ডেস্ক রির্পোট:- ‘এই নিয়েছে ঐ নিল যাঃ! কান নিয়েছে চিলে/চিলের পিছে মরছি ঘুরে আমরা সবাই মিলে’ (শামসুর রাহমান)। কবির ‘প-শ্রম’ নামের এই কবিতার মতোই রাজনীতিকরা যেন চিলের পিছে ছুটে বেড়ানোর মতোই গুজবের পিছনে ছুটছে। মানুষ কী চায়, আয়ের সঙ্গে ব্যয়ের সংগতি না থাকায় মানুষ দিশেহারা। নির্বাচনে কোন দল কি ধরনের ঘোষণাপত্র নিয়ে ভোটারদের কাছে যাবেন তা নিয়ে নেই কোনো পরিকল্পনা, হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করে দিল্লিতে বসে হাসিনা দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র করছে তার বিরুদ্ধে নেই কোনো ঐক্যবদ্ধ উদ্যোগ; বিএনপি, জামায়াত থেকে শুরু করে প্রায় সব দলই ভর করছে সোস্যাল মিডিয়ার দিকে। সোস্যাল মিডিয়ায় কোনো গুজব ছড়িয়ে পড়লে সেটা নিয়ে পক্ষে বিপক্ষে হুমড়ি খেয়ে পড়ছে। গুজবের ওপর ভর করেই যেন চলছে বর্তমানের রাজনীতির গতিপ্রকৃতি।
বিজ্ঞানের বদৌলতে সোস্যাল মিডিয়া এখন অনেক শক্তিশালী। দেশের বেশির ভাগ মিডিয়া বিগত ১৫ বছর গণমাধ্যম হাসিনার ‘তাবেদারী-তোষামোদী’ করায় গণমাধ্যম চরিত্র হারানোয় মিডিয়ার ওপর আস্থাহীন হয়ে মানুষ সোস্যাল মিডিয়ায় দিকে ঝুঁকছে। আর সোস্যাল মিডিয়া হয়ে পড়েছে গুজবের কারখানা। ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা পালানোর পর জনগণের ভোটের অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা যখন প্রয়োজন ‘পরিশীলিত রাজনীতি’ রাজনৈতিক দল, গণমাধ্যম, সুশীল সমাজসহ সবার দায়িত্বশীল কর্মস্পৃহা; হাসিনার বিচার, বিদেশে পাচার করা টাকা ফিরিয়ে এনে দেশের অর্থনীতিতে যুক্ত করা; তখন রাষ্ট্রের চতুর্থস্তম্ভ গণমাধ্যমগুলো এখনো ‘প্রকৃত গণমাধ্যম’ হয়ে উঠতে পারেনি। ফলে সবার আগ্রহ বাড়ছে সোস্যাল মিডিয়ার উপর। এতে করে বাধাহীনভাবে ফেসবুক, টুইটার, লিংকডইন, টেলিগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ, জি-মেইল, ইনস্টাগ্রাম ও ইউটিউবের মতো সোস্যাল মিডিয়াগুলোয় তথ্য-অপতথ্য, ফেইক তথ্য প্রচারের হাট বসে গেছে। ‘চিলে কান নেয়া’র মতোই সর্বত্রই চলছে গুজব আর রাজনীতি হয়ে পড়েছে গুজব নির্ভর।
বর্তমান সময়ে রাজনীতির খবরাখবর যত না গণমাধ্যমে প্রচার হচ্ছে তার চেয়ে শতগুণ বেশি প্রচার হচ্ছে সোস্যাল মিডিয়ায়। সেসব নিয়ে আলোচনা-বিতর্ক হচ্ছে বিস্তর। অপ্রিয় হলেও সত্য যে দেশের রাজনীতি এখন সোস্যাল মিডিয়া নির্ভর হয়ে পড়ায় চলছে এখন গুজবের রাজনীতি। সোস্যাল মিডিয়ায় প্রচারিত সত্যমিথ্যা খবর, বক্তব্য নিয়ে রাজনীতিকদের মতো চাপান ওতোন চলছে। বিতর্কের ঝড় তুলছেন।
প্রফেসর ড. সলিমুল্লাহ খান বলেছেন, ‘এক সময় মানুষ মিথ্যা বলতেন, গণমাধ্যমে সত্যটা খুঁজে বের করতো; এখন গণমাধ্যম মিথ্যা বলে মানুষ সত্য খুঁজের বের করে’। গণমাধ্যমকে (মিডিয়া) বলা হয়ে থাকে রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। আইন বিভাগ (সংবিধান-সংসদ), বিচার বিভাগ ও শাসন (নির্বাহী বিভাগ) পরই গণমাধ্যমের অবস্থান। কিন্তু হাসিনা রেজিমে ১৫ বছর দেশের বেশির ভাগ গণমাধ্যম পক্ষপাতদুষ্ট হয়ে