বান্দরবান:- চলমান ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা হালনাগাদ কর্মসূচীতে লামা উপজেলার মাঠ পর্যায় হতে তথ্য সংগ্রহ সত্বেও ৫ শতাধিক ব্যক্তি ভোটার তালিকায় অন্তর্ভূক্ত হতে পারছে না।
তথ্য সংগ্রহকারীদের চাহিত কাগজপত্র সংগ্রহ করে জমা প্রদানে বিলম্ব হওয়া এবং নির্ধারিত সময়ে সংগ্রহকৃত ভোটার হওয়ার আবেদন তথ্য সমূহ নির্বাচন অফিসে জমা প্রদান না করায় এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে জানা গেছে। সরই ইউনিয়নের সুপারভাইজারের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ ভোটার হওয়ার আবেদন ফাইল উপজেলা নির্বাচন অফিসে জমা না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
গত ২০ জানুয়ারী হতে লামা উপজেলার পৌরসভা, গজালিয়া, লামা সদর, ফাঁসিয়াখালী, আজিজনগর, রূপসী পাড়া ও ফাইতং ইউনিয়নে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কর্মসূচী-২৫ শুরু হয়। গত ৩ ফেব্রুয়ারী মাঠ পর্যায়ের কার্যক্রম শেষ করা হয়েছে। বিশেষ কমিটির সভায় যাচাই-বাচাই শেষে ছবি তোলার জন্য লামা সদর-৭০৭, গজালিয়া-৬৮৫, সরই-৫২৮, ফাঁসিয়াখালী-১৭৭৭, ফাইতং-৯১৪, আজিজনগর-৯১০ ও রূপসী পাড়ায়-৯৩৬ এবং লামা পৌরসভায় ১০২১ জনকে চুড়ান্ত ভাবে বাছাই করা হয়েছে।
অভিযোগে জানা গেছে, সরই ইউনিয়নের সুপারভাইজার ও সরই জুনিয়র হাই স্কুল গুলোর প্রধান শিক্ষক নীতিপূর্ণ বড়ুয়া মাঠ পর্যায় থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ফাইল যথা সময়ে উপজেলা নির্বাচন অফিসে জমা প্রদান করে নাই। যে কারণে সরই ইউনিয়নের ২৩৩ জনের তথ্য মাঠ পর্যায় থেকে সংগ্রহ করা সত্বেও চলমান কর্মসূচীতে তারা ভোটার হতে পারছে না। একই ভাবে লামা পৌরসভা ও ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের সুপারভাইজারগণ মাঠ পর্যায় থেকে সংগ্রহকৃত তথ্য নির্বাচন অফিসে যথা সময়ে জমা না দেওয়ায় নির্বাচন অফিস বিব্রতকর পরিস্থিতির সম্মুক্ষীণ হয়েছে। মাঠ পর্যায় হতে তথ্য সংগ্রহ কাজে সুপারভাইজার এবং উপজেলা নির্বাচন অফিস এর মধ্যে যোগাযোগ সমন্বয় না থাকায় উপজেলার নাগরিকদের খেসারত দিতে হচ্ছে।
ভোটার হতে ইচ্ছুক অনেক তথ্য প্রদানকারী আক্ষেপ করে বলেছেন, তথ্য সংগ্রহকারীগণ তাদের কাছে অনৈতিক সুবিধা আদায়ের প্রস্তাব দিয়েছেন। যারা অনৈতিক প্রস্তাবে সাড়া দিতে ব্যার্থ হয়েছে তাদের সংগ্রহকৃত তথ্য নির্বাচন অফিসে জমা প্রদান করা হয় নাই।
লামা উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মো. আইয়ুব আলী জানান, ভোটার হওয়ার জন্য অনেক মানুষ অনেক কষ্ট করে কাগজ পত্র সংগ্রহ করেছে। মাঠ পর্যায়ের কিছু দুষ্ট প্রকৃতির সুপারভাইজার ও তথ্য সংগ্রহকারীর দায়িত্ব পালনে অবহেলার কারণে তারা ভোটার হতে পারে নাই। এটা কোন ক্রমেই বরদাস্ত করা যায় না। দায়ী সুপারভাইজার ও তথ্য সংগ্রহকারীদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা করা প্রয়োজন।
উপজেলা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ বেদারুল ইসলাম জানান, তথ্য সংগ্রহকারী ও সুপারভাইজারদের মাঠ পর্যায় থেকে সংগ্রহকৃত ভোটার হওয়ার জন্য আবেদন ফরমের তথ্য যথা সময়ে নির্বাচন অফিসে জমা প্রদান না করায় কিছুটা সমস্যা হয়েছে। অনেক সুপারভাইজারকে বার বার মোবাইল করেও নির্ধারিত সময়ে তথ্য জমা নেওয়া সম্ভব হয় নাই।