শিরোনাম
পার্বত্য চট্টগ্রাম মহিলা সমিতি’র ১৩তম কেন্দ্রীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত: অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আমলে প্রহসনমূলক বিচারে মাইকেল চাকমাকে দণ্ডাদেশ প্রদান নিষ্ঠুর পরিহাস, মেনে নেয়া যায় না : ইউপিডিএফ কঠিন চীবর দানোৎসবের মাধ্যমে সম্প্রীতির বন্ধন আরও সুদৃঢ় হবে: পার্বত্য উপদেষ্টা ২৫ বছরের দণ্ডে দণ্ডিত ইউপিডিএফ সশস্ত্র কমান্ডার মাইকেল চাকমা পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতীয় শাসন বাতিল করে রাষ্ট্রীয় প্রশাসন বাস্তবায়নের দাবি সার্বভৌমত্ব সুরক্ষা পরিষদের খাগড়াছড়িতে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের কঠিন চীবর দান উদযাপন রাঙ্গামাটির কাপ্তাই হ্রদে নৌকা ডুবি, সেনাবাহিনীর তৎপরতায় সকল যাত্রী নিরাপদে উদ্ধার সাত রুটে অস্ত্র ঢুকছে বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও তিন পার্বত্য জেলার সন্ত্রাসীদের আস্তানায় রাঙ্গামাটির কাপ্তাই বজ্রপাতে জেলের মৃত্যু, আহত ৪ রাঙ্গামাটিতে কঠিন চীবর দান উপলক্ষে সর্বাত্মক নিরাপত্তা ব্যবস্থা

রাঙ্গামাটির ভেদভেদী নতুনপাড়ার রাস্তা ও মসজিদের গার্ডওয়ালের কাজ ১৭ বছরেও হয়নি চরম দুর্ভোগে এলাকাবাসী

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় শুক্রবার, ২২ আগস্ট, ২০২৫
  • ২৬০ দেখা হয়েছে

রাঙ্গামাটি;-১৭ বছর আগে রাঙ্গামাটি সদর উপজেলার ভেদাভেদী নতুনপাড়ার মানুষ উন্নত রাস্তা ও মসজিদের জন্য গার্ডওয়াল নির্মাণের দাবি তুলেছিলেন। স্থানীয়রা অভিযোগ করছেন, জেলা প্রশাসন, উন্নয়ন বোর্ড ও জেলা পরিষদে একাধিকবার দরখাস্ত দেওয়া হলেও আজও কাজ হয়নি। ফলে প্রতিদিন নাজুক রাস্তায় দুর্ভোগে পড়ছেন স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থী, রোগী ও সাধারণ মানুষ।
বর্ষা এলেই রাস্তাটি হাঁটু পানিতে ডুবে যায়। তখন চলাচল করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে। রিকশা বা সিএনজি তো দূরের কথা, হেঁটেও যাতায়াত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে দাঁড়ায়।এলাকাবাসী আবু জামাল বলেন।
বৃষ্টির দিনে রোগী নিয়ে হাসপাতালে যাওয়া দুঃস্বপ্নের মতো। সিএনজি আটকে যায়, হেঁটে নিলে রোগীর অবস্থা আরও খারাপ হয়।
রাস্তা নির্মাণের সময় ছয় ফুট প্রশস্ত রাখার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত তা মাত্র তিন ফুটে সীমিত করা হয়। এতে একটি সিএনজি বা ভ্যান ঢুকলে বিপরীত দিক থেকে কোনো মানুষ হেঁটে যেতে পারেন না।
শিক্ষার্থী তানিয়া আক্তার বলেন,
প্রতিদিন স্কুলে যেতে গিয়ে ভয় লাগে। হঠাৎ সিএনজি এলে সরে দাঁড়ানোর জায়গা পাই না।
স্থানীয়রা জানান, বছরের পর বছর ধরে জেলা প্রশাসন, উন্নয়ন বোর্ড ও জেলা পরিষদে দরখাস্ত দিয়ে আসছেন। কিন্তু কোথাও সাড়া মেলেনি।স্থানীয় আলাল বলেন।
বিগত ১৭ বছরে আমাদের এলাকায় একটি টাকাও খরচ হয়নি। যেন আমরা সরকারের উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত একটি দ্বীপ।
ভেদাভেদী নতুনপাড়ার সমাজের মসজিদটি পাহাড়ি ঢালে অবস্থিত। চারপাশে গার্ডওয়াল না থাকায় বর্ষায় মাটি ভেঙে পড়ছে। যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। মুসল্লিরা এখন আতঙ্ক নিয়ে নামাজ আদায় করেন।
স্থানীয়রা বলছেন, বহুবার লিখিত আবেদন দেওয়া হলেও প্রশাসনের তরফে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন।অভিযোগগুলো সত্য। তবে বাজেট সীমিত থাকার কারণে অনেক সময় প্রকল্প অনুমোদন পায় না।
এলাকাবাসীর দাবি, দ্রুত রাস্তা প্রশস্ত করে অন্তত ছয় ফুট করা হোক এবং মসজিদের চারপাশে গার্ডওয়াল নির্মাণ করা হোক। তাতে শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে রোগী সবাই উপকৃত হবেন।
১৭ বছর ধরে অবহেলায় পড়ে থাকা একটি রাস্তা ও একটি মসজিদের গার্ডওয়াল হয়তো কোনো বড় প্রকল্প নয়। কিন্তু এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে একটি পুরো সমাজের নিরাপত্তা ও ভবিষ্যৎ। প্রশাসনের উদাসীনতার বোঝা বহন করছে সাধারণ মানুষ। তাদের একটাই দাবি দয়া করে আমাদের দেখুন।

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো
© All rights reserved © 2023 Chtnews24.com
Website Design By Kidarkar It solutions