প্রাথমিকের ‘সহকারী শিক্ষক’ পদ বিলুপ্ত, বেতন বৃদ্ধিসহ একগুচ্ছ সুপারিশ

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫
  • ৩৪ দেখা হয়েছে

ডেস্ক রির্পোট:- সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ‘সহকারী শিক্ষক’ পদ বিলুপ্ত করে এন্ট্রি লেভেলের শিক্ষক পদে ১২তম গ্রেডে বেতন দেওয়ার সুপারিশ করেছে প্রাথমিক ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা সংস্কারে পরামর্শক কমিটি। একইসঙ্গে প্রধান শিক্ষকদের বেতন ১০ম গ্রেডে দেওয়া এবং পদোন্নতির মাধ্যমে প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছে। বর্তমানে সহকারী শিক্ষকরা ১৩তম গ্রেডে ও প্রধান শিক্ষকরা ১১তম গ্রেডে বেতন পাচ্ছেন।

সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব সুপারিশ তুলে ধরেন কমিটির আহ্বায়ক ড. মনজুর আহমেদ।

এদিন বিকেলে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে কমিটির প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে।

ড. মনজুর আহমেদ বলেন, শিক্ষক ও মাঠপর্যায়ের শিক্ষাকর্মীদের পেশাগত মর্যাদা, পদোন্নতি ও পেশাগত অগ্রগতির ব্যাপারে নির্দিষ্ট আশু পদক্ষেপের সুপারিশ করা হয়েছে। প্রস্তাবানুসারে ‘সহকারী শিক্ষক’ পদবি বিলুপ্ত হবে, ‘শিক্ষক’ হিসেবে কর্মজীবনের সূচনার পর ‘সিনিয়র শিক্ষক’ হিসেবে পরবর্তী পদোন্নতি হবে। সেইসঙ্গে দীর্ঘমেয়াদে প্রাথমিক শিক্ষকসহ বিদ্যালয় শিক্ষকদের স্বতন্ত্র মর্যাদা ও উচ্চতর বেতন কাঠামো বিবেচনা করার সুপারিশ করা হয়েছে। এই উদ্দেশে আশু উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।

তিনি বলেন, বর্তমানে শিক্ষকরা ১৩তম গ্রেডে আছেন এবং প্রধান শিক্ষকের জন্য সরকার ১১তম গ্রেড প্রদান করেছে। প্রধান শিক্ষকদের ১০ম গ্রেডে পদায়নের দাবি উচ্চ আদালতে সমর্থন পেয়েছে, কিন্তু সরকার এ ব্যাপারে রিভিউ আবেদন করেছে। সমগ্র পরিস্থিতি বিবেচনায় শিক্ষকদের স্বতন্ত্র মর্যাদা ও উচ্চতর বেতন কাঠামো প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত কমিটির অন্তর্বর্তী সুপারিশ হলো, শিক্ষক পদে প্রবেশ ১২তম গ্রেডে, দুই বছর পর স্থায়ীকরণ, আরও দুই বছর পর ১১তম গ্রেডে সিনিয়র শিক্ষক হিসেবে পদোন্নতি। প্রধান শিক্ষকের ক্ষেত্রে সুপারিশ হলো, সরকারের রিভিউ আবেদন প্রত্যাহার ও প্রধান শিক্ষকের জন্য ১০ম গ্রেড নির্ধারণ এবং সকল প্রধান শিক্ষক পদোন্নতির মাধ্যমে নিয়োগ।

সুপারিশ তুলে ধরে তিনি আরও বলেন, শিক্ষক এবং প্রধান শিক্ষক নিয়মানুসারে উচ্চতর স্কেল পাওয়ার যোগ্য হবেন। সহকারী প্রধান শিক্ষকের পদ বৃদ্ধি করা যেতে পারে এবং সিনিয়র শিক্ষকদের মধ্য থেকে দায়িত্বভাতাসহ পদায়ন করা যেতে পারে। মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ক্ষেত্রে পদোন্নতিযোগ্য পদসমূহ ও শূন্যপদ আশু পূরণ, সমন্বিত গ্রেডেশন, পারস্পরিক বদলি, আঞ্চলিক অফিস স্থাপন এবং প্রাথমিক শিক্ষা ক্যাডার সার্ভিস বিষয়ে সুপারিশ করা হয়েছে।

গত অক্টোবরে প্রাথমিক ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা সংস্কারে পরামর্শক কমিটি গঠন করা হয়। এর আহ্বায়ক করা হয় ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের এমিরেটাস অধ্যাপক মনজুর আহমেদকে। কমিটিতে একজন সদস্য সচিব এবং ৭ জন সদস্য ছিলেন।

কমিটির সদস্যরা হলেন- প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক ও সাবেক সচিব খোন্দকার মো. আসাদুজ্জামান, উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর সাবেক মহাপরিচালক মো. রফিকুজ্জামান, সাবেক অতিরিক্ত সচিব ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পিইডিপি-২ এর সাবেক যুগ্ম প্রোগ্রাম পরিচালক চৌধুরী মুফাদ আহমেদ, গণসাহায্য সংস্থার পরিচালক (শিক্ষা) বেগম সামসি হাসান, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্র্যাক শিক্ষা উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইরাম মারিয়াম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ মাহবুব মোরশেদ এবং শিবরাম আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক মো. নূরুল আলম।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (বিদ্যালয়) ছিলেন কমিটির সদস্যসচিব হিসেবে।

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো
© All rights reserved © 2023 Chtnews24.com
Website Design By Kidarkar It solutions