গেছে। পত্র-পত্রিকা, টিভি-চ্যানেল, অনলাইন নিউজ পোর্টাল কিংবা রেডিও সব মাধ্যমই আওয়ামী লীগের জুলুম-নির্যাতন, অন্যায় ও অবিচারের মুখ উন্মোচনের বদলে আওয়ামী লীগের সেবাদাসে পরিণত হয়েছিল। ক্ষমতার উচ্ছিষ্টের লোভে হাসিনার প্রতি বেশির ভাগ গণমাধ্যমের পক্ষপাতিত্বের কারণে গণমাধ্যমের প্রতি পাঠক-দর্শক আস্থা রাখতে পারেনি; এখনো সেটাই চলছে। একারণেই সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের বোধ-বিশ্বাস ও স্বার্থের সঙ্গে গণমাধ্যমের দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে; অন্যদিকে সোস্যাল মিডিয়ার উত্থান ঘটেছে। এ সুযোগে মানুষ সোস্যাল মিডিয়া ফেসবুক-টুইটার-ব্লগ-ইনস্ট্রাগ্রামের প্রতি ঝুঁকে পড়ছে। সেই সঙ্গে সোস্যাল মিডিয়ায় বাড়ছে অপতথ্য। পরিকল্পিতভাবে নানা গুজব সোস্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছে। সেগুলো নিয়েই রাজনীতিকরা চর্চা করছেন।
সোস্যাল মিডিয়ায় গুজব নিয়ে ‘অন্তর্বর্তী সরকারের ১০০ দিনে অপতথ্যের প্রবাহের পরিসংখ্যান’ শীর্ষক প্রতিবেদনে দেখা গেছে ৮ আগস্ট থেকে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত ৮৯৬টি ‘অপতথ্য’ শনাক্ত করেছে রিউমার স্ক্যানার। ফেসবুক, ইউটিউবে কিছু আপলোড করলেই সত্য-মিথ্যা যাচাই না করে সেটা নিয়ে হুমড়ি খেয়ে পড়েন নেটিজেন ও রাজনীতিকরা। তারা গুজব তথ্যের পক্ষে বিপক্ষে নানা মন্তব্য করেন, নিজের বক্তব্য তুলে ধরেন। সত্য-মিথ্যা যাচাই না করেই এ নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক। ছড়িয়ে পড়ে গুজব, ডালপালা ছড়ায় সর্বত্র। সোস্যাল মিডিয়ার এই গুজবে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা। দেশের রাজনীতি কার্যত সোস্যাল মিডিয়ার গুজব নির্ভর হয়ে পড়েছে। দেশের মানুষ পরপর তিনটি জাতীয় নির্বাচনে ভোট দিতে পারেনি, ভোটাররা নির্বাচনে ভোট দেয়ার জন্য মুখিয়ে রয়েছেন, রাজনৈতিক দলগুলো আগামীতে কোন বার্তা নিয়ে ভোটারদের কাছে যাবেন, নির্বাচিত হলে কি কি করবেন; সে সব নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর কোনো বার্তা নেই। তারা গল্পের ‘বাঘ এলো বাঘ এলো’ প্রবাদের মতো গুজবের উপর ভর করে বিতর্কে জড়াচ্ছেন। ৫ আগষ্টের নেতৃত্ব দেয়া বৈষম্য বিরোধী ছাত্র নেতারা শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের রাজনীতির কোমড় ভেঙ্গে দিতে ‘জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র’ দেয়ার পরিকল্পনা করেছিল। অতঃপর রাজনীতিকদের বাধার মুখে সে কর্মসূচি থেকে সরে এসে ‘মার্চ ফর ইউনিটি’ কর্মসূচি পালন করতে হয়। অথচ এখনো রাজনৈতিক দলগুলো ফ্যাসিস্ট হাসিনার বিরুদ্ধে কোনো কিছুই করতে পারেনি।
