রাঙ্গামাটি- ২০২৪ সালে রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদের অর্থায়নে রাঙ্গামাটির কাউখালীর বেতবুনিয়ায় প্রতিষ্ঠা করা হয় একটি কলেজ। নামকরণ করা হয় রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ২৯৯ রাঙ্গামাটি আসনের সাবেক সাংসদ দীপংকর তালুকদারের নামে। নাম দেওয়া হয় বেতবুনিয়া দীপংকর তালুকদার কলেজ। গেল ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগের সরকার পতনের পর কলেজের নাম থেকে দীপংকর তালুকদারের নাম বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করে প্রশাসনের কাছে স্মারকলিপি দেন উপজেলা বিএনপি।
তারই আলোকে এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে বেতবুনিয়া দীপংকর তালুকদার কলেজের নাম পরিবর্তন করে বেতবুনিয়া কলেজ করার প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করতে কলেজটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে চিঠি দেয় রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা খোন্দকার মুহাম্মদ রেজাউল করিম।
দীর্ঘ ছয়মাসেও অফিসিয়ালি কলেজটির নাম পরিবর্তনের কোন কার্যক্রম গ্রহণ করা ও চলতি মাসে কলেজ কমিটির সভাপতি হিসেবে শিক্ষা বোর্ড থেকে রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও কাউখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাম অন্তর্ভূক্ত করায় বিক্ষোভ মিছিল ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট স্মারকলিপি দিয়েছে এলাকাবাসী।
বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে তারা। সমাবেশ শেষে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে স্মারকলিপি দেন বিক্ষোভকারীরা।
প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- বেতবুনিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আলী আকবর, সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন উপজেলা কৃষকদলের সভাপতি শওকত হোসনে, মৎসবীজী দলের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আবু জাফর।
এসময় বক্তারা বলেন- যেখানে সারা দেখে ফ্যাসিস্ট হাসিনা ও তার দোসরদের নামে থাকা সকল স্থাপনার নাম পরিবর্তন করা হয়েছে সেখানে কলেজ কর্তৃপক্ষ নাম পরিবর্তনে কোনও কাজ করছে না। বরঞ্চ রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও কাউখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অংসুইপ্রু চৌধুরীকে সভাপতি করে কমিটির নাম প্রস্তাব করে কলেজ কর্তৃপক্ষ। যার ফলে শিক্ষা বোর্ড ২৩ জুলাই অংসুইপ্রু চৌধুরীর নেতৃত্বে নির্বাহী কমিটি অনুমোদন দেন। বক্তারা এ কমিটিকে অবৈধ দাবি করেন এবং শীঘ্রই এই কমিটি বাতিলের দাবি জানান। একই সাথে আগামী একমাসের মধ্যে দীপংকর তালুকদার কলেজ নাম পরিবর্তন করে ‘বেতবুনিয়া কলেজ’ নামকরণের আহবান জানান। অন্যথায় তীব্র আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন বক্তারা।