কোর কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত হচ্ছেন ইসি কর্মকর্তারা

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫
  • ৩৮ দেখা হয়েছে

ডেস্ক রির্পোট:- ফ্যাসিবাদি আগামী লীগ সরকারের গত বছর ধরে দলবাজ পছন্দের কর্মকর্তাদের মাঠ প্রশাসনে ডিসি পদে নিয়োগ দেয়া হতো। এতে করে গত তিনটি জাতীয় নির্বাচন সারা বিশ্বে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে ক্ষমতা থেকে শেখ হাসিনাকে ভারতে পালাতে হয়েছে।

এবার দলীয় সরকার নেই। তারপরও আলোচনা শুরু হয়েছে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন। সেই আয়োজন করতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তা জেলা প্রশাসক (ডিসি) কি দায়িত্ব পালন করবেন। তবে ২০১৪-২০১৮ এবং ২০২৪ সালের নির্বাচন নয়। ত্রয়োদশ সংসদ দেশের জনগণ যাকে খুশি তাকে ভোট নিবেন সেই নির্দেশনা পাচ্ছেন ডিসিরা।আগামীকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশ নিবাচন কমিশনার সম্পর্কিত বিষয়ে আলোচনায় স্থান পাচ্ছে। ডিসিদের প্রতি একটা অনুরোধ ছিল, একটা তো হচ্ছে সামনে একটা নির্বাচন আসছে সে নির্বাচন কীভাবে সুষ্ঠু করা যায়। আমাদের সরকারের প্রধান কাজ সবার দাবি-দাওয়া মেটানো না। একটা সুশাসিত গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা যাতে উত্তরণ হয় সেই ক্ষেত্রে তারা কিন্তু আমাদের সবচেয়ে বেশি শক্তিশালী হাতিয়ার হতে পারেন।

একটি সুষ্ঠু নির্বাচন যাতে হয়। এমন নিদেশনা ডিসিদের দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। তিন দিনব্যাপী জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনের প্রথম দিন গতকাল রোববার মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা এবং কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিষয়ক কার্য অধিবেশন শেষে তিনি তথ্য জানান। রাজশাহী জেলার ডিসিদের প্রস্তাবনায় বলা হয়, বিভাগ- জেলা পর্যায়ে গঠিত আইনশৃঙ্খলা কোর কমিটিতে সংিিশ্লষ্ট নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তা সদস্য নয়,। নিবাচনকালীন সময় আইন শৃঙ্খলা কার্যক্রমরর সুষ্ঠু সমন্বয়ের স্বার্থে বিভাগীয়-জেলা পর্যায়ে গঠিত আ্ইন শৃঙ্খলা কোর কমিটিতে নিবাচন কমিশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের অন্তভুক্ত থাকার প্রয়োজন।

