ডেস্ক রির্পোট:- প্রহসনের নির্বাচন করার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক তিন প্রধান নির্বাচন কমিশনার, চার আইজিপিসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে বিএনপি। গতকাল রবিবার বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মো. সালাহ উদ্দিন খান বাদী হয়ে রাজধানীর শেরেবাংলানগর থানায় এ মামলা করেন। মামলা নম্বর-১১।
এ মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানকে আসামি করা হয়েছে বলে শেরেবাংলানগর থানার ওসি মো. ইমাউল হক জানিয়েছেন।
তিনি জানান, সাবেক তিন সিইসির মধ্যে রয়েছেন কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ (২০১৪ সালের নির্বাচন), এ কে এম নূরুল হুদা (২০১৮ সালের নির্বাচন) ও কাজী হাবিবুল আউয়াল (২০২৪ সালের নির্বাচন)। সাবেক আইজিপিদের মধ্যে রয়েছেন হাসান মাহমুদ খন্দকার, জাবেদ পাটোয়ারী, বেনজীর আহমেদ ও এ কে এম শহীদুল হক। অন্য আসামিরা হলেন তৎকালীন নির্বাচন কমিশনার মো. আব্দুল মোবারক, আবু হানিফ, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) জাবেদ আলী, শাহ নেওয়াজ, রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম, ব্রিগেডিয়ার শাহাদাত হোসেন চৌধুরী, ঢাকা মহানগরের পুলিশ কমিশনার, সাবেক ডিজি র্যাব ও সাবেক এসবি প্রধান মো. মনিরুল ইসলাম, সাবেক ডিজিএফআই প্রধান নাম অজ্ঞাত, সাবেক এনএসআই প্রধান ও ঢাকা রেঞ্চের সাবেক ডিআইজি সৈয়দ নুরুল আলমসহ ২৪ জন।
শেরেবাংলানগর থানার ওসি মো. ইমাউল হক জানান, মামলাটি গ্রহণ করার পরপরই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়েছে।
থানার সাব-ইন্সপেক্টর শামসুজ্জোহাকে মামলা তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
মামলার বাদী বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন খান গণমাধ্যমকে বলেন, ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের ভোট পরিচালনাকারী প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশনার, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর কিছু সদস্য, বিভিন্ন সংস্থার এনএসআই, ডিজিএফআই, এসবিপ্রধানসহ তাঁরা সম্মিলিতভাবে প্রশাসনিক নির্বাচন করেছেন। দিনের ভোট রাতে করে নিজেকে প্রধানমন্ত্রী দাবি করায় শেখ হাসিনাসহ ১৯ জনকে আসামি ও অজ্ঞাতনামা আরো কয়েকজনকে আসামি করে থানায় অভিযোগ করেছি।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনারদের সংবিধান লঙ্ঘনের দায় এবং অপরাধ করার দায়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্বাক্ষরিত এসংক্রান্ত একটি পত্রও ২০১৮ সালে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দিয়েছিলাম।
সে অভিযোগে নির্বাচন কমিশনার কোনো ব্যবস্থা নেননি, ছায়া লিপি ও আলামতসহ এখন অভিযোগ জমা দিয়েছি শেরেবাংলানগর থানার ওসির কাছে।