ডেস্ক রির্পোট:- ইয়েমেনের সানা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। ওই হামলা থেকে অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছেন জাতিসংঘের স্বাস্থ্য বিষয়ক ডব্লিউএইচও’র প্রধান টেড্রোস আধানম গেব্রেইয়েসুস। কেননা হামলার সময় তিনি এবং তার কয়েকজন সহকর্মী ওই বিমানবন্দরেই অবস্থান করছিলেন। সোশ্যাল মিডিয়ার এক পোস্টে ডব্লিউএইচও’র মহাপরিচালক টেড্রোস আধানম বলেছেন, বিমানবন্দরে বোমা হামলার সময় তিনি এবং তার সহকর্মীরা সেখানেই অবস্থান করছিলেন। হামলায় বিমানের এক ক্রু আহত এবং আরও দুই ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। ইরান সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠী হুথি পরিচালিত গণমাধ্যমের বরাতে জানানো হয়েছে, ইয়েমেনের বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং বন্দরগুলোতে আঘাত হেনেছে ইসরাইলের বোমা। এতে কমপক্ষে তিনজন নিহত এবং কয়েক ডজন আহত হয়েছেন। হামলার দায় স্বীকার করেছে ইসরাইল। হুথিরা তেল আবিবের হামলাকে ‘বর্বর’ বলে আখ্যা দিয়েছে। তবে হামলায় প্রাণ হারানো ব্যক্তিরা হুথি যোদ্ধা নাকি বেসামরিক মানুষ তা এখনও স্পষ্ট নয়। এক বিবৃতিতে ইসরাইল প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) বলেছে, তাদের যুদ্ধ বিমানগুলো পশ্চিম উপকূল এবং ইয়েমেনে হুথি সরকারের সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে হামলা চালিয়েছে। রাজধানী সানা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সামরিক অবকাঠামোর পাশাপাশি হেজিয়াজ এবং রাস কানাতিব বিদ্যুৎকেন্দ্রে হামলা চালিয়েছে তারা। এছাড়া পশ্চিম উপকূলে আল হুদাইদাহ, সালাফি এবং রাস কানাতিব বন্দরের অবকাঠামোতে হামলার চালানোর দায় স্বীকার করেছে তেল আবিব। হামলার পরপরই মন্তব্য করেছেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। হুথিদের বিরুদ্ধে মিশন সম্পূর্ণ করার হুমকি দিয়েছেন তিনি। বলেছেন, আমরা কাজ সম্পন্ন না করা পর্যন্ত চালিয়ে যাব, কেননা ইরানের ওই অশুভ বাহুটি কেটে ফেলতে হবে। উল্লেখ্য, গত বছরের অক্টোবরে শুরু হওয়া গাজা যুদ্ধের প্রথম মাস থেকেই ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে ইসরাইলে হামলা চালিয়ে আসছে ইরান-সমর্থিত ইয়েমেনের এই বিদ্রোহীরা। গত সপ্তাহে হুথিদের চালানো ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরাইলে এক ডজনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। প্রতিশোধ হিসেবে ইসরাইলও হুথিদের বিরুদ্ধে দফায় দফায় হামলা করছে।