স্পোর্টস ডেস্ক:- বড় লক্ষ্য তাড়ায় নেমে দারুণ লড়াই করলেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের ব্যাটাররা। টপ অর্ডার ব্যাটারদের দারুণ লড়াইয়ে বাংলাদেশের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলে দিচ্ছিল। সেই অস্বস্তি দূর করে দিলেন পেসাররা। বিশেষ করে কাটার মাস্টার মোস্তাফিজুর রহমান, তরুণ তানজিম হাসান সাকিব ও হাসান মাহমুদ। শেষ ১০ রানে আরব আমিরাতের ৫ ব্যাটারকে ফিরিয়ে প্রথম ম্যাচে ২৭ রানে জয় তুলে নিলেন লিটন-মোস্তাফিজরা।
শারজাহ স্টেডিয়ামে শনিবার রাতে সিরিজের প্রথম টি-২০ ম্যাচে টস হেরে ব্যাট করে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৯১ রান করে বাংলাদেশ। ওপেনার পারভেজ ইমন সেঞ্চুরি করেন। জবাবে আরব আমিরাত ইনিংসের শেষ বলে ১৬৪ রানে অলআউট হয়েছে।
ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ শুরুতে ওপেনার তানজিদ তামিম ও তিনে নামা অধিনায়ক লিটন দাসকে হারায়। তানজিদ ৯ বলে এক চার ও একটি ছক্কার শটে ১০ রান করে ফিরে যান। লিটন এক ছক্কায় ৮ বলে ১১ রান করেন।দলের রান তখন ৫.১ ওভারে ৪৯।
সেখান থেকে পারভেজ ইমন ও তাওহীদ হৃদয় ৫৮ রানের জুটি গড়েন। হৃদয় ফিরে যান ১৫ বলে ২০ রান করে। তবে শুরু থেকে হাত খুলে খেলা ইমন দারুণ এক সেঞ্চুরি তুলে নেন। তিনি ৫৩ বলে ১০০ রান পূর্ণ করেন। মুখোমুখি হওয়া পরের বলে আউট হয়ে ফেরেন। তার ব্যাট থেকে নয়টি ছক্কা ও পাঁচটি চারের শট আসে।
২০১৬ সালে তামিম ইকবালের পর বাংলাদেশ দ্বিতীয় ব্যাটার হিসেবে আন্তর্জাতিক টি-২০তে সেঞ্চুরির কীর্তি গড়েছেন ইমন। তামিম ওমানের বিপক্ষে ৬৩ বলে ১০৩ রান করেছিলেন।
জয়ের লক্ষ্যে নেমে ভালো শুরু করে স্বাগতিক আরব আমিরাত। ৩.৫ ওভারে ৪০ রানে প্রথম উইকেট হারায় তারা। ১১তম ওভারে ১০৩ রানে তৃতীয় উইকেট হারানো পর্যন্ত ম্যাচে ছিল তারা। কিন্তু ১৩.১ ওভারে দলের ১৩৪ রানে রাহুল চোপড়া ফিরতেই ম্যাচ হাতছাড়া হয় তাদের।
আমিরাতের হয়ে ওপেনার ও অধিনায়কত্ব ফিরে পাওয়া মোহাম্মদ ওয়াসেম ৩৯ বলে ৫৪ রান করেন। রাহুল ২২ বলে ৩৫ ও আসিফ খান ২১ বলে ৪২ রান যোগ করেন। বাংলাদেশ পেসার হাসান মাহমুদ ৪ ওভারে ৩৩ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন। মুস্তাফিজ ২ উইকেট নিলেও ৪ ওভারে দেন ১৭ রান। তানজিম সাকিব ৪ ওভারে ২২ রান দিয়ে ২ উইকেট দখল করেন। শেখ মাহেদি ৪ ওভারে ৫৫ রান দিয়ে ২ উইকেট দখল করেন।