৫ বছরেও প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ করতে পারেনি রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদ

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় সোমবার, ১৭ মার্চ, ২০২৫
  • ৩৮ দেখা হয়েছে

ইয়াসির আরাফাত:- পার্বত্য উপদেষ্টা জনাব সুপ্রদীপ চাকমা (সাবেক রাষ্ট্রদূত ও চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান) গত ১০/১১/২০২৪ তারিখে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন ‘আগামী তিন মাসের মধ্যে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্প্ন্ন করা হবে। স্বচ্ছতা ও কোয়ালিটির জন্য মন্ত্রণালয়, জেলা প্রশাসক ও জেলা পরিষদের প্রতিনিধি রাখা হবে’।

উল্লেখ্য যে, ১০/১১/২০২৪ তারিখে রাংগামাটি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যরা নিয়োগ লাভ করেন। রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে তিন মাসের মধ্যে শিক্ষক নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে, কিন্তু তিন মাস পেরিয়ে পাঁচ মাস চলমান, এখনও কি রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদ নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন করতে পেরেছেন? এই ব্যাপারে রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কৃষিবিদ কাজল তালুকদারের মতামত জানতে চাইলে তিনি বলেন, চলমান প্রাইমারী সহকারী শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে মহামান্য হাইকোর্টে রিট পিটিশন রয়েছে, রিট বিষয়ে হাইকোর্ট থেকে চূড়ান্ত সমাধান হলেই চলমান নিয়োগের কার্যক্রম শুরু করা হবে।’

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের স্মারক নং ০৫.০০.০০০০.১৩১.০০.০০২.১৩.১৭১ তারিখ: ১২ ফেব্রুয়ারি,২০২৫ খ্রি: মূলে মন্ত্রণালয়/বিভাগ ও অধীনন্থ দপ্তরসমূহে সরাসরি নিয়োগযোগ্য শূন্য পদে নিয়োগ কার্যক্রম আগামী একমাসের মধ্যে শুরুকরণের নির্দেশনা রয়েছে। তবে এখন দেখার বিষয় জেলা পরিষদ কি সক্ষম হবে নিয়োগ সংক্রান্ত কিছু চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে আগামী একমাসের মধ্যে চলমান নিয়োগ প্রক্রিয়ার কার্যক্রম সফলভাবে সম্পন্ন করতে। রাঙ্গামাটি চাকরি প্রত্যাশীরা আরও অপেক্ষা করতে হবে?

১৯৮৯ সালে রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদ গঠন করা হয়েছিল স্থানীয় সেবা ও হস্তান্তরিত বিভাগের নিয়োগ কার্যক্রমকে সহজ করার জন্য। কিন্তু বর্তমানে দেখা যাচ্ছে, রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদের অধীনে হস্তান্তরিত প্রাইমারী বিভাগের প্রাইমারী সহকারী শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া আরো জটিল হয়েছে। যেমন প্রাইমারি শিক্ষা অধিপ্তরের স্মারক নং-৩৮.০১.০০০০.১৪৩.১১.০০৮.২০-১৫২ তারিখ : ১৮ অক্টোবর,২০২০ খ্রি: এবং স্মারক নং-৩৮.০১.০০০০.১৪৩.১১.০০৮.২৩-১০৫ তারিখ : ২০ মার্চ,২০২৩ খ্রি: মূলে ২টি নিয়োগ কার্যক্রমের মাধ্যমে ৬১ জেলার প্রাইমারী শিক্ষক নিয়োগ কার্যক্রমকে সমাপ্ত করতে পেরেছেন। কিন্তু রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদ ২০২০ সালে পর থেকে এখন পর্যন্ত অর্থাৎ গত ৫ বছরে প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ করতে পারেনি। এর ফলে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রমে ব্যাপক নাজেহাল অবস্থা বিরাজ করছে। রাঙ্গামাটি জেলার পরিষদের হস্তান্তরিত প্রাইমারী শিক্ষা বিভাগের জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের ওয়েভসাইটের তথ্য অনুসারে, ১০ উপজেলায় পূর্বের সরকারিকৃত ৩৯৩টি, জাতীয়করণকৃত ২০৬টি, ১৫০০ প্রকল্পের আওতায় ২৭টি, ইউএনডিপি কর্তৃক পরিচালিত জাতীয়করণকৃত ৮১টিসহ সর্বমোট প্রাথমিক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৭০৭টি এবং জেলার সর্বমোট প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১৪৯,৫৩২ জন। রাঙ্গামাটি জেলায় প্রাইমারী শিক্ষা বিভাগে প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক কত সংখ্যা শূন্য পদ রয়েছে এই বিষয়ে রাঙ্গামাটি জেলার পরিষদের সদস্য মিনহাজ মুরশীদের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, মোট ৯২৮টি পদ শূন্য রয়েছে।

রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদের স্মারক নং- ৩৮.০১.৮৪০০.০০০.১১.০০৫.২২.৪৪৫ তারিখ: ২৯ মে ২০২২ খ্রি: মূলে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের হস্তান্তরিত প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগের অধীনে রাঙ্গামাটি জেলার ১০টি উপজেলার জন্য ৪৬২টি প্রাথমিক শিক্ষক পদের জন্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছিল। একটি অনলাইন পোর্টালে “রাঙ্গামাটি শিক্ষক ও আবাসন সংকটে প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত” শিরোনামে গত ২২ নভেম্বর,২০২২ সালে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল। সেখানে বলা হয়, “ দুর্গম এলাকাগুলোতে অনুন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা, শিক্ষক সংকট ও শিক্ষক শিক্ষার্থীদের প্রকট আবাসন সংকটের কারণে রাঙ্গামাটিতে কচ্ছপ গতিতে চলছে প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রম। এদিকে কোভিডের কারণে দীর্ঘদিন রাঙ্গামাটি শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা যায়নি মন্তব্য করে শীঘ্রই রাঙ্গামাটি প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়নে শিক্ষক সংকট নিরসনসহ অন্যান্য সংকট নিরসনে কাজ শুরু করা হবে বলে জানিয়েছিলেন সাবেক রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান”। যুগান্তর রাঙ্গামাটি প্রতিনিধির মাধ্যমে গত ১৯ মে ২০২৪ খ্রি: তারিখে “রাঙ্গামাটিতে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা নিয়ে ক্ষোভ” শিরোনামে “রাঙ্গামাটি প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা নিয়ে ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে মর্মে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিলেন। বিজ্ঞপ্তিতে প্রার্থীদের যোগ্যতার সর্বোচ্চ বয়সসীমা উল্লেখ ছিল চল্লিশ বছর। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ৬ হাজার ২৯১টি আবেদন জমা পড়ে। জেলা পরিষদ ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের সূত্র অনুসারে ২০২২ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর নিয়োগ পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পরে বয়সসীমা ৪০ বছর শিথিল না করে অর্থাৎ আবেদনের শেষ তারিখে যাদের বয়স ৩০ বছর ঊর্ধ্ব এমন ১ হাজার ৭০০ জনকে প্রবেশ পত্র দেয়া থেকে বঞ্চিত করে শুধুমাত্র যেসকল প্রার্থীদের অনূর্ধ্ব ৩০ বছর ছিল তাদের, ৪ হাজার ৫৯২ জন প্রার্থীকে পুনরায় প্রবেশ পত্র দেয়া হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তী এই তারিখের পরীক্ষাও স্থগিত করেন রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষ”।

