ডেস্ক রির্পোট:- বান্দরবানের থানচিতে এক খেয়াং নারীকে (২৯) সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ এবং অবিলম্বে ধর্ষকদের গ্রেফতারপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে ইউপিডিএফভুক্ত ৪ সংগঠন হিল উইমেন্স ফেডারেশন, পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘ, গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম ও পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ।
মঙ্গলবার (৬ মে ২০২৫) হিল উইমেন্স ফেডারেশনের সভাপতি নীতি চাকমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘের সভাপতি কনিকা দেওয়ান, গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের সভাপতি জিকো ত্রিপুরা ও পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সভাপতি অমল ত্রিপুরা সংবাদ মাধ্যমে প্রদত্ত এক যুক্ত বিবৃতিতে এই নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ থানচিতে খেয়াং নারীকে ধর্ষণের পর নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, চব্বিশের জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে পার্বত্য চট্টগ্রামসহ দেশের পরিস্থিতি যেভাবে পরিবর্তন হওয়ার কথা ছিল তার কিছুই হয়নি। ফলে পার্বত্য চট্টগ্রামে নারীসহ সাধারণ জনগণের নিরাপত্তা আজ চরম হুমকির সম্মুখীন। বান্দরবানে জুমে ধান রোপন করতে যাওয়া খেয়াং নারীকে সংঘবন্ধ ধর্ষণের পর নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনা তারই উদাহরণ।
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে এ যাবত সংঘটিত ধর্ষণ-হত্যাসহ নারীর ওপর যৌন নিপীড়নের ঘটনায় সুষ্ঠু বিচার ও অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক সাজা না হওয়ায় বার বার এ ধরনের ঘটনা সংঘটিত হচ্ছে। সরকার-প্রশাসন পার্বত্য চট্টগ্রামে ধর্ষণকে জাতিগত নিপীড়নের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করার কারণে এ ধরনের ঘটনা বন্ধ হচ্ছে না। এর অন্যতম কারণ হচ্ছে, পার্বত্য চট্টগ্রামে ধর্ষণের মেডিকেল রিপোর্টর ওপর রাষ্ট্রীয় সংস্থার গোপন নিষেধাজ্ঞা জারি থাকা এবং এর মাধ্যমে অপরাধীদের নির্দোষ প্রমাণ করে রেহাই দেওয়া। থানচির খেয়াং নারীকে হত্যার ঘটনায়ও প্রাথমিক সুরহতাল রিপোর্টে ধর্ষণের আলামত পাওয়া যায়নি বলে পুলিশ ও স্বাস্থ্যকর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে। যা সত্য ঘটনাকে আড়াল করে অপরাধীদের রক্ষার অপচেষ্টা ছাড়া আর কিছুই নয়।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে থানচিতে খেয়াং নারীকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় জড়িতদের খুঁজে বের করে গ্রেফাতরপূর্বক যথাযথ বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং পাহাড়-সমতলে নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানান।
উল্লেখ্য, গতকাল (৫ মে) বান্দরবানের থানচি উপজেলার তিন্দু ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের মংখয় পাড়া এলাকায় নিজ জুমে ধান রোপন করতে গেলে তিন সন্তানের জননী ওই খেয়াং নারীকে তুলে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। পরে এলাকাবাসী অনেক খোঁজাখুঁজির পর তার মরদেহ উদ্ধার করে। ( প্রেস বিজ্ঞপ্তি)