ডিজিটালের বদৌলতে পাল্টে গেছে মানুষের যাপিত জীবন। এখন সবার হাতে হাতে মোবাইল। ঘরে ঘরে ইন্টারনেট। শহর থেকে প্রত্যন্ত গ্রামে সহজেই সারাদুনিয়ার সাথে যোগাযোগ রাখছে মানুষ। চারপাশে, কী ঘটছে, কী শুনছে সেগুলো ফেইসবুক, টুইটার, ইউটিউবসহ অন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে পেয়ে যাচ্ছে। সেই সঙ্গে নিজেরাও নিজেদের মতামত, তথ্য শেয়ার করছে। নিয়ন্ত্রণ না থাকায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এখন গুজব আর মিথ্যাচারে ভরপুর। বিশেষ করে অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে কুৎসা ছড়ানো হচ্ছে প্রতিদিন। এসব গুজবে বিভিন্œ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও সেলিব্রেটিদের ব্যবহার করে মিথ্যা তথ্য দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার বিষয়বস্তু (কনটেন্ট) ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। সেটা দেখছে লক্ষ লক্ষ মানুষ। অনেকে তা বিশ্বাসও করছে! প্রত্যন্ত অঞ্চলের কোটি কোটি মানুষের পক্ষে সেসব তথ্য সত্য-মিথ্যা যাচাই করাও সম্ভব নয়। আর এই সুযোগটি নিচ্ছে একটি প্রতিক্রিয়াশীল চক্র। তারা রাজনৈতিক দলগুলোকে উস্কানী দিচ্ছে।
অন্তর্বর্তী সরকার ১০টি সেক্টরে সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছেন। প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, সংস্কার এবং নির্বাচনী প্রক্রিয়া এক সঙ্গে চলবে। তিনি ২০২৫ সালের শেষ দিকে অথবা ২০২৬ সালের প্রথম দিকে নির্বাচন হবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন। নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্যেই খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করেছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার জানিয়েছেন নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত নির্বাচন কমিশন। তারপরও নির্বাচনের টাইমফ্রেম নিয়ে বিতর্ক চলছে। নির্বাচন হওয়া না হওয়া নিয়ে চলছে গুজব। এই গুজবের মধ্যে হঠাৎ করে আবির্ভাব হয়েছে গুজব লীগের। পলাতক আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনাসহ বেশির ভাগ নেতা পালিয়ে ভারতে গেলেও লুটের টাকা খরচ করে সোস্যাল মিডিয়ায় আওয়ামী লীগের পক্ষে নানা প্রচারণা চালানো হচ্ছে। সোস্যাল মিডিয়ার অবস্থা এমন হয়েছে যে কোনো সত্য খবর বা সত্য তথ্য দেয়া হলেও মানুষ তা বিশ্বাস করতে চায় না।
১৫ ডিসেম্বর ঢাকা সফরে এসেছিলেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি। তিনি প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকের পর ক্যান্টনমেন্টে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের সঙ্গে এক ঘণ্টার এক রুদ্ধদ্বার বৈঠকে অংশ নেন। এ বৈঠক সম্পর্কে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো তথ্য পাওয়া না যাওয়ায় গুজব ছড়িয়ে পড়ে। ২ জানুয়ারি গুজব ছড়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ সেনাবাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে। এটা ভাইরাল হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। রিউমর স্ক্যানার টিম অনুসন্ধানের পর জানায়, ভাইরাল হওয়া তথ্য ভুয়া। সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ কুমিল্লার দেবিদ্বারে একটি অনুষ্ঠানে গেছেন। বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল এবং চট্টগ্রাম ভারত দখল করবে। আবার বাংলাদেশ ভারতের কোলকাতা দখল করবে। এমন গুজব সোস্যাল মিডিয়ায় ছড়ানো হয়। এ নিয়ে চলে বিতর্ক।
‘হুজুগে বাঙ্গালী’ প্রবাদের মতোই গুজবের ওপর ভর করে চলছে রাজনৈতিক দলগুলো। একে অন্যের বিরুদ্ধে গুজব ছড়ানো এবং নিজেদের মধ্যে কামড়াকামড়ির সুযোগ নিচ্ছে ফ্যাসিস্ট হাসিনার অলিগার্করা। তারা সোস্যাল মিডিয়ায় আফসোস লীগ হয়ে আবির্ভূত হয়েছেন। তারা নানা ভাবে প্রচার করছেন ড. ইউনূসের চেয়ে আগের সরকার ভাল ছিল। তারা নানা যুক্তিতর্ক তুলে ধরছেন। হাসিনার অলিগার্করা প্রচার করছে ‘ড. ইউনূসের সরকার সংস্কারের অজুহাতে দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকবে’। ‘সেনা বাহিনীর সঙ্গে বিএনপির দূরত্ব বাড়ছে’। ‘বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের সঙ্গে বিএনপির বিরোধ’। ‘বৈষম্য বিরোধী ছাত্র নেতারা বাহাত্তরের সংবিধান বাতিল করছেন’। এসব নিয়ে ছড়ানো হচ্ছে গুজব। আর এ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা একে অন্যের বিরুদ্ধে বক্তব্য দিচ্ছেন এবং সেগুলো সোস্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমানের একটি বক্তব্যকে কেন্দ্র করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিবের পাল্টা প্রশ্ন নিয়ে বিতর্কে গুজব প্রচার করা হয় বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যে বিরোধ বেঁধে গেছে। বাংলাদেশের সেনাবাহিনী এখনো হাসিনার পক্ষে এমন মিথ্যা প্রচারণার মধ্যেই গত ২ জানুয়ারি আচমকা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। উন্নত চিকিৎসার জন্য বহুল প্রতীক্ষিত লন্ডন সফরের আগে খালেদা জিয়ার সঙ্গে সেনাপ্রধানের সাক্ষাৎ রাজনৈতিক অঙ্গনে বিশেষ তাৎপর্য তৈরি করেছে। এটি রাজনৈতিক মহলে নানা জল্পনা সৃষ্টি করেছে। বৈঠকের নেপথ্যে কী ধরনের আলোচনার সূত্রপাত হতে পারে তা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা চলছে।
বিশেষত, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে নির্বাচন নিয়ে বিএনপির দাবিদাওয়া প্রতিদিনই ঢাকার রাজনীতিতে উত্তাপ ছড়াচ্ছে। এরইমধ্যে দিল্লির চেতনাধারী হিসেবে পরিচিত ঢাকার এক সংবাদমাধ্যম সেনাপ্রধানের সাক্ষাৎকার প্রচার করে। সাক্ষাৎকারে সেনাপ্রধান আগামী নির্বাচন নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের পরিকল্পনার সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন। প্রেসিডেন্ট মো. সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগ, সংবিধান পরিবর্তন ইস্যুতে বিএনপির সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গেও বিবাদের জায়গা তৈরি হচ্ছে। এ নিয়ে আগামী নির্বাচনের আগে বহুমাত্রিক নাটকীয়তা যে অপেক্ষা করছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে ভবিষ্যতের রাজনৈতিক পরিস্থিতি যাই হোক না কেনো, বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার সঙ্গে সেনাপ্রধানের সৌজন্য সাক্ষাৎ প্রশংসার জন্ম দিয়েছে। রাজনৈতিক মহলে সেনাপ্রধানের এই উদ্যোগ ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন সবাই।ইনকিলাব