বান্দরবান:- বান্দরবানের প্রাইমারী টিচার্স ইনষ্টিটিউটের প্রাথমিক শিক্ষকদের চুড়ান্ত মৌখিক পরীক্ষা চলাকালীন এক মহিলা শিক্ষিকাকে পর্দা করার কারণে অপ্রাসঙ্গিক ও লাঞ্ছনা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোফাজ্জল হোসেন খানের বিরুদ্ধে।
শুধু তাই নয়, মৌখিক পরীক্ষা চলাকালীন লাঞ্ছনা করতে দেখে অন্যান্য কর্মকর্তারাও প্রতিরোধ করতে ভূমিকা পালন করেননি বলে অভিযোগ আছে প্রাইমারী টিচার্স ইনষ্টিটিউটের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে।
জানা গেছে, সকালে প্রাইমারী টিচার্স ইনষ্টিটিউটের প্রাথমিক শিক্ষকদের চুড়ান্ত মৌখিক পরীক্ষা দিতে যান চিংকু পাড়া সরকারী প্রথামিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা মাশরুফা সাঈদী তুন্না। কক্ষে প্রবেশের পর জেলা প্রথমিক শিক্ষা অফিসার মোফাজ্জল হোসেন খান ওই শিক্ষিকা পর্দা নিয়ে জেরা করতে থাকেন।
একপর্যায়ের তার পরিহিত পর্দা নিয়ে ধর্ম নিয়ে কটাক্ষ, অপ্রাসঙ্গিক ও লাঞ্ছনা শুরু করেন। তাছাড়া পর্দা দেয়ার কারণে অন্য স্কুলে এক শিক্ষিকাকে বহিস্কার করা হয়েছে বলে হুমকিও দেন তিনি।
আরো জানা গেছে, চিংকু পাড়া সরকারী প্রথামিক বিদ্যালয়টি অত্যন্ত দুর্গম এলাকায় অবস্থিত। সেখানে প্রতিদিন ক্লাস করাতে পাহাড় ও ঝিরি ডিঙ্গিয়ে ক্লাস করাতে ছুটে যান এই শিক্ষিকা। তিনি একজন অন্তঃসত্তা নারী। সেই বিদ্যালয় থেকে বদলী নিতে তার স্বামীকে নিয়ে ছুটাছুটি করেছিলেন জেলা পরিষদ্ ও প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে।
এর আগে এই শিক্ষিকা প্রায় এক বছর মতন প্রাইমারী টিচার্স ইনষ্টিটিউটের (পিটি আই) প্রশিক্ষণাধীন ছিলেন। বদলী ও বিভিন্ন বিষয় শেষে মৌখিক পরীক্ষা দিতে যান। এসময় জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার কাছে এমন লাঞ্ছনার শিকার হন এই শিক্ষিকা।
এদিকে, ঘটনাটির পরপই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র সংসদের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এক স্বাক্ষরিত মাধ্যমে গভীর উদ্বেগ ও তীব্র ক্ষোভের প্রতিবাদ জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্ততে বলা হয়, বিপিটিটি চুড়ান্ত মৌখিক পীংক্ষায় বান্দরবানের ডিপিও মোফাজ্জল হোসেন খান এবং ইন্সট্রাক্টর জেনারেল মশিউর রহমান মন্ড সম্মানিত নারী প্রার্থী মাশরুফা সাঈদী তুন্নাকে তার ধর্মীয় অনুশাসন অনুযায়ী পর্দা কারণে অপ্রাসঙ্গিক, অবমাননাকর এবং লাঞ্চণামূলক প্রশ্নবানে অপমান ও মানসিক নির্যাতন করেছেন।
এছাড়াও বোর্ডে উপস্থিত অনান্য কর্মকর্তারাও এই অন্যায় আচরণ প্রতিরোধে ভূমিকা রাখেননি। অবিলম্বে এই বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর এবং সংশ্লিষ্ট দপ্তর সমূহের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।