শিরোনাম
রাঙ্গামাটির কাপ্তাই বাঁধের স্প্রিলওয়ের দরজা ফের খুলে দেওয়া হলো রাঙ্গামাটির ঝুলন্ত সেতু এক মাস ধরে তিন ফুট পানির নিচে রাঙ্গামাটিতে চমক বিলেতি ধনেপাতার চাষ রাঙ্গামাটিতে ওভারহেড পানির ট্যাঙ্ক, ভূমিধসের ঝুঁকিতে ৬ পরিবার রাঙ্গামাটির কাপ্তাই হ্রদে পানি বৃদ্ধি, মহালছড়ির দুই শতাধিক পরিবার পানিবন্দি বান্দরবানে প্রদীপ কান্তির উত্থান,এক দশকে দর্জি থেকে কোটিপতি বান্দরবানের ৭২ বেইলি সেতু ঝুঁকিতে, দুর্ঘটনার শঙ্কা বান্দরবানে জুমের ধান কাটা শুরু, পাহাড়ে লেগেছে সোনালি রং ডাকসু নির্বাচন: শীর্ষ তিন পদেই এগিয়ে শিবির অবৈধ অভিবাসীদের ফেরত না নিলে সংশ্লিষ্ট দেশের ভিসা সুবিধা বাতিল করবে যুক্তরা‌জ্য

রাঙ্গামাটির কাপ্তাই হ্রদে পানি বৃদ্ধি, মহালছড়ির দুই শতাধিক পরিবার পানিবন্দি

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
  • ৫১ দেখা হয়েছে

খাগড়াছড়ি:- ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের কারণে কাপ্তাই লেকের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় খাগড়াছড়ির মহালছড়িতে নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এতে মহালছড়ি সদর ইউনিয়ন ও মুবাছড়ি ইউনিয়নের প্রায় দুই শতাধিক পরিবার পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে। সোমবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাত থেকে এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। ইতোমধ্যে ঘর-বাড়িতে পানি ঢুকে পড়ায় অনেকে আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে। সিলেটি পাড়া, চট্টগ্রাম পাড়া, ব্রীজ পাড়ার ঘর-বাড়ি প্লাবিত হয়েছে।

পানি বাড়ায় গত কয়েকদিন ধরে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে। ঘরে পানি ঢুকে পড়ায় স্থানীয়রা ভোগান্তিতে পড়েছে।

এছাড়া পানিতে সড়ক ডুবে যাওয়ায় মুবাছড়ি ইউনিয়নের সাথে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় স্থানীয়রা ভোগান্তিতে পড়েছে। অনেকেই নৌকায় করে চলাচল করছে। মুবাছড়ি ইউনিয়নের মনারেটক এলাকার বাসিন্দা রত্ন উজ্জ্বল চাকমা বলেন, ‘মহালছড়ি উপজেলা সদরের সাথে মুবাছড়ির ইউনিয়নের ২৫-এর বেশি গ্রামের মানুষের চলাচলের একমাত্র সড়কটি ডুবে গেছে। যানবাহন চলাচল বন্ধ। মানুষ নৌকায় করে পারাপার করছে। এই মৌসুমে কয়েকদফায় সড়কটি ডুবে গেছে। এই নিয়ে চতুর্থবার ডুবল। যান চলাচল বন্ধ হওয়ায় অনেকে ভোগান্তিতে পড়েছে। এছাড়া মানুষের ঘর-বাড়িতে পানি ঢুকে গেছে। লেকের পানি না কমলে উজানের অংশেও পানি কমবে না। ভবিষ্যতে সড়কের উচ্চতা বাড়িয়ে যদি পূর্ণনির্মাণ করা হয়, সেক্ষেত্রে জনভোগান্তি কমবে।’

সিলেটি পাড়ার বাসিন্দা মোহাম্মদ ইলিয়াস মোল্লা বলেন, ‘এই মৌসুমে আমাদের ঘর চারবার ডুবেছে। একবার পানি উঠলে তিন-চার দিন থাকে। প্রতিদিনই পানি বাড়ছে। এছাড়া উজান থেকে পাহাড়ি ঢলে পানি নামায় আমাদের ভোগান্তি বেড়েছে।’

চট্টগ্রাম পাড়ার বাসিন্দা মো. আবুল খায়ের বলেন, ‘লেকের পানি সামান্য বাড়লেই সিলেটি পাড়া, চট্টগ্রাম পাড়া আগে ডুবে। এবারও ডুবেছে। মানুষ এখন পানিবন্দি। পানি নামতে কয়েকদিন সময় লাগবে। স্থানীয়রা ভোগান্তিতে পড়েছে।’

রাঙ্গামাটির কাপ্তাই হ্রদ মৎস উন্নয়ন ও বিপণন কেন্দ্র মহালছড়ি উপকেন্দ্রের প্রধান মো. নাসরুল্লাহ আহমেদ জানান, ‘লেকের পানি বাড়ায় আমাদের মৎস অবতরণ কেন্দ্রে ল্যান্ডিং স্টেশন ডুবে গেছে। আর পানি বাড়লে আমাদের অফিসও ডুবে যাওয়ার শঙ্কা আছে।’

মহালছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবু রায়হান জানান, ‘কাপ্তাই লেকের পানি না কমায় সদর ও মুবাছড়ি ইউনিয়নের ব্রীজ পাড়া, কাপ্তাই পাড়া, সিলেটি পাড়া, চট্টগ্রাম পাড়ার প্রায় ১৫৪ পরিবার ডুবে গেছে। পানি বন্দি দুইশ পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া মহালছড়ি দাখিল মাদ্রাসা আশ্রয় কেন্দ্রে ৬টি পরিবারে ২৩ জন আশ্রয় নিয়েছে। তাদের উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে রান্না করা খাবার দেওয়া হচ্ছে।’

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো
© All rights reserved © 2023 Chtnews24.com
Website Design By Kidarkar It solutions