সাবেক সংস্থাপন মন্ত্রণালয় ১৬/০১/১৯৮৫ খ্রি: তারিখের ME/R1/S-13/84(P-1)-20(75) এবং উক্ত স্মারকের আলোকে পরবর্তীতে জারিকৃত ০৮/১২/১৯৯৩ তারিখর সম/বিধি-১/এস-২২/৯৩-২৫৯(৫০০) মূলে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে পার্বত্য অঞ্চলের উপজাতি ও অ-উপজাতি বাসিন্দার জন্য বয়স ৪০ বছর পর্যন্ত শিথিলযোগ্য ছিল। কিন্তু বয়স সীমা ৪০ বছর শিথিল না করে ১ হাজার ৭০০ জনকে প্রবেশ পত্র দেয়া থেকে বঞ্চিত করায় প্রবেশ পত্র বঞ্চিত প্রার্থীরা গত ২০/০৫/২০২৪ তারিখ মহামান্য হাইকোর্টে রিট পিটেশন দাখিল করেন এবং রিট পিটিশন অনুযায়ী “প্রবেশপত্র ইস্যু করার অনুমতি দেবে” মর্মে আদেশ প্রদান করেন। কিন্তু জেলা পরিষদ এখন পর্যন্ত মহামন্য হাইকোর্টে জবাব প্রদান করেনি এবং নিয়োগ সংক্রান্ত কোন কার্যক্রম গ্রহণ করেনি।

“সুপ্রীম কোর্টের আপীল বিভাগ কর্তৃক চূড়ান্ত রায় এবং সংবিধান (পঞ্চদশ সংশোধন) আইন ২০১১ (২০১১ সনের ১৪ নং আইন) ধারা ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট হইতে ১৯৭৯ সারের ৯ এপ্রিল তারিখ এবং ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ হতে ১৯৮৬ সনের ১১ নভেম্বর পর্যন্ত সময়ের মধ্যে জারীকৃত অধ্যাদেশসমূহ অনুমোদন ও সমর্থন সংক্রান্ত গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৪র্থ তফসিলের ৩,৩(ক),১৮ ও ১৯ প্যারাগ্রাফসমূহ বিলু্প্ত হওয়ায় উক্ত অধ্যাপদেশসমূহ কার্যকারিতা হারিয়েছে”। “যা ২০১৩ সালের ৬ ও ৭ নং আইনের দ্বারা কতিপয় অধ্যাদেশের কার্যকারিতা/সুরক্ষা প্রদান করা হয়েছে” । যেহেতু অধ্যাদেশসমূহকে সুরক্ষা প্রদান করা হয়েছে সেহেতু সাবেক সংস্থাপন মন্ত্রণালয় ১৬/০১/১৯৮৫ খ্রি: তারিখের ME/R1/S-13/84(P-1)-20(75) এবং উক্ত স্মারকের আলোকে পরবর্তীতে জারিকৃত ০৮/১২/১৯৯৩ তারিখর সম/বিধি-১/এস-২২/৯৩-২৫৯(৫০০) আদেশটিও সুরক্ষা হওয়ার কথা কিন্তু সুরক্ষা না করে বাতিল করেছেন। যেহেতু ২০১৩ সালের ৬ ও ৭ নং আইন দ্বারা কতিপয় অধ্যাদেশ দ্বারা সুরক্ষা প্রদান করেছেন সেই হিসাবে ২০১৩ সালের ৬ ও ৭ নং আইন দ্বারা ৪০ বয়স শিথিলযোগ্য আদেশটিও সুরক্ষার আওতায় আসবে বলে প্রবেশ পত্র পাওয়া থেকে বঞ্চিত প্রার্থীরা মনে করেন ।

উল্লেখ্য যে, প্রবেশ পত্র পাওয়া থেকে বঞ্চিত প্রার্থীদের এমন ধ্যানধারণা থেকে হাইকোর্টে রিট পিটিশন মাধ্যমে মহামান্য কোর্টের স্মরণাপন্ন হন। প্রবেশ পত্র পাওয়া থেকে বঞ্চিত প্রার্থীরা মনে করেন, সংবিধান পঞ্চদশ সংশোধনে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট হইতে ১৯৭৯ সারের ৯ এপ্রিল তারিখ এবং ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ হতে ১৯৮৬ সনের ১১ নভেম্বর পর্যন্ত সময়ের মধ্যে জারীকৃত অধ্যাদেশসমূহ কথা উল্লেখ্ রয়েছে। সেই হিসাবে ৪০ বছর বয়সের শিথিলযোগ্যকরণ আদেশটি দ্বিতীয় পর্যায়ে জারি হয়েছিল ১৯৮৬ সালের ১১ নভেম্বর পরবর্তী সময়ে অর্থাৎ ০৮/১২/১৯৯৩ সালে। তিন পার্বত্য জেলার সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে উপজাতি ও অ-উপজাতি বাসিন্দার জন্য বয়সসীমা ৪০ বছর পর্যন্ত শিথিলকরণ বাতিল হয়েছে তা কতটুকু যুক্তিসঙ্গত হয়েছে এই বিষয়ে প্রবেশ পত্র পাওয়া থেকে বঞ্চিত প্রার্থীরা বোধগম্য নয়। সম্প্রতি সংবিধান পঞ্চদশ সংশোধন বাতিল করেছেন সুপ্রিমকোর্ট। সেই হিসাবে বাংলাদেশের সংবিধানের ৪র্থ তফসিলের ৩, ৩(ক), ১৮ ও ১৯ ধারাসমূহ পুনর্জীবিত ও কার্যকারিতা লাভ করার কথা বলে মনে করেন প্রবেশ পত্র পাওয়া থেকে বঞ্চিত প্রার্থীরা ।

রাঙ্গামাটি জেলার চাকুরী প্রত্যাশী (নাম প্রকাশ করতে অনিচ্ছুক) একজন প্রার্থী বলেন, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের স্মারক নং -০৫.০০.০০০.১৭০.১১.০২০.২০.১২৬ তারিখ ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২০ এর মাধ্যমে তিন পার্বত্য জেলায় স্থানীয় সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে বয়সের ক্ষেত্রে নির্দেশনা অনুসরণ না করে খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ ৪০ শিথিলকরণ বহাল রেখে ২০২১ সালে নিয়োগ ৩৩৬ জনের সহকারি শিক্ষক (প্রাইমারি) নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিলেন এবং নিয়োগ সকল কার্যক্রম শেষ করে ৩৩৬ জনকে চূড়ান্ত নিয়োগ দিয়েছেন, যাদের চাকরি হয়েছে তারা যোগেদান করেছেন ০৮/১০/২০২৩ খ্রি: তারিখে এবং এর মধ্যে যাদের বয়স আবেদনের শেষ তারিখে ৩০ বছর ঊর্ধ্ব ছিল এমন ১০০ জন নিয়োগ প্রাপ্ত সহকারি শিক্ষকের বেতন হচ্ছে না অদ্যাবদী। রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদে চলমান প্রাইমারি নিয়োগের ক্ষেত্রেও একই সমস্যা বিদ্যমান রয়েছে। অতএব, এমন সমস্যার সমাধানের একমাত্র চাবিকাঠি হল পার্বত্য অঞ্চলের সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে উপজাতি ও অ-উপজাতি বাসিন্দার জন্য বয়স ৪০ বছর পর্যন্ত শিথিলযোগ্যে প্রজ্ঞাপনটি পুনরায় অ্যাকটিভ করা।

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির আইনি জটিলতা পরিহার করে শিক্ষক সংকট বিষয়টি জাতীয় সমস্যা বিবেচনা করে দ্রুত নিয়োগ কার্যক্রম চালু করা হলে রাঙ্গামাটি জেলার শিক্ষার্থী ও শিক্ষার মান উন্নয়ন এবং চাকরি প্রত্যাশীরা ব্যাপক উপকৃত হবেন বলে আশা করি।

রাঙ্গামাটি জেলার প্রাথমিক সহকারি শিক্ষক পদের চাকরি প্রত্যাশীরা ও শিক্ষার্থীদের অভিভাবক মহল চান, আইনী সমাধান পূর্বক জেলা পরিষদ দ্রুত নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন করে জেলার শিক্ষক সংকট পরিহার এবং শিক্ষার মান উন্নয়ন করতে ব্যাপক ভূমিকা পালন করবে। পার্বত্যনিউজ
লেখক: গুলশাখালী, লংগদু, রাঙ্গামাটি থেকে।
yeasirarafat250@gmail.com

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো
© All rights reserved © 2023 Chtnews24.com
Website Design By Kidarkar It solutions