থেকে চট্টগ্রাম দখলে নেওয়ার জন্য ভারত সরকারের ঐক্যবদ্ধ পদক্ষেপ চাইছেন ত্রিপুরা রাজা প্রদ্যোত বিক্রম মাণিক্য দেব বর্মা। বাংলাদেশের বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রামকে তিনি নিজেদের পুরানো ভূমি দাবি করেন। তিনি বলেন, চট্টগ্রাম এক সময় বাংলাদেশের ছিল না। ওখানের চাকমা জনজাতি, চাকমা রাজা- তারা কখনোই বাংলাদেশের অংশ হতে চায়নি। ঐক্যবদ্ধভাবে ‘এই বৃহ্ত্তর চট্টগ্রাম ভূখণ্ড দখলে নিয়ে ভুটানের মতো গ্রেটার ত্রিপুরা ল্যান্ড গঠন এখনই সম্ভব’ বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের ত্রিপুরী রাজপরিবারের এই প্রধান সদস্য প্রদ্যোত মানিক্য দেব বর্মা। ভারতের এএনআই নিউজকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি একথা বলেন।
ভুটানের মতো রাষ্ট্র কেনো- এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ভুটান ছাড়া আমাদের কোনো ভালো বন্ধু নেই। নেপাল তো চীনাদের হাতে। শ্রীলঙ্কার পুরো বন্দর চীনাদের দখলে। অবশ্যই পাকিস্তান একটি ব্যর্থ রাষ্ট্র। তাছাড়া বাংলাদেশে আমাদের বিরুদ্ধে জামায়াতে ইসলামীর নেতিবাচক মনোভাব আছে। শেখ হাসিনা ও শেখ মুজিবুর রহমান ভারতের বন্ধু ছিলেন।’

১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ এএনআই’র ইউটিউব চ্যানেলে ‘ঠোকো বাংলাদেশ, চট্টগ্রাম বন্দর দখল করো’ শিরোনামে প্রদ্যোত মানিক্য দেব বর্মার সাক্ষাৎকারটি প্রচার করে। সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম বাংলাদেশ সরকারের কৃত্রিম সীমানায় আবদ্ধ। অভিন্ন সাংস্কৃতিক পরিচয়ের ভিত্তিতে পার্বত্য চট্টগ্রামের উপজাতিরা আলাদা রাষ্ট্র হতে চায়। এজন্য তারা সম্পূর্ণ প্রস্তুত এবং ভারত সরকারের হস্তক্ষেপের অপেক্ষায় রয়েছে বলে সাক্ষাৎকারে জানান বর্মা।

এ প্রসঙ্গে চ্যানেলের উপস্থাপিকা স্মিতা প্রকাশ ত্রিপুরা রাজা মানিক্য দেব বর্মার কাছে জানতে চান তিনি পার্বত্য চট্টগ্রাম দখলের কথা বলছেন কী না। উত্তরে ত্রিপুরা রাজা বলেন, আমি বলছি না একটি পূর্ব তিমুর তৈরি হোক। আমি চাইছি ভুটানোর মতো একটি বন্ধুত্বপূর্ণ দেশ। কারণ আমাদের উপজাতি সম্প্রদায়ের মানুষ এটা চায়।
উপস্থাপিকা জানতে চান যে, আপনি কীভাবে জানলেন যে তারা এটা চায়, কোনো গণভোট হয়েছে কি? উত্তরে বার্মা বলেন, আমি জানি। কোনো গণভোট হয়নি। ইউক্রেনে কি গণভোট হয়েছিল। গণভোট বলে কিছু নেই। শেখ হাসিনার পতনের জন্য কি গণভোট হয়েছিল? শাসন ব্যবস্থার পরিবর্তন খুবই স্পষ্ট। এখানে আলাদা রাষ্ট্র করা সম্ভব। আমি বলবো এটা সম্ভব। এজন্য আমাদের শক্তিশালী নেতৃত্বের প্রয়োজন। যারা ২০ বছর পরে হলেও এই এলাকা এই করিডোরের দিকে নজর দেবে।

সাক্ষাৎকারে তিনি ভারতের কেন্দ্রীয় নতজানু রাজনৈতিক নেতৃত্বের সমালোচনা করে বলেন উত্তর-পূর্ব নানা দিক দিয়ে এখনো উপেক্ষিত। এই উপেক্ষার কারণেই এখানকার পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ হচ্ছে।

তিনি বলেন, আমি রাজনীতিবিদ হতে চাই না। আমি আমার সম্প্রদায়ের একজন প্রতিনিধি হতে চাই। যাতে তাদেরকে টিকিয়ে রাখতে পারি। যদি এই সম্প্রদায় না থাকে, যদি ট্রাইবালরাই না থাকে তাহলে আমি রাজনীতি করে কি করব?

তিনি ডোনাল্ড ট্রাম্পের অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে গৃহীত পদক্ষেপের প্রশংসা করেন এবং এক্ষেত্রে ভারত সরকারের সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, ডোলান্ড ট্রাম্প ভারতীয়দের হাতকড়া পড়িয়ে প্লেনে করে নিউর্য়ক থেকে পাঞ্জাবে পাঠিয়ে দিচ্ছেন। অথচ ভারতের বিভিন্ন রাজ্য থেকে অবৈধ বাংলাদেশিদের ধরে বাংলাদেশে না পাঠানোয় তারা এদিকে এসেই ঘুরছে ফিরছে।
মূল ইংরেজি থেকে বাংলায় অনূদিত

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো
© All rights reserved © 2023 Chtnews24.com
Website Design By Kidarkar It solutions