দেশের ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে এবারের জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনের একটি অধিবেশনে থাকছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) একান্ত সচিব মোহাম্মদ আশ্রাফুল আলম এ তথ্য জানিয়ে বলেন, ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিতব্য ডিসি সম্মেলনের শেষ দিন ১৮ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় সিইসি, নির্বাচন কমিশনার ও ইসি সচিবের কর্মসূচি রয়েছে। ইসি কর্মকর্তারা জানান, সাধারণত নির্বাচনের আগে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বসে নির্বাচন কমিশন। ডিসি সম্মেলনে এবারই প্রথম নির্বাচন কমিশন অংশগ্রহণ করছে। এবার ডিসি সম্মেলনে ৩৪টি কার্য-অধিবেশন হবে। গতকাল সকাল সাড়ে ১০টায় শাপলা হলে সম্মেলন উদ্বোধন করবেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। সেখানে তার সঙ্গে ডিসিদের মুক্ত আলোচনা হবে। সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভা হয়েছে। রাতে হয়েছে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে নৈশভোজ। দ্বিতীয় দিন কার্য-অধিবেশনের বাইরে সুপ্রিম কোর্টে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করছেরন ডিসিরা। সন্ধ্যায় প্রধান বিচারপতির আমন্ত্রণে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে আপ্যায়নে অংশ নিয়েছে।।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের মাঠ প্রশাসন অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ খালেদ রহীম গণমাধ্যমকে জানান, সম্মেলন উপলক্ষ্যে বিভাগীয় কমিশনার ও ডিসিদের কাছ থেকে ১ হাজার ২৪৫টি প্রস্তাব পেয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। তার মধ্যে ৩৫৩টি প্রস্তাবের ওপর সম্মেলনে আলোচনার জন্য কার্যপত্রে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অগ্রগতি প্রতিবেদনের তথ্যানুসারে, গত বছরের ডিসি সম্মেলনে ১১৯টি স্বল্পমেয়াদি, ১৯২টি মধ্যমেয়াদি ও ৭০টি দীর্ঘমেয়াদিসহ মোট ৩৮১টি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। স্বল্পমেয়াদি ৬৪ শতাংশ, মধ্যমেয়াদি ৪০ শতাংশ ও দীর্ঘমেয়াদি ৩৬ শতাংশ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হয়েছে। নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেন, যেকোনো মূল্যে একটি উত্তম জাতীয় নির্বাচন করতে হবে—জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) এই নির্দেশনা দেবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আগামী মঙ্গলবার জেলা প্রশাসকদের সম্মেলনে নির্দেশনামূলক বক্তব্য দেবে ইসি।

রোববার দুপুরে নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম। তিনি বলেন, ইসি বিশ্বাস করে, এবার নির্বাচনে কোনো খারাপ উদাহরণ সৃষ্টি হবে না, দেশের ইতিহাসে একটি উত্তম নির্বাচন হবে। নির্বাচন কমিশনার বলেন, এবার ডিসি সম্মেলনে আমন্ত্রণ পেয়েছে ইসি। আজ সন্ধ্যায় ইসির জন্য একটি নির্ধারিত সেশন রয়েছে। ডিসেদের উদ্দেশে ইসির কী ধরনের বার্তা থাকবে, এমন প্রশ্নের জবাবে আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, যেহেতু নির্বাচন কমিশনের কাজ হলো নির্বাচন করা। আর নির্বাচনের “পার্ট অ্যান্ড পার্সেল” হচ্ছে মাঠ প্রশাসন, জেলা প্রশাসকেরা গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বপালন করেন, পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী থাকে। সে ক্ষেত্রে এবার যেহেতু বর্তমান নির্বাচন কমিশন একটি অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও স্বচ্ছ নির্বাচনের জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ এবং এ নির্বাচন না হওয়ার কোনো বিকল্প নেই; একটা উত্তম নির্বাচন করতে চাচ্ছি আমরা এবং যেকোনো মূল্যে এটি করতে হবে— এই মেসেজ আমরা দেওয়ার চেষ্টা করব।’ আরেক প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ইতিপূর্বে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে যেসব নির্বাচন হয়েছে, সেগুলো মাঠ প্রশাসনকে দিয়েই হয়েছে। সুতরাং সরকারের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের চাপ বা প্রভাব থাকবে না। তাই তাঁরা আশাবাদী, এবারও সুষ্ঠু, সুন্দর নির্বাচন হবে। আওয়ামী লীগ আগামী নির্বাচনে থাকতে পারবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘আমাদের এ বিষয়ে বলার সময় এখনো আসেনি। আরেকটু অপেক্ষা করতে হবে। অপেক্ষা বলতে আরও সময় লাগবে। এ বিষয়ে আমরা এখনো কিছু বলতে চাচ্ছি না। সময়ই বলে দেবে, সময়ই আমাদের গাইড করবে। সময়ই বলবে, আমরা কী সিদ্ধান্ত নিচ্ছি।’ সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্র্নিধারণের বিষয়ে আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, সীমানা নির্ধারণ একটি জটিল প্রক্রিয়া। বিদ্যমান আইন যদি সংশোধন করা হয়, তাহলে ইসি এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে। কমিশনও আইন সংশোধনের উদ্যোগ নিচ্ছে।

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো
© All rights reserved © 2023 Chtnews24.com
Website Design By Kidarkar It solutions