শিরোনাম
জুরাছড়ি জোনের উদ্যোগে পাংখুয়াপাড়া গির্জায় বড়দিন উপলক্ষে সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ কর্মসূচি রাঙ্গামাটিতে বড়দিন উপলক্ষে খ্রীষ্টধর্মাবলম্বীদের সমবেত প্রার্থনা ও কেক কাটা আজ শুভ বড়দিন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদা বকশ চৌধুরীর পদত্যাগ আজ ফিরছেন তারেক রহমান,নির্বাসন শেষ, ঢাকায় বরণের আয়োজন খাগড়াছড়িতে বিজিবির অভিযানে ১২টি ভারতীয় গরু জব্দ নাইজেরিয়ায় নামাজের সময় মসজিদে বিস্ফোরণ, নিহত ৭ দীর্ঘ ৬ হাজার ৩শ ১৪ দিন পর বাংলাদেশের আকাশে! অবশেষে খনন হচ্ছে রাঙ্গামাটির ৩ নদী,একনেক সভায় প্রকল্প অনুমোদন,সহজতর হবে যাত্রী ও কৃষিপণ্য পরিবহন ভূমিকা রাখবে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে রাঙ্গামাটি আসনে মনোনয়ন জমা দিলেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির জুঁই চাকমা

রাঙ্গামাটির কাপ্তাইয়ে তিন ভাই-বোন জন্মঅন্ধ, বৃদ্ধা মা বিছানায় শয্যাশায়ী

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫
  • ১৭৫ দেখা হয়েছে

রাঙ্গামাটি:- আমরা অন্ধ কপাল মন্দ সবার কাছে সাহায্য চাই। এ দুনিয়ায় আমাদের মত আর তো কেউই নাই। উপরের কথাগুলো বলছিলেন রাঙ্গামাটির কাপ্তাই উপজেলা ১নং চন্দ্রঘোনা ইউনিয়ন ৬নং ওয়ার্ডে বসবাসরত জন্ম অন্ধ একই পরিবারের তিন ভাই বোন।

হোসনেয়ার বেগম (৪২), জহির উদ্দিন কালু (৪০) ও হাফেজ মো.ইসমাইল (৩৬)। তিন ভাই, বোন বয়সের কোটায় পা দিলেও দুঃখ, কষ্ট ,অভাব, অনটন, শারীরিক অসুস্থ তাদের পিছু ছাড়ছেনা। এর মধ্যে ৭০ বছর বৃদ্ধা মা আমেনা বেগম ব্রেইন স্ট্রোক করে দুই বছর যাবত প্যারালাইসিস হয়ে বিছানায় শয্যাশায়ী মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।

বাবা আসাদ উল্লাহ কর্ণফুলী পেপার মিলস্ কেপিএম এ কর্মরত থাকায় ২০০১ সালে মৃত্যুবরণ করে। ফলে ৭ভাই-বোনের সংসারে নেমে আসে কালো মেঘের ঘনঘাটা।

কেপিএম অস্থায়ী কর্মরত এক ভাই রাসেল এর উপর চলে গোটা সংসার। রাসেলের সামান্য বেতন দিয়ে সংসার চালানো সম্ভব হচ্ছে না। রাসেল জানান, সামান্য বেতন দিয়ে অসুস্থ মার চিকিৎসা করবো না নিজে বিবাহ করেছি সেই সংসার চালাবো, জন্ম অন্ধ ৩ ভাই-বোনকে চালাবো। একপর্যায়ে দিশেহারা অসহায় পরিবারটি।

জন্মঅন্ধ হোসনে আরা বেগম এ প্রতিবেদককে জানান, ‘‘আমরা এখন অসহায় হয়ে পড়েছি কোথাও যাওয়ার ও কোন কিছু করার মত জায়গাও নেই। কিছু করে যে খাব তাও তো পাড়ছিনা কারন, আমরা জন্ম অন্ধ বলে। তাই সমাজের সকলের নিকট আর্থিক সাহায্য চাই।’’

রাঙ্গামাটি জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ডাক্তার রহমত উল্লাহ ও মানবিক সম্পা আহমেদ জানান, ‘‘এরা একই পরিবারের ৩ ভাই-বোন জন্মঅন্ধ একটি অসহায় পরিবার। এদের কে সমাজের বোঝা না ভেবে সকলেমিলে আর্থিক সহযোগিতা করা প্রয়োজন।

১নং চন্দ্রঘোনা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আকতার হোসেন মিলন জানান, ‘‘আমরা যখন যা পাড়ছি তাদের ইউনিয়ন পরিষদ হতে সহযোগিতা করছি।

কাপ্তাই উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা নাজমুল হাসান জানান, ‘‘তার দপ্তর হতে সরকারি ভাবে মাসিক ৮৫০টাকা করে শারীরিক প্রতিবন্ধী ভাতা দেয়া হচ্ছে। এছাড়া তো আমাদের আর কিছু করার নেই। কোন সহৃদয় ব্যক্তি চাইলে যোগাযোগ নগদ ০১৮৮৪১৯৭২৫৬ পাঠাতে পাড়েন।

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো
© All rights reserved © 2023 Chtnews24.com
Website Design By Kidarkar It solutions