শিরোনাম
রাঙ্গামাটিতে বিচারকের স্ত্রীর রহস্যজনক মৃত্যু বাসায় মৃতদেহ উদ্ধার আদালতে সাবেক সিইসি নুরুল হুদার দায় স্বীকার মুক্তি পেলেন যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ৫৬ বন্দি রাঙ্গামাটিতে দুই অটোরিকশার সংঘর্ষে মাছ ব্যবসায়ী নিহত শব্দনিরোধক কক্ষে যমটুপি পরিয়ে ১০ কায়দায় চলত নির্যাতন—গুম কমিশনের প্রতিবেদন পার্বত্য উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা ও যুগ্ম সচিব কংকন চাকমার যেসব অভিযোগে অপসারণ চাইছে পার্বত্যবাসী জুলাই অভ্যুত্থান ছিল রাষ্ট্রকে জনগণের হাতে ফিরিয়ে দেয়া–প্রধান উপদেষ্টা আরও উত্তপ্ত হতে পারে যুক্তরাষ্ট্র-ইরান সম্পর্ক দুদকের জালে তানভীরসহ ৩৬ প্রেস মালিক চেতনার মানচিত্রে রক্তাক্ত গণ-অভ্যুত্থান

রাঙ্গামাটির লংগদুতে বৃষ্টিতে ধসে পড়ল সদ্য নির্মিত সড়ক

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় শুক্রবার, ৩০ মে, ২০২৫
  • ১১০ দেখা হয়েছে

রাঙ্গামাটি:- রাঙ্গামাটির লংগদু উপজেলার একটি সড়ক উন্নয়ন প্রকল্প হালকা বৃষ্টিতে ধসে পড়েছে। মাত্র এক মাস আগে নির্মাণকাজ শেষ হওয়া এই সড়কের এইরকম ভয়াবহ ক্ষতির ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে।

প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, লংগদু উপজেলা প্রকৌশলী অধিদপ্তরের অধীনে মাইনী মুখ ইউনিয়নের উত্তর সোনাই এলাকার ৪নং ওয়ার্ডের যাতায়াতের জন্য প্রায় ৯৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে সড়কটির সংস্কার ও রিটেইনিং ওয়াল নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়। চলতি বছরে কাজ শুরু হয়ে মে মাসে কাজ শেষ হয়। কিন্তু মে মাসের শেষের দিকের বৃষ্টিতেই ধসে পড়ে সড়কের একাংশ। মাটি সরে গিয়ে সড়কের পাশের রিটেইনিং ওয়াল সম্পূর্ণসহ রাস্তা ভেঙ্গে পড়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসীরা জানিয়েছেন, কাজের শুরু থেকেই নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করা হচ্ছিল। স্থানীয়দের কেউ কেউ বিষয়টি দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের নজরে আনলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

স্থানীয় বাসিন্দা রুবেল হোসেন বলেন, এই কাজটিতে একেবারেই মনোযোগ ছিল না। সিমেন্ট ও ইটের মান খারাপ ছিল, আর ড্রেনেজ ব্যবস্থাও ঠিকমতো হয়নি। বৃষ্টিতে ধসে যাওয়া প্রমাণ করে কতটা গাফিলতি ছিল।”

অপর এক প্রবীণ বলেন, ৯৫ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে, অথচ এক মাসও টিকল না! এটা তো জনগণের টাকার অপচয়।

এ বিষয়ে লংগদু উপজেলা প্রকৌশলী দপ্তরের এসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার নিজাম উদ্দিন বলেন, কাজটির জন্য ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের কিছু পে অর্ডার আমাদের কাছে রয়েছে সেগুলো দিয়ে আমরা ভেঙে যাওয়া অংশে কাজ করা অলরেডি শুরু করে দিয়েছি।

উপজেলা প্রকৌশলী শামসুল আলম বলেন, আমরা ঠিকাদারকে ফাইনাল বিল দিয়েছি। কিন্তু তার ১০ পার্সেন্ট জামানতের টাকা আমাদের কাছে রয়েছে। তা দিয়ে আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।

স্থানীয়দের দাবি, ভবিষ্যতে যেন এ ধরনের গাফিলতি ও দুর্নীতি না ঘটে, সে জন্য নির্মাণকাজ চলাকালীনই জনসচেতনতা ও তদারকি বাড়ানো উচিত।

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো
© All rights reserved © 2023 Chtnews24.com
Website Design By Kidarkar It solutions