শিরোনাম
খাগড়াছড়িতে পাহাড় ধস ও নদীর স্রোতে গিয়ে নিখোঁজ ২, লাশ উদ্ধার বাজেট ২০২৫-২৬ অর্থ উপদেষ্টার হাতে থাকছে না কালো ব্রিফকেস কমলো ডিজেল, অকটেন ও পেট্রোলের দাম বাংলাদেশসহ ১৪ দেশের জন্য সৌদি আরবের ব্লক ওয়ার্ক ভিসায় সাময়িক স্থগিতাদেশ খালপাড়ে পড়েছিল নবজাতক, বুকে জড়িয়ে নিল নিঃসন্তান দম্পতি বান্দরবানে ঝড়ে গাছ ভেঙে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ২ জনের মৃত্যু নতুন ফ্যাসিবাদের আগমনধ্বনি শোনা যাচ্ছে: আনু মোহাম্মদ শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে চার্জ দাখিল রোববার, দেখা যেতে পারে টিভিতে আজ রাঙ্গামাটির ভূষনছড়া নৃশংস গনহত্যা দিবস রাঙ্গামাটির ভূষণছড়া বাঙালি গণহত্যার ইতিহাস কালের বিবর্তনে হারিয়ে যেতে বসেছে!

উল্টো দিকে ঘুরছে পৃথিবী, চিন্তায় বিজ্ঞানীরা

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় বুধবার, ২ এপ্রিল, ২০২৫
  • ৭২ দেখা হয়েছে

ডেস্ক রির্পোট:- পৃথিবীর অভ্যন্তরীণ গঠন, বিশেষ করে সবচেয়ে ভেতরের গোলাকার কেন্দ্র, প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে বিজ্ঞানীদের আগ্রহ বাড়িয়েছে। এটি ভূপৃষ্ঠ থেকে ৩,০০০ মাইলেরও বেশি নিচে অবস্থিত। পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্রের ওপর এর ভূমিকা বিশাল। নেচার জিওসায়েন্স-এ প্রকাশিত সাম্প্রতিক এক গবেষণায় ২০১০ সালের দিকে শুরু হওয়া পরিবর্তনের কথা উল্লেখ করা হয়েছে, যা ইঙ্গিত করে যে পৃথিবীর অভ্যন্তরীণ কেন্দ্রের ঘূর্ণনের গতি ধীর হয়েছে। গ্রহের পৃষ্ঠের সাপেক্ষে এটি বিপরীতমুখে ঘুরছে বলে প্রমাণিত হয়েছে। এই আবিষ্কার সময়ের সঙ্গে সঙ্গে গ্রহের অভ্যন্তর কীভাবে আচরণ করে তা নিয়ে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
ভূ-পদার্থবিজ্ঞানীরা প্রায় প্রতিটি মহাদেশ থেকে আসা ভূমিকম্প সংকেত ব্যবহার করে অভ্যন্তরীণ কেন্দ্রটি অনুসন্ধান করেছেন, যা তরল ধাতুর ঘূর্ণায়মান স্তর দ্বারা বেষ্টিত। অনুসন্ধানগুলো ভূ-গোলকের কাঠামোগত পরিবর্তনের দিকে ইঙ্গিত করে যা নতুন প্রশ্ন উত্থাপন করেছে।

ইউএসসি ডর্নসাইফ কলেজ অব লেটারস, আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সেসের অধ্যাপক জন ভিডেল, চাইনিজ একাডেমি অব সায়েন্সেসের ওয়েই ওয়াংয়ের সঙ্গে এই প্রকল্পে কাজ করেছেন। পৃথিবীর অভ্যন্তরভাগকে কয়েকটি স্তরে ভাগ করা যেতে পারে-ভূত্বক, আবরণ, তরল বহিঃকোষ এবং কেন্দ্রে অবস্থিত কঠিন অভ্যন্তর ভাগ। অনেক বিজ্ঞানী গবেষণা করে দেখেছেন যে, অভ্যন্তরীণ কোর কীভাবে আবরণ এবং ভূত্বকের সাপেক্ষে চলাচল করে।কেউ কেউ প্রমাণ পেয়েছেন যে কেন্দ্রটি একসময় পৃথিবীর অন্যান্য অংশের চেয়ে দ্রুত ঘূর্ণন করত।

অন্যরা লক্ষ্য করেছেন যে, এর গতি সম্ভবত শিথিল হচ্ছে। সর্বশেষ তথ্য ‘স্পষ্ট প্রমাণ’ তুলে ধরে যে, ২০১০ সাল থেকে পৃথিবীর পৃষ্ঠের অভ্যন্তরের গতি বদলাতে শুরু করেছে। ভিডেল ব্যাখ্যা করেছেন যে, যখন আমি প্রথম সিসমোগ্রামগুলো দেখেছিলাম যা এই পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছিল, তখন আমি হতবাক হয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু যখন আমরা একই প্যাটার্নের আরও দুই ডজন সিসমোগ্রাম পর্যবেক্ষণ করলাম, তখন ফলাফল অনিবার্য ছিল। প্রথমবারের মতো পৃথিবীর অভ্যন্তরীণ কেন্দ্রটি ধীর হয়ে গিয়েছিল। অন্যান্য বিজ্ঞানীরা সম্প্রতি একই রকম এবং ভিন্ন মডেলের পক্ষে যুক্তি দিয়েছেন, কিন্তু আমাদের সর্বশেষ গবেষণাটি সবচেয়ে বিশ্বাসযোগ্য তথ্য প্রদান করে। তাদের বিশ্লেষণের জন্য, গবেষক দলটি ১৯৯১ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে দক্ষিণ স্যান্ডউইচ দ্বীপপুঞ্জের কাছে সংঘটিত ১২১টি ভূমিকম্পের রিডিং সংগ্রহ করেছে। তারা ১৯৭১ থেকে ১৯৭৪ সালের মধ্যে পরিচালিত সোভিয়েত পারমাণবিক পরীক্ষার তথ্য, সেইসাথে ফ্রান্স ও আমেরিকার পারমাণবিক পরীক্ষার তথ্যও সংগ্রহ করেছিল।

ভিডেল গতি পরিবর্তনের জন্য দায়ী করেছেন, তরল লোহার বাইরের কেন্দ্রের মন্থন যা পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্র তৈরি করে, সেইসাথে পাথুরে আবরণের ঘন অঞ্চল যা মহাকর্ষীয় টান তৈরি করে।

বিজ্ঞানীরা মনে করছেন যে, এই শক্তিগুলো দিনের দৈর্ঘ্যকে সামান্য হলেও প্রভাবিত করতে পারে। পূর্ববর্তী কিছু গবেষণায় ইঙ্গিত দেয়া হয়েছিল যে পৃথিবীর অভ্যন্তরীণ কেন্দ্রটি হয়তো উল্টে পথে ঘুরছে। নতুন ফলাফলগুলো সেই সম্ভাবনাকে আরও জোরালো করে তুলেছে, কারণ এটি ইঙ্গিত দিচ্ছে যে পৃথিবীর বাইরের স্তরের তুলনায় কেন্দ্রের ঘূর্ণন ধীর হয়ে গেছে এবং এমনকি দিক পরিবর্তনও শুরু করেছে।

সূত্র: earth.com

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো
© All rights reserved © 2023 Chtnews24.com
Website Design By Kidarkar